১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

দায়িত্বশীল গণমাধ্যম উন্নয়ন সহায়ক ও গণতন্ত্রে অপরিহার্য: তথ্যমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ৪২১০ বার দেখা হয়েছে

স্বাধীন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিটের উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা বক্তব্য রাখেন।

তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা’।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স সদস্যদের শ্রদ্ধা

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগসুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।

গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বাড়ায় বলেন উল্লেখ করেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে যাতে এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।

আমাদের দেশ এবং এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

দায়িত্বশীল গণমাধ্যম উন্নয়ন সহায়ক ও গণতন্ত্রে অপরিহার্য: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৭:০২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

স্বাধীন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিটের উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা বক্তব্য রাখেন।

তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা’।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স সদস্যদের শ্রদ্ধা

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগসুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।

গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বাড়ায় বলেন উল্লেখ করেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে যাতে এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।

আমাদের দেশ এবং এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।

ঢাকা/টিএ