১০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

দুই মাস পর বাজার মূলধনের পালে মৃদু হাওয়া!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪২৮৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

গত ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মার্চের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ৭ সপ্তাহ দেশের শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। প্রতি সপ্তাহশেষে বিনিয়োগকারীরা তাদের মূলধন হারিয়েছে। এতে মূলধন হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের মূলধন ফিরেছে ৬৭৯ কোটি টাকা। স্টক স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬৭৯ কোটি টাকা বা ০.১০ শতাংশ। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৮ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহের চেয়ে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সব কটি সূচকও বেড়েছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭.৭৯ পয়েন্ট বা ০.৩১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল ১৬৩.৩৪ পয়েন্ট বা ২.৭৫ শতাংশ। এদিকে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১১.৮৭ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ৩৮.৪৯ পয়েন্ট বা ২.৯৮ শতাংশ। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৩.৮৪ পয়েন্ট বা ০.১৯ শতাংশ। তবে আগের সপ্তাহে এটি কমেছিল ৪৬.৬৩ পয়েন্ট বা ২.২৭ শতাংশ। সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৭৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। লেনদেন বেড়েছে ১৯৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তবে প্রতি কর্মদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১১.৯৬ শতাংশ বা ৫৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কর্মদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৩৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৮টি কোম্পানির, কমেছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই সূচক ০.৩৬ শতাংশ ও সিএসসিএক্স সূচক ০.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৬ হাজার ৬১৪.৪৬ পয়েন্ট ও ৯ হাজার ৯৯৩.৮৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ০.৯৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ০.০৮ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ০.৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৮৪.৯৩ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৭১২.৯৪ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৮৯.১৪ পয়েন্টে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৯৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১৪৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দর।

আরও পড়ুন: ডিএসই-সিএসইতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে যেসব কোম্পানি

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x
English Version

দুই মাস পর বাজার মূলধনের পালে মৃদু হাওয়া!

আপডেট: ১১:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

গত ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মার্চের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ৭ সপ্তাহ দেশের শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। প্রতি সপ্তাহশেষে বিনিয়োগকারীরা তাদের মূলধন হারিয়েছে। এতে মূলধন হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের মূলধন ফিরেছে ৬৭৯ কোটি টাকা। স্টক স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬৭৯ কোটি টাকা বা ০.১০ শতাংশ। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৮ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহের চেয়ে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সব কটি সূচকও বেড়েছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭.৭৯ পয়েন্ট বা ০.৩১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল ১৬৩.৩৪ পয়েন্ট বা ২.৭৫ শতাংশ। এদিকে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১১.৮৭ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ৩৮.৪৯ পয়েন্ট বা ২.৯৮ শতাংশ। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৩.৮৪ পয়েন্ট বা ০.১৯ শতাংশ। তবে আগের সপ্তাহে এটি কমেছিল ৪৬.৬৩ পয়েন্ট বা ২.২৭ শতাংশ। সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৭৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। লেনদেন বেড়েছে ১৯৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তবে প্রতি কর্মদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১১.৯৬ শতাংশ বা ৫৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কর্মদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৩৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৮টি কোম্পানির, কমেছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই সূচক ০.৩৬ শতাংশ ও সিএসসিএক্স সূচক ০.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৬ হাজার ৬১৪.৪৬ পয়েন্ট ও ৯ হাজার ৯৯৩.৮৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ০.৯৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ০.০৮ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ০.৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৮৪.৯৩ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৭১২.৯৪ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৮৯.১৪ পয়েন্টে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৯৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১৪৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দর।

আরও পড়ুন: ডিএসই-সিএসইতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে যেসব কোম্পানি

ঢাকা/এসএইচ