০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

নয় ব্যাংককে ২২৫৩ কোটি টাকার বন্ড দিচ্ছে সরকার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৪০৯ বার দেখা হয়েছে

সারের ভর্তুকির টাকা দিতে না পেরে পাওনাদার কোম্পানিকে বিশেষ বন্ড দিচ্ছে সরকার। বিশেষ বন্ডে নয় ব্যাংককে ২২৫৩ কোটি টাকা দেবে সরকার। গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এ নিয়ে অর্থ বিভাগ, ব্যাংক ও পাওনাদার কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ৪ জানুয়ারি বন্ড দেয়া শুরু করে সরকার। ওই দিন সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ২ হাজার ৫৫৭ কোটি এবং আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে ৪৫৯ কোটি টাকা দেয়া হয়। পরে ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং জনতা ব্যাংককে ১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার বন্ড দেয়া হয়।

ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণপত্র খুলে সার আমদানি করে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনসহ (বিএডিসি) কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। ফলে দায় পরিশোধে বিশেষ বন্ড ছাড়ছে তারা।

সারের ভর্তুকির পাওনা শোধে ১ মাস ১০ দিনে ৯ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৩টি ব্যাংক তা পেয়েছে। ব্যাংক এশিয়ার অনুকূলে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার মধ্য দিয়ে সারের ভর্তুকি পরিশোধের কাজ শেষ হবে।

গত নভেম্বরের শেষদিকে নিরবচ্ছিন্ন সার আমদানিতে সোনালী ব্যাংকের সহযোগিতা চায় বিসিআইসি। সে সময় ব্যাংকটি জানায়, গত জুন পর্যন্ত শুধু ইউরিয়া সারের ভর্তুকি বাবদ সরকারের কাছে ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাবে তারা।

আরও পড়ুন: রিটার্নে জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিবরণ বাধ্যতামূলক না করার প্রস্তাব

সার ও বিদ্যুতের ভর্তুকির দেনা শোধে মোট ২৪ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়বে সরকারের। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়া হয়ে গেছে।

গত বছরের শেষদিকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর মধ্যে দুই সরকারি-অগ্রণী ব্যাংককে ৪৪৭ কোটি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে ২৮২ কোটি দেবে তারা। আর আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংককে ৪৭৩ কোটি, সিটি ব্যাংককে ৩৯৭ কোটি, ঢাকা ব্যাংককে ৩৯২ কোটি, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংককে ৯০ কোটি, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংককে ৬৯ কোটি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংককে ৫৬ কোটি এবং এক্সিম ব্যাংককে ৪৭ কোটি টাকা দেয়া হবে।

ঢাকা/কেএ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

নয় ব্যাংককে ২২৫৩ কোটি টাকার বন্ড দিচ্ছে সরকার

আপডেট: ০৬:০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সারের ভর্তুকির টাকা দিতে না পেরে পাওনাদার কোম্পানিকে বিশেষ বন্ড দিচ্ছে সরকার। বিশেষ বন্ডে নয় ব্যাংককে ২২৫৩ কোটি টাকা দেবে সরকার। গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এ নিয়ে অর্থ বিভাগ, ব্যাংক ও পাওনাদার কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ৪ জানুয়ারি বন্ড দেয়া শুরু করে সরকার। ওই দিন সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ২ হাজার ৫৫৭ কোটি এবং আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে ৪৫৯ কোটি টাকা দেয়া হয়। পরে ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং জনতা ব্যাংককে ১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার বন্ড দেয়া হয়।

ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণপত্র খুলে সার আমদানি করে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনসহ (বিএডিসি) কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। ফলে দায় পরিশোধে বিশেষ বন্ড ছাড়ছে তারা।

সারের ভর্তুকির পাওনা শোধে ১ মাস ১০ দিনে ৯ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৩টি ব্যাংক তা পেয়েছে। ব্যাংক এশিয়ার অনুকূলে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার মধ্য দিয়ে সারের ভর্তুকি পরিশোধের কাজ শেষ হবে।

গত নভেম্বরের শেষদিকে নিরবচ্ছিন্ন সার আমদানিতে সোনালী ব্যাংকের সহযোগিতা চায় বিসিআইসি। সে সময় ব্যাংকটি জানায়, গত জুন পর্যন্ত শুধু ইউরিয়া সারের ভর্তুকি বাবদ সরকারের কাছে ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাবে তারা।

আরও পড়ুন: রিটার্নে জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিবরণ বাধ্যতামূলক না করার প্রস্তাব

সার ও বিদ্যুতের ভর্তুকির দেনা শোধে মোট ২৪ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়বে সরকারের। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়া হয়ে গেছে।

গত বছরের শেষদিকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর মধ্যে দুই সরকারি-অগ্রণী ব্যাংককে ৪৪৭ কোটি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে ২৮২ কোটি দেবে তারা। আর আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংককে ৪৭৩ কোটি, সিটি ব্যাংককে ৩৯৭ কোটি, ঢাকা ব্যাংককে ৩৯২ কোটি, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংককে ৯০ কোটি, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংককে ৬৯ কোটি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংককে ৫৬ কোটি এবং এক্সিম ব্যাংককে ৪৭ কোটি টাকা দেয়া হবে।

ঢাকা/কেএ