০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নানা অনিয়মে বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪২০৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুর রহমান ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন সদস্য (সিনিয়র ম্যানেজার থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা)।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেঙ্গল বিস্কুটের সার্বিক বিষয়ের ওপর তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন। এরই ধরাবাহিকতায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অর্ডিন্যান্স নং xvii) এর ২১ ধারা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সালের ১৫নং আইন) এর ১৭ক ধারা অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হলো। তদন্ত কর্মকর্তাদের এ আদেশ জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

সম্প্রতি বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অভিযোগ বিএসইসিতে জমা পড়েছে। ওই অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে ইতোমধ্যে বেঙ্গল বিস্কুটের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কমিশনে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে তার বেশিরভাগই আর্থিক অনিয়মের।

কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কমিশন। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের কাগজপত্র, প্রতি মাসের বিক্রয় প্রতিবেদন এবং ব্যাংকের স্টেটমেন্ট কমিশনে জমা দিতে হবে। আলোচ্য সময় থেকে মাসিক ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্সের (ভ্যাট) কাগজপত্র, কোথায় মালামাল বিক্রি করা হয়েছে তার ঠিকানাসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানিতে চাকরিরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের তথ্য, তাদের গত ৩ মাসের বেতন-ভাতার সিট কমিশনের জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া, কোম্পানির বর্তমান চিত্র ও ভবিষ্যৎ উন্নতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন, পরিচালকদের পর্ষদ সভা সংক্রান্ত কাগজপত্র, তাদের পর্ষদ সভার পরিচালকদের ভাতা সংক্রান্ত হিসাব ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসি ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ফলে, ওটিসি মার্কেটের আওতাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার ভিত্তিতে এসএমই প্ল্যাটফর্ম ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ওটিসি মার্কেট থেকে বেঙ্গল বিস্কুটকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

বেঙ্গল বিস্কুট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭৯ লাখ ৩৮ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩০.৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১০.২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫৯.১৩ শতাংশ শেয়ার আছে। কোম্পানির শেয়ার বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সর্বশেষ ১০৭.৪০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শেয়ার বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

নানা অনিয়মে বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট: ১২:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুর রহমান ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন সদস্য (সিনিয়র ম্যানেজার থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা)।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেঙ্গল বিস্কুটের সার্বিক বিষয়ের ওপর তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন। এরই ধরাবাহিকতায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অর্ডিন্যান্স নং xvii) এর ২১ ধারা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সালের ১৫নং আইন) এর ১৭ক ধারা অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হলো। তদন্ত কর্মকর্তাদের এ আদেশ জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

সম্প্রতি বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অভিযোগ বিএসইসিতে জমা পড়েছে। ওই অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে ইতোমধ্যে বেঙ্গল বিস্কুটের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কমিশনে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে তার বেশিরভাগই আর্থিক অনিয়মের।

কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘বেঙ্গল বিস্কুটের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কমিশন। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের কাগজপত্র, প্রতি মাসের বিক্রয় প্রতিবেদন এবং ব্যাংকের স্টেটমেন্ট কমিশনে জমা দিতে হবে। আলোচ্য সময় থেকে মাসিক ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্সের (ভ্যাট) কাগজপত্র, কোথায় মালামাল বিক্রি করা হয়েছে তার ঠিকানাসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানিতে চাকরিরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের তথ্য, তাদের গত ৩ মাসের বেতন-ভাতার সিট কমিশনের জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া, কোম্পানির বর্তমান চিত্র ও ভবিষ্যৎ উন্নতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন, পরিচালকদের পর্ষদ সভা সংক্রান্ত কাগজপত্র, তাদের পর্ষদ সভার পরিচালকদের ভাতা সংক্রান্ত হিসাব ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসি ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ফলে, ওটিসি মার্কেটের আওতাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার ভিত্তিতে এসএমই প্ল্যাটফর্ম ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ওটিসি মার্কেট থেকে বেঙ্গল বিস্কুটকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

বেঙ্গল বিস্কুট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭৯ লাখ ৩৮ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩০.৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১০.২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫৯.১৩ শতাংশ শেয়ার আছে। কোম্পানির শেয়ার বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সর্বশেষ ১০৭.৪০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শেয়ার বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

ঢাকা/টিএ