০৪:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

নারীকেন্দ্রিক উন্নয়নের সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৬:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১১২ বার দেখা হয়েছে

দারিদ্র্য বিমোচনে শুধু আজীবন টাকা খরচ করলেই চলবে না, দরিদ্রদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাতে হবে। বিনিয়োগ হিসেবেও এটি অধিকতর কার্যকর। এই ব্যবস্থায় সরকার ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। সরকারি বিনিয়োগের সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভাবন যুক্ত হলে ব্যাপারটা ফলপ্রসূ হয়।

সদ্য সমাপ্ত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের দাভোস ২০২১ সম্মেলনের ভার্চ্যুয়াল এক অধিবেশনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ।

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলতেন, দারিদ্র্য বিমোচনে নারীদের ভূমিকা সবচেয়ে উজ্জ্বল। আসিফ সালেহ এ নিয়ে বলেন, পৃথিবীতে নারীকেন্দ্রিক উন্নয়নের সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। নারীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ করা হলে সমাজের সব সূচকেই প্রভাব পড়ে। এতে নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাসের পাশাপাশি পুষ্টি সূচকেরও উন্নতি হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর ভূমিকা বৃদ্ধি পায়। সে জন্য নারীদের জীবনমান উন্নয়নে বিনিয়োগ করা সবচেয়ে কার্যকর। কিন্তু সেখানে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। পুরুষদেরও এ কাজে যুক্ত করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, মহামারির ধাক্কায় সবাই আক্রান্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নারীরা। পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মেয়েদের ঝরে পড়া এবং বাল্যবিবাহের হার বেড়ে গেছে। বেড়েছে পারিবারিক সহিংসতা, যার শিকার হচ্ছেন নারীরা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অর্থাৎ প্রান্তিক মানুষেরা আরও প্রান্তিক হয়ে পড়েছেন। অসমতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

শেয়ার করুন

x
English Version

নারীকেন্দ্রিক উন্নয়নের সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ

আপডেট: ১১:৫৬:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

দারিদ্র্য বিমোচনে শুধু আজীবন টাকা খরচ করলেই চলবে না, দরিদ্রদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাতে হবে। বিনিয়োগ হিসেবেও এটি অধিকতর কার্যকর। এই ব্যবস্থায় সরকার ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। সরকারি বিনিয়োগের সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভাবন যুক্ত হলে ব্যাপারটা ফলপ্রসূ হয়।

সদ্য সমাপ্ত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের দাভোস ২০২১ সম্মেলনের ভার্চ্যুয়াল এক অধিবেশনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ।

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলতেন, দারিদ্র্য বিমোচনে নারীদের ভূমিকা সবচেয়ে উজ্জ্বল। আসিফ সালেহ এ নিয়ে বলেন, পৃথিবীতে নারীকেন্দ্রিক উন্নয়নের সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। নারীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ করা হলে সমাজের সব সূচকেই প্রভাব পড়ে। এতে নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাসের পাশাপাশি পুষ্টি সূচকেরও উন্নতি হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর ভূমিকা বৃদ্ধি পায়। সে জন্য নারীদের জীবনমান উন্নয়নে বিনিয়োগ করা সবচেয়ে কার্যকর। কিন্তু সেখানে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। পুরুষদেরও এ কাজে যুক্ত করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, মহামারির ধাক্কায় সবাই আক্রান্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নারীরা। পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মেয়েদের ঝরে পড়া এবং বাল্যবিবাহের হার বেড়ে গেছে। বেড়েছে পারিবারিক সহিংসতা, যার শিকার হচ্ছেন নারীরা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অর্থাৎ প্রান্তিক মানুষেরা আরও প্রান্তিক হয়ে পড়েছেন। অসমতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।