নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার
- আপডেট: ০৬:১২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
- / ৪১৬৮ বার দেখা হয়েছে
নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) মন্ত্রণালয়ে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আয়োজিত এক দ্বিপাক্ষিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউভ
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ৭ সদস্যের দলের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিশ্বব্যাংকের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের পক্ষে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার নেতৃত্ব দেন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আগামী দুই বছরের মধ্যে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। এ উৎস থেকে আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে আরো ৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাইপলাইনে রয়েছে। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চলে গেছে কিন্তু ঐ পরিমাণ অর্থ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আসছে না।
নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেপাল-ভুটান থেকে আরো জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। ভারতের পাওয়ার মার্কেট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনায় আছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক, কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনজীবীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি আরও বলেন, ইলেকট্রিক্যাল ভেহিক্যালের প্রসারেও বিদ্যুৎ বিভাগ উদ্যোগী হয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে ইভি গাইডলাইন/পলিসি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রায় ৪ মিলিয়ন ইজিবাইক (ব্যাটারি চালিত ত্রি-চাকার যান) বিদ্যমান। এখানে লেড ব্যাটারির পরিবর্তে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা প্রয়োজন।
ট্রান্সমিশনে বিদ্যুৎ লাইন বেসরকারি খাতে দেওয়ার জন্যও বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার ক্রস বর্ডার ট্রেড, আঞ্চলিক পাওয়ার পুল, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক পাওয়ার মার্কেট, নেপাল ও ভূটান হতে বিদ্যুৎ আমদানি ও ই-মবিলিটি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় জ্বালানি খাতের বিদ্যমান ও আগত প্রকল্প নিয়েও আলোকপাত করা হয়।
সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূরুল আলম, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেকটর আবদুলাই শেক, অপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন ও অপারেশন অ্যাডভাইজার গায়েল মার্টিন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/টিএ