০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

নোয়াখালীতে বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স ১৯ নভেম্বর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৫৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের জনগণকে বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ শিক্ষা বিস্তার সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে বিএসইসি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করে ‘বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম)’। 

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষিত বিনিয়োগকারী ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলায় আগামী ১৯ নভেম্বর ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স- ২০২২’ অনুষ্ঠিত হবে। বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বিএসইসি ও বিএএসএম যৌথ উদ্যোগে এ কনফারেন্স আয়োজন করতে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নোয়াখালীতে কনফারেন্স অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএএসএম তাদের লোকবল এবং তহবিল ব্যবহার করে ওই বিভাগীয় কনফারেন্স অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি গ্রহণ ও সম্পন্ন করবে। এ লক্ষ্য বিএসইসি’র ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসইসি ও বিএএসএমের যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নোয়াখালীতে বিনিয়োগ শিক্ষা সংক্রান্ত কনফারেন্স, ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে। এ কনফারেন্সের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও তত্ত্ববধানের জন্য বিএসইসি এবং বিএএসএম এর ১২ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ (আহ্বায়ক), বিএএসএম মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিএসইসির পরিচালক আবু রায়হান মোহাম্মদ মুতাসীম বিল্লাহ, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন খান, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক হাফিজ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বিএএসএমের ফ্যাকান্টি-৩ ড. নিতাই চন্দ্র দেবনাথ, বিএএসএমের উপ-পরিচালক আব্দুল মালেক, বিএএসএমের ফ্যাকল্টি-৪ মো. সেলিম, বিএএসএমের উপ-পরিচালক সানজিদা পারভিন, বিএএসএমের সহকারী পরিচালক খোন্দকার মো. হাবিবুল্লাহ (সদস্য সচিব)। বিনিয়োগ শিক্ষা সংক্রান্ত গঠিত কমিটি প্রয়োজনে একাধিক উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে। কমিটির সভা ও অন্যান্য বিষয়ে ব্যয় বিএএসএম বহন করবে।

এর আগে গত ৩০ জুলাই ময়মনসিংহ বিভাগে বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান। এছাড়া করিম ‘দ্য স্মার্ট অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল।

এর আগে দেশের অন্যান্য বিভাগে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে এ ধরনের কনফারেন্স আয়োজন করা হয়েছে। এবার চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলায় প্রথমবারের মতো জেলাভিত্তিক বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে।

চলতি বছর বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। জেলা পর্যায়ে মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে এ ধরনের আনুষ্ঠান আয়োজন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্যালভো কেমিক্যালের আয় বেড়েছে ৪৮২ শতাংশ

বিএসইসি ও বিএএসএমের মতে, দেশের শেয়ারবাজারে এখনও অধিকাংশই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। তারা যথাযথ বিনিয়োগ শিক্ষার বিষয়ে জানেন না। তারা তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক বিবরণী এবং অন্যান্য প্রাপ্ত তথ্যাদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন না। তাই গুজব, ধারণা ও আবেগের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে বাজারে তথ্যের অসামঞ্জস্য বাড়ে। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারা বৃহৎ বিনিয়োগকারীদের অনুসরণ করে থাকেন। এর ফলে বাজার কারসাজির সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। যার ফলে শেয়ারবাজারে ভুল বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই বিনিয়োগ শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলে, শেয়ারবাজারে তথ্য অসামঞ্জস্য কমবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল ও দক্ষ হবে। বাজার কারসাজির সম্ভাবনা কমবে। এরই ধরাবাহিকতায় বিএসইসি ২০১২ সালে একটি ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে, যেখানে বিনিয়োগ শিক্ষার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়। এই উদ্যোগকে ফলপ্রসূ করার জন্য স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করার কথা বলা হয়েছে। তাই জাতীয় পাঠ্যক্রমে আর্থিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি ও বিএএসএম। ইতিমধ‌্যে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিএসইসি। দেশের শেয়ারবাজারে শিক্ষিত বিনিয়োগকারী গড়ে তুলতে বিএসইসির নির্দেশে এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিএএসএম হলো বিএসইসির একটি একাডেমিক শাখা। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএএসএম উদ্বোধন করেন। সারা দেশে আর্থিক সাক্ষরতা সম্প্রসারণের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৬ মে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ডা. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বিআইবিএমের মহাপরিচালক হিসবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

নোয়াখালীতে বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স ১৯ নভেম্বর

আপডেট: ০৬:৪২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের জনগণকে বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ শিক্ষা বিস্তার সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে বিএসইসি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করে ‘বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম)’। 

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষিত বিনিয়োগকারী ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলায় আগামী ১৯ নভেম্বর ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স- ২০২২’ অনুষ্ঠিত হবে। বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বিএসইসি ও বিএএসএম যৌথ উদ্যোগে এ কনফারেন্স আয়োজন করতে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নোয়াখালীতে কনফারেন্স অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএএসএম তাদের লোকবল এবং তহবিল ব্যবহার করে ওই বিভাগীয় কনফারেন্স অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি গ্রহণ ও সম্পন্ন করবে। এ লক্ষ্য বিএসইসি’র ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসইসি ও বিএএসএমের যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নোয়াখালীতে বিনিয়োগ শিক্ষা সংক্রান্ত কনফারেন্স, ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে। এ কনফারেন্সের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও তত্ত্ববধানের জন্য বিএসইসি এবং বিএএসএম এর ১২ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ (আহ্বায়ক), বিএএসএম মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিএসইসির পরিচালক আবু রায়হান মোহাম্মদ মুতাসীম বিল্লাহ, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন খান, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক হাফিজ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বিএএসএমের ফ্যাকান্টি-৩ ড. নিতাই চন্দ্র দেবনাথ, বিএএসএমের উপ-পরিচালক আব্দুল মালেক, বিএএসএমের ফ্যাকল্টি-৪ মো. সেলিম, বিএএসএমের উপ-পরিচালক সানজিদা পারভিন, বিএএসএমের সহকারী পরিচালক খোন্দকার মো. হাবিবুল্লাহ (সদস্য সচিব)। বিনিয়োগ শিক্ষা সংক্রান্ত গঠিত কমিটি প্রয়োজনে একাধিক উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে। কমিটির সভা ও অন্যান্য বিষয়ে ব্যয় বিএএসএম বহন করবে।

এর আগে গত ৩০ জুলাই ময়মনসিংহ বিভাগে বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান। এছাড়া করিম ‘দ্য স্মার্ট অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল।

এর আগে দেশের অন্যান্য বিভাগে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে এ ধরনের কনফারেন্স আয়োজন করা হয়েছে। এবার চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলায় প্রথমবারের মতো জেলাভিত্তিক বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে।

চলতি বছর বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। জেলা পর্যায়ে মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে এ ধরনের আনুষ্ঠান আয়োজন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্যালভো কেমিক্যালের আয় বেড়েছে ৪৮২ শতাংশ

বিএসইসি ও বিএএসএমের মতে, দেশের শেয়ারবাজারে এখনও অধিকাংশই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। তারা যথাযথ বিনিয়োগ শিক্ষার বিষয়ে জানেন না। তারা তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক বিবরণী এবং অন্যান্য প্রাপ্ত তথ্যাদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন না। তাই গুজব, ধারণা ও আবেগের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে বাজারে তথ্যের অসামঞ্জস্য বাড়ে। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারা বৃহৎ বিনিয়োগকারীদের অনুসরণ করে থাকেন। এর ফলে বাজার কারসাজির সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। যার ফলে শেয়ারবাজারে ভুল বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই বিনিয়োগ শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলে, শেয়ারবাজারে তথ্য অসামঞ্জস্য কমবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল ও দক্ষ হবে। বাজার কারসাজির সম্ভাবনা কমবে। এরই ধরাবাহিকতায় বিএসইসি ২০১২ সালে একটি ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে, যেখানে বিনিয়োগ শিক্ষার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়। এই উদ্যোগকে ফলপ্রসূ করার জন্য স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করার কথা বলা হয়েছে। তাই জাতীয় পাঠ্যক্রমে আর্থিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি ও বিএএসএম। ইতিমধ‌্যে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিএসইসি। দেশের শেয়ারবাজারে শিক্ষিত বিনিয়োগকারী গড়ে তুলতে বিএসইসির নির্দেশে এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিএএসএম হলো বিএসইসির একটি একাডেমিক শাখা। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএএসএম উদ্বোধন করেন। সারা দেশে আর্থিক সাক্ষরতা সম্প্রসারণের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৬ মে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ডা. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বিআইবিএমের মহাপরিচালক হিসবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা/এসএ