পতনেও অপ্রতিরোধ্য বীমা খাত- কারসাজি না কি স্বাভাবিক!
- আপডেট: ০৯:৪৭:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১
- / ৪২৩৯ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: টানা তিন কার্যদিবস উত্থানের পর গতকাল রোববার পতন হয় দেশের পুঁজিবাজারে। পুঁজিবাজারে পতন হলেও সেদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল সাধারণ বীমা খাত। অন্যদিকে রিটার্নের দিক থেকেও কিছুটা ভালো অবস্থায় ছিল আলোচিত খাতটি। এর পরের দিন গতকালও পতন হয় পুঁজিবাজারে। তবে গতকাল লেনদেনে ও রিটার্নে উভয় ক্ষেত্রেই শীর্ষে অবস্থান করছে সাধারণ বীমা খাত। গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ দশমিক ১০ শতাংশ দখল করে শীর্ষে রয়েছে সাধারণ বীমা খাত। অন্যদিকে রিটার্নে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে আলোচিত খাতটি রয়েছে। এর আগে রোববার খাতটি লেনদেনের ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে ও রিটার্নে দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ নিয়ে পঞ্চম স্থানে ছিল।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই পুঁজিবাজারে বীমা খাতের শেয়ারের দর বাড়তে শুরু করেছে। স্বল্প মূলধনি হওয়ার কারণে বীমা খাতের শেয়ার সংখ্যা কম। ফলে বাজারের চিহ্নিত কিছু পুরনো কারসাজি চক্রের সদস্যরা গত আড়াই-তিন মাস ধরে বীমা খাতের শেয়ারের দর কারসাজির মাধ্যমে বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে সাধারণ বীমা খাত নিয়ে বড় ধরনের কারসাজি চলছে বলে জানান তারা। তারা বলেন, সাধারণ বীমা খাত নিয়ে বড় কারসাজি চালিয়ে আসছে কারসাজি চক্র। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। মাঝে খাতটি থেকে মুনাফা উত্তোলনের প্রবণতায় কয়েকদিন পতন হয়। পরে আবার আগের মতোই কারসাজি করে দর বাড়ানো হচ্ছে। এতে বাজারে পতন হলেও কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ বীমা খাতের শেয়ার চাঙ্গাই থাকছে। বাজারে দেখা যায় বীমা খাতের বেশির ভাগ শেয়ার যৌক্তিক দরের থেকে অনেক বেশি। যেসব শেয়ারে অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ছে সেগুলোর বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নজর না দিলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বড় ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তার কিছু সময় পরেই সূচকের পতন ঘটে। পরে আবার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় ফেরে সূচক। সারা দিন উত্থান ও পতনের মাধ্যমে দিনশেষে সূচকের পতন অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৩ দশমিক ৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ৬ হাজার ৩৬ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ইস্টার্ন ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বিএসআরএম লিমিটেড ও বিবিএস কেবলসের।