১১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পদ্মা সেতুর কাজ বাকি সাড়ে ৬ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • / ৪১৯১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুটি পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরে। এর আগেই শুরু হয় স্প্যানের ভেতরে রেলওয়ে স্ল্যাব আর ওপরে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ, যা এখন শেষের দিকে। বাকি শুধু ভেতরে রেলপথ আর ওপরে পিচ ঢালাইয়ের কাজ। প্রকল্প কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, মূল সেতুর নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সেতুটিতে আগামী বছরের জুনের মধ্যে একই সঙ্গে গাড়ি ও ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।

আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে। আর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। ৪২টি পিয়ারের ওপর সব মিলিয়ে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর। বিশ্বের দীর্ঘতম স্টিল কাঠামোর ট্রাস সেতুটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

দ্বিতল পদ্মা সেতুর নিচতলায় চলবে ট্রেন। এজন্য স্প্যানগুলোর ভেতরে বসানো হচ্ছে রেলওয়ে স্ল্যাব। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটিতে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসবে। গতকাল পর্যন্ত রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো বাকি ছিল মাত্র ১১২টি। রেলওয়ে স্ল্যাবগুলো বসানোর কাজ শেষ হলেই শুরু হবে রেলপথ বসানোর কাজ। উন্নত প্রযুক্তির পাথরবিহীন রেলপথ দিয়ে পদ্মা সেতু পারাপার হবে ট্রেন। সিঙ্গেল লাইনের রেলপথটিতে মিটার গেজ ও ব্রড গেজ—দুই ধরনের ট্রেন চলাচলেরই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেতুর ওপরতলায় যানবাহন চলাচলের জন্য থাকবে চার লেনের প্রশস্ত সড়ক। সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে স্প্যানের ওপর বসানো কংক্রিটের স্ল্যাবের ওপর। পুরো সেতুটিতে বসানো হচ্ছে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। গতকাল পর্যন্ত মাত্র ২৯০টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ বাকি ছিল। এসব স্ল্যাবের ওপর নির্মাণ করা সড়ক দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। আর যেদিন পদ্মা সেতু চালু হবে, ঠিক সেদিন থেকেই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালানোরও লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এজন্য ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ। তবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে পুরো রেলপথটি নয়, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশটি চালুর লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

নির্মাণকাজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বণিক বার্তাকে বলেন, সেতুর সিংহভাগ কাজ শেষ। এখন করা হচ্ছে রোডওয়ে স্ল্যাবের ওপর ডিভাইডার ও রেলিং তৈরির কাজ। কাজটি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ডিভাইডার ও রেলিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর শুরু হবে পিচ ঢালাইয়ের কাজ। এখন বর্ষাকাল হওয়ায় পিচ ঢালাইয়ের কাজটি কিছুদিন পর শুরু করা হবে। তার আগে আমরা ডিভাইডার ও রেলিংয়ের কাজ শেষ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে পিচ ঢালাইয়ের কাজটি শুরু করা সম্ভব হবে। এ কাজ শেষ করতে তিন-চার মাসের মতো সময় লাগতে পারে। গ্যাসের পাইপলাইন স্থাপনের কাজও শুরু হয়ে গেছে। আলোকসজ্জাসহ আরো কিছু আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হলেই পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে পদ্মা সেতু।

অন্যদিকে পদ্মা সেতুর জন্য ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক তৈরি করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। মহাসড়কটি পুরোপুরি ‘অ্যাকসেস কন্ট্রোল’ হওয়ায় সরকারের কর্মকর্তারা এটিকে অভিহিত করছেন এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে। ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের মার্চে এটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

পদ্মা সেতু পরিচালনা রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি)। কেইসি পদ্মা সেতুর টোল আদায়ে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতি চালু করবে। ইটিসি লেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হবে এবং এক্ষেত্রে কোনো যানবাহনকে টোল বুথে থামতে হবে না। কেইসি পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে পারফরম্যান্স বেজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করবে। এ পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং এ-সংক্রান্ত বাজেট প্রণয়নে সহায়ক হবে। একইভাবে প্রতিষ্ঠানটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রাফিক ইনফরমেশন অ্যাপ্লিকেশন চালু করবে। এ পদ্ধতিতে প্রতি মুহূর্তে সড়ক, সেতু বা এর আওতাধীন অন্য যেকোনো অবস্থানে বিদ্যমান যানবাহন-সংক্রান্ত তথ্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেলফোন, বেতার বা অন্য কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে জানা যাবে। কেইসি, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষসহ টোল আদায় করে এ ধরনের সংস্থাগুলোর জনবলকে প্রশিক্ষিত করবে।

পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করছে সরকারের সেতু বিভাগ। গতকাল সেতু বিভাগের চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় যোগ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ ৯৩ দশমিক ৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। একইভাবে নদী শাসনকাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩ দশমিক ৫০ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে শতকরা ৮৬ ভাগ। প্রধানমন্ত্রীর অসীম সাহসের কারণে আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

পদ্মা সেতুর কাজ বাকি সাড়ে ৬ শতাংশ

আপডেট: ০৮:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুটি পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরে। এর আগেই শুরু হয় স্প্যানের ভেতরে রেলওয়ে স্ল্যাব আর ওপরে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ, যা এখন শেষের দিকে। বাকি শুধু ভেতরে রেলপথ আর ওপরে পিচ ঢালাইয়ের কাজ। প্রকল্প কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, মূল সেতুর নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সেতুটিতে আগামী বছরের জুনের মধ্যে একই সঙ্গে গাড়ি ও ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।

আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে। আর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। ৪২টি পিয়ারের ওপর সব মিলিয়ে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর। বিশ্বের দীর্ঘতম স্টিল কাঠামোর ট্রাস সেতুটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

দ্বিতল পদ্মা সেতুর নিচতলায় চলবে ট্রেন। এজন্য স্প্যানগুলোর ভেতরে বসানো হচ্ছে রেলওয়ে স্ল্যাব। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটিতে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসবে। গতকাল পর্যন্ত রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো বাকি ছিল মাত্র ১১২টি। রেলওয়ে স্ল্যাবগুলো বসানোর কাজ শেষ হলেই শুরু হবে রেলপথ বসানোর কাজ। উন্নত প্রযুক্তির পাথরবিহীন রেলপথ দিয়ে পদ্মা সেতু পারাপার হবে ট্রেন। সিঙ্গেল লাইনের রেলপথটিতে মিটার গেজ ও ব্রড গেজ—দুই ধরনের ট্রেন চলাচলেরই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেতুর ওপরতলায় যানবাহন চলাচলের জন্য থাকবে চার লেনের প্রশস্ত সড়ক। সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে স্প্যানের ওপর বসানো কংক্রিটের স্ল্যাবের ওপর। পুরো সেতুটিতে বসানো হচ্ছে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। গতকাল পর্যন্ত মাত্র ২৯০টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ বাকি ছিল। এসব স্ল্যাবের ওপর নির্মাণ করা সড়ক দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। আর যেদিন পদ্মা সেতু চালু হবে, ঠিক সেদিন থেকেই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালানোরও লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এজন্য ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ। তবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে পুরো রেলপথটি নয়, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশটি চালুর লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

নির্মাণকাজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বণিক বার্তাকে বলেন, সেতুর সিংহভাগ কাজ শেষ। এখন করা হচ্ছে রোডওয়ে স্ল্যাবের ওপর ডিভাইডার ও রেলিং তৈরির কাজ। কাজটি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ডিভাইডার ও রেলিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর শুরু হবে পিচ ঢালাইয়ের কাজ। এখন বর্ষাকাল হওয়ায় পিচ ঢালাইয়ের কাজটি কিছুদিন পর শুরু করা হবে। তার আগে আমরা ডিভাইডার ও রেলিংয়ের কাজ শেষ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে পিচ ঢালাইয়ের কাজটি শুরু করা সম্ভব হবে। এ কাজ শেষ করতে তিন-চার মাসের মতো সময় লাগতে পারে। গ্যাসের পাইপলাইন স্থাপনের কাজও শুরু হয়ে গেছে। আলোকসজ্জাসহ আরো কিছু আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হলেই পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে পদ্মা সেতু।

অন্যদিকে পদ্মা সেতুর জন্য ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক তৈরি করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। মহাসড়কটি পুরোপুরি ‘অ্যাকসেস কন্ট্রোল’ হওয়ায় সরকারের কর্মকর্তারা এটিকে অভিহিত করছেন এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে। ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের মার্চে এটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

পদ্মা সেতু পরিচালনা রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি)। কেইসি পদ্মা সেতুর টোল আদায়ে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতি চালু করবে। ইটিসি লেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হবে এবং এক্ষেত্রে কোনো যানবাহনকে টোল বুথে থামতে হবে না। কেইসি পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে পারফরম্যান্স বেজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করবে। এ পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং এ-সংক্রান্ত বাজেট প্রণয়নে সহায়ক হবে। একইভাবে প্রতিষ্ঠানটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রাফিক ইনফরমেশন অ্যাপ্লিকেশন চালু করবে। এ পদ্ধতিতে প্রতি মুহূর্তে সড়ক, সেতু বা এর আওতাধীন অন্য যেকোনো অবস্থানে বিদ্যমান যানবাহন-সংক্রান্ত তথ্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেলফোন, বেতার বা অন্য কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে জানা যাবে। কেইসি, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষসহ টোল আদায় করে এ ধরনের সংস্থাগুলোর জনবলকে প্রশিক্ষিত করবে।

পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করছে সরকারের সেতু বিভাগ। গতকাল সেতু বিভাগের চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় যোগ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ ৯৩ দশমিক ৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। একইভাবে নদী শাসনকাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩ দশমিক ৫০ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে শতকরা ৮৬ ভাগ। প্রধানমন্ত্রীর অসীম সাহসের কারণে আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: