০১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

পাঁচ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি এক হাজার ১৭৯ কো‌টি ডলার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৮৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের শুরু থেকে বড় অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৭৯ কো‌টি ডলার। একই সময় বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ঘাটতিও ৫৬৭ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য (ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৩ হাজার ২৫৩ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৭৪ কোটি ডলারের পণ্য। এতে ১ হাজার কোটি ১৭৯ লাখ (১১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন) ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি, বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী ও আশানুরূপ রেমিট্যান্স প্রবাহ না থাকায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়ছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: বাজারে আসছে ৫০ টাকার নতুন নোট

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাস শেষে সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৩৬৬ কোটি ডলার। অন্যদিকে সেবা খাতে দেশের ব্যয় হয়েছে ৫৩৯ কোটি ডলার। সেবা খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৭৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৩৬ কোটি ডলার।

চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো। কিন্তু দেশে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স এখন ঋণাত্মক হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরে নভেম্বর শেষে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৬৭ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে এ ঘাটতি ছিল ৬২২ কোটি ডলার।

সামগ্রিক লেনদেনেও (ওভার অল ব্যাল্যান্স) বড় ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। নভেম্বর শেষে সামগ্রিক লেনদেনের (ঋণাত্মক) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩৮ কোটি ডলার। এ সূচকটি আগের অর্থবছরের একই সময় ২০২ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৮৭৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগের অর্থবছরে একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ৮৫৯ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় দুই শতাংশ।

দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) সামান্য বেড়েছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে জুলাই-‌নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশ যেখানে ১৮৫ কোটি ডলারের এফডিআই পেয়েছিল। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা সামান্য বেড়ে ১৯৭ কোটি ডলারে উঠেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সরাসরি মোট যে বিদেশি বিনিয়োগ আসে তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ নিয়ে যাওয়ার পর যেটা অবশিষ্ট থাকে সেটাকে নিট এফডিআই বলা হয়। আলোচিত সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগও বেড়ে ৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছর একই সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৮৭ কোটি ডলার।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

পাঁচ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি এক হাজার ১৭৯ কো‌টি ডলার

আপডেট: ০৭:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের শুরু থেকে বড় অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৭৯ কো‌টি ডলার। একই সময় বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ঘাটতিও ৫৬৭ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য (ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৩ হাজার ২৫৩ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৭৪ কোটি ডলারের পণ্য। এতে ১ হাজার কোটি ১৭৯ লাখ (১১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন) ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি, বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী ও আশানুরূপ রেমিট্যান্স প্রবাহ না থাকায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়ছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: বাজারে আসছে ৫০ টাকার নতুন নোট

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাস শেষে সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৩৬৬ কোটি ডলার। অন্যদিকে সেবা খাতে দেশের ব্যয় হয়েছে ৫৩৯ কোটি ডলার। সেবা খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৭৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৩৬ কোটি ডলার।

চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো। কিন্তু দেশে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স এখন ঋণাত্মক হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরে নভেম্বর শেষে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৬৭ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে এ ঘাটতি ছিল ৬২২ কোটি ডলার।

সামগ্রিক লেনদেনেও (ওভার অল ব্যাল্যান্স) বড় ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। নভেম্বর শেষে সামগ্রিক লেনদেনের (ঋণাত্মক) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩৮ কোটি ডলার। এ সূচকটি আগের অর্থবছরের একই সময় ২০২ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৮৭৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগের অর্থবছরে একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ৮৫৯ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় দুই শতাংশ।

দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) সামান্য বেড়েছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে জুলাই-‌নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশ যেখানে ১৮৫ কোটি ডলারের এফডিআই পেয়েছিল। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা সামান্য বেড়ে ১৯৭ কোটি ডলারে উঠেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সরাসরি মোট যে বিদেশি বিনিয়োগ আসে তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ নিয়ে যাওয়ার পর যেটা অবশিষ্ট থাকে সেটাকে নিট এফডিআই বলা হয়। আলোচিত সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগও বেড়ে ৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছর একই সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৮৭ কোটি ডলার।

ঢাকা/টিএ