০৫:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

পিএসজির বিপক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেবে রিয়াল মাদ্রিদ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • / ৪১০৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কথা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। পাকা কথা-বার্তার ফলে কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের সব কাগজপত্রও তৈরি করে ফেলেছিল লজ ব্লাঙ্কোজরা। কিন্তু আনুষ্ঠানিকতার ঠিক আগ মুহূর্তে মোক্ষম সুযোগটি গ্রহণ করে নিলো পিএসজি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তারা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে হয়তো ভালো কোনো প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকি কিলিয়ান এমবাপের সব দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছিল। এ কারণে ইউ টার্ন নেন এমবাপে। রিয়াল মাদ্রিদ নয়, বরং পিএসজির সঙ্গেই আরও তিন বছরের জন্য ঘাঁটছড়া বাধলেন তিনি। ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ালের চুক্তির মেয়াদ।

রিয়ালের সঙ্গে সব কথা পাকাপাকি হওয়ার পরও এভাবে এমবাপেকে টেনে নেয়ার কারণে পিএসজির ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। পিএসজির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও ভাবছে তারা।

৩০ জুন পিএসজির সঙ্গে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এমবাপের। দলটির সঙ্গে নতুন চুক্তিও করেননি তিনি। যে কারণে ধারণা করা হচ্ছিল, সম্ভবত প্যারিস ছেড়ে মাদ্রিদেই পাড়ি জমাচ্ছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিএসজিতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং শনিবার মেটজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন তিনি।

এমবাপের পিএসজিতে থাকার ঘোষণা দেয়ার কিছুক্ষণ আগেই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে রিয়াল মাদ্রিদ। সেখানে তারা অভিযোগ করে, ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে- রুলস ভাঙার কারণে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উয়েফা, ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ, রাজস্ব বিভাগ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে পিএসজির বিপক্ষে অভিযোগ দায়ের করবে রিয়াল মাদ্রিদ। উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইউরোপিয়ান ফুটবলে যে অর্থনৈতিক সিস্টেম রয়েছে সেটাকে বলবৎ রাখা এবং এর স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করা।’

তারা লিখেছে, ‘এ ধরনের চুক্তি ইউরোপিয়ান ফুটবলে অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা নষ্ট করার জন্য বিশাল এক হুমকি। লাখের ওপর মানুষের চাকরির অনিশ্চয়তা তৈরি হয় এর মধ্য দিয়ে এবং খেলাটির নৈতিক অবস্থানও দুর্বল হয়ে যায়। পিএসজির মত ক্লাব স্ক্যান্ডাল তৈরি করেছে। অন্য একটি ক্লাব যখন একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তির সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করে এনেছে, তখন তাকে অধিক অর্থের প্রস্তাব দিয়ে প্রায় কেড়ে নিয়েছে। দেখা গেছে, অগ্রহণযোগ্য পারিশ্রমিক ধরা হচ্ছে। যে কারণে আগের মৌসুমগুলোতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছে। এটা উয়েফা এবং ফ্রান্সের ইকোনোমিক রুলসের সরাসরি লঙ্ঘণ।
ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

পিএসজির বিপক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেবে রিয়াল মাদ্রিদ

আপডেট: ০২:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কথা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। পাকা কথা-বার্তার ফলে কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের সব কাগজপত্রও তৈরি করে ফেলেছিল লজ ব্লাঙ্কোজরা। কিন্তু আনুষ্ঠানিকতার ঠিক আগ মুহূর্তে মোক্ষম সুযোগটি গ্রহণ করে নিলো পিএসজি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তারা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে হয়তো ভালো কোনো প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকি কিলিয়ান এমবাপের সব দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছিল। এ কারণে ইউ টার্ন নেন এমবাপে। রিয়াল মাদ্রিদ নয়, বরং পিএসজির সঙ্গেই আরও তিন বছরের জন্য ঘাঁটছড়া বাধলেন তিনি। ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ালের চুক্তির মেয়াদ।

রিয়ালের সঙ্গে সব কথা পাকাপাকি হওয়ার পরও এভাবে এমবাপেকে টেনে নেয়ার কারণে পিএসজির ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। পিএসজির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও ভাবছে তারা।

৩০ জুন পিএসজির সঙ্গে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এমবাপের। দলটির সঙ্গে নতুন চুক্তিও করেননি তিনি। যে কারণে ধারণা করা হচ্ছিল, সম্ভবত প্যারিস ছেড়ে মাদ্রিদেই পাড়ি জমাচ্ছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিএসজিতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং শনিবার মেটজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন তিনি।

এমবাপের পিএসজিতে থাকার ঘোষণা দেয়ার কিছুক্ষণ আগেই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে রিয়াল মাদ্রিদ। সেখানে তারা অভিযোগ করে, ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে- রুলস ভাঙার কারণে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উয়েফা, ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ, রাজস্ব বিভাগ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে পিএসজির বিপক্ষে অভিযোগ দায়ের করবে রিয়াল মাদ্রিদ। উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইউরোপিয়ান ফুটবলে যে অর্থনৈতিক সিস্টেম রয়েছে সেটাকে বলবৎ রাখা এবং এর স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করা।’

তারা লিখেছে, ‘এ ধরনের চুক্তি ইউরোপিয়ান ফুটবলে অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা নষ্ট করার জন্য বিশাল এক হুমকি। লাখের ওপর মানুষের চাকরির অনিশ্চয়তা তৈরি হয় এর মধ্য দিয়ে এবং খেলাটির নৈতিক অবস্থানও দুর্বল হয়ে যায়। পিএসজির মত ক্লাব স্ক্যান্ডাল তৈরি করেছে। অন্য একটি ক্লাব যখন একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তির সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করে এনেছে, তখন তাকে অধিক অর্থের প্রস্তাব দিয়ে প্রায় কেড়ে নিয়েছে। দেখা গেছে, অগ্রহণযোগ্য পারিশ্রমিক ধরা হচ্ছে। যে কারণে আগের মৌসুমগুলোতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছে। এটা উয়েফা এবং ফ্রান্সের ইকোনোমিক রুলসের সরাসরি লঙ্ঘণ।
ঢাকা/এসএম