১১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পুঁজিবাজারের গতিশীলতায় বাড়ছে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের মেয়াদ ও আকার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • / ৪১২৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তার জন্য ২০১৩ সালে ৯০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছিল সরকার। পরবর্তী সময়ে এটিকে ঘূর্ণায়মাণ তহবিলে রূপান্তর করা হয়। পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তারল্য সরবরাহ বাড়াতে এবার এ তহবিলের আকার ও মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা চলছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার প্রবণতাও ক্রমেই বাড়ছে। এ অবস্থায় বাজার স্থিতিশীলতায় করণীয় নির্ধারণে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান তহবিলের আকার ও মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তহবিলটির আকার কী পরিমাণ বাড়বে ও মেয়াদ আরো কতদিন বাড়ানো হবে—বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকেও এরই মধ্যে তহবিলটির আকার ও মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

২০১৩ সালে ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’ নামে ৯০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আইসিবির নিজস্ব ও বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারীদের এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে এটিকে ঘূর্ণায়মাণ তহবিলে রূপান্তর করে সরকার। সেই সময় তহবিলে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৫৬ কোটি টাকা। এ তহবিল থেকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের বিপরীতে আদায় ৯৫৭ কোটি টাকা হয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। আর ঋণ আদায়ের সময়সীমা আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। মেয়াদ ফুরিয়ে আসার কারণে বর্তমানে এ তহবিল থেকে কেউ ঋণ নিতে আগ্রহী হচ্ছে না।

এদিকে নিম্নমুখী পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ক্রয় সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এজন্য গতকাল মার্জিন ঋণ প্রদান নীতিমালায় ছাড় দেয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে সূচক যাই থাকুক না কেন পিই রেশিও ৪০ পর্যন্ত যেকোনো শেয়ারে ১:১ অনুপাতে ঋণ সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারীর যত টাকার বিনিয়োগ রয়েছে তার শতভাগ অর্থ তিনি মার্জিন ঋণ হিসেবে পাবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।

ঢাকা/এসআর

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

পুঁজিবাজারের গতিশীলতায় বাড়ছে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের মেয়াদ ও আকার

আপডেট: ১২:০১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তার জন্য ২০১৩ সালে ৯০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছিল সরকার। পরবর্তী সময়ে এটিকে ঘূর্ণায়মাণ তহবিলে রূপান্তর করা হয়। পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তারল্য সরবরাহ বাড়াতে এবার এ তহবিলের আকার ও মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা চলছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার প্রবণতাও ক্রমেই বাড়ছে। এ অবস্থায় বাজার স্থিতিশীলতায় করণীয় নির্ধারণে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান তহবিলের আকার ও মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তহবিলটির আকার কী পরিমাণ বাড়বে ও মেয়াদ আরো কতদিন বাড়ানো হবে—বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকেও এরই মধ্যে তহবিলটির আকার ও মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

২০১৩ সালে ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’ নামে ৯০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আইসিবির নিজস্ব ও বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারীদের এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে এটিকে ঘূর্ণায়মাণ তহবিলে রূপান্তর করে সরকার। সেই সময় তহবিলে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৫৬ কোটি টাকা। এ তহবিল থেকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের বিপরীতে আদায় ৯৫৭ কোটি টাকা হয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। আর ঋণ আদায়ের সময়সীমা আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। মেয়াদ ফুরিয়ে আসার কারণে বর্তমানে এ তহবিল থেকে কেউ ঋণ নিতে আগ্রহী হচ্ছে না।

এদিকে নিম্নমুখী পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ক্রয় সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এজন্য গতকাল মার্জিন ঋণ প্রদান নীতিমালায় ছাড় দেয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে সূচক যাই থাকুক না কেন পিই রেশিও ৪০ পর্যন্ত যেকোনো শেয়ারে ১:১ অনুপাতে ঋণ সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারীর যত টাকার বিনিয়োগ রয়েছে তার শতভাগ অর্থ তিনি মার্জিন ঋণ হিসেবে পাবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।

ঢাকা/এসআর