১২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করা হবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:২১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে কারসাজি বা ম্যানুপুলেশন রোধ করতে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করা হবে। এ নিয়ে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বাজারে গুজব, সিরিয়াল ট্রেডিং, সার্কুলার ট্রেডিং, ইনসাইডার ট্রেডিংসহ নানাভাবে শেয়ার দর বৃদ্ধির মাধ্যমে নানা চক্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাজারকে অস্থির করে তুলছে। এসব চক্র রোধে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করবে বিএসইসি।

বিএসইসি সূত্র জানায়, ম্যানুপুলেশন রোধের জন্য মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করবে বিএসইসি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে কিভাবে তা কাজ করবে তার একটি রুটম্যাপ তৈরির কাজ চলছে। সবকিছু বিচার বিশ্লেষণের পর তা চূড়ান্ত রূপ পাবে।

মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করার পর এর সদস্যরা ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে নজরদারি বাড়াবে। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে ট্রেকহোল্ডাররাও মার্কেট ইন্টেলিজেন্স আওতায় থাকবে। বাজারে কোনো ধরনের ম্যানুপুলেশন হলে সঙ্গে সঙ্গে মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের কাছে ধরা পড়বে। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ম্যানুপুলেশনের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এভাবে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স গঠনের বিষয়টি এগিয়ে যাচ্ছে।

এ সম্পর্কে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাজারে ম্যানুপুলেশন রোধে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করবে কমিশন। এ বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আগে বেশকিছু বিষয় পর্যালোচনা করা হবে। এরপর তা চূড়ান্ত রূপ পাবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে অডিটরদের মিথ্যা তথ্য, ইস্যু ম্যানেজারদের প্রতারণা, আন্ডার রাইটাদের জবাবদিহির বাইরে থাকা, স্পন্সরদের প্রতারণা, পুন:মূল্যায়নের মাধ্যমে কোম্পানির জমির দাম অতিরঞ্জিত দেখানো, হঠাৎ কোম্পানির ইপিএস বৃদ্ধি পাওয়া বা কমে যাওয়া, পণ্যের বিক্রি বেড়ে যাওয়া, উৎপাদন বেড়ে যাওয়া, ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা নতুন কিছু নয়। এসব কিছুর ওপর ভিত্তি করেই কারসাজি চক্র ফায়দা লুটতে চেষ্টা করে। যা বাজারকে অস্থির করে তুলে। বাজার তার গতি হারায়, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি আস্থা হারায় বিনিয়োগকারীরা।

তারা বলছেন, মার্কেট ইন্টেলিজেন্স গঠনের মাধ্যমে যদি এসব ম্যানুপুলেশন রোধ করা সম্ভব হয়, তাহলে বাজারের জন্য তা ইতিবাচক ধারা বয়ে আনবে। তবে ম্যানুপুলেশন হওয়ার পর তা চিহ্নিত না করে আগেই তার মূল উৎপাটনে কাজ করতে হবে মার্কেট ইন্টেলিজেন্সকে।

শেয়ার করুন

x
English Version

পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করা হবে

আপডেট: ১০:২১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

পুঁজিবাজারে কারসাজি বা ম্যানুপুলেশন রোধ করতে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করা হবে। এ নিয়ে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বাজারে গুজব, সিরিয়াল ট্রেডিং, সার্কুলার ট্রেডিং, ইনসাইডার ট্রেডিংসহ নানাভাবে শেয়ার দর বৃদ্ধির মাধ্যমে নানা চক্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাজারকে অস্থির করে তুলছে। এসব চক্র রোধে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করবে বিএসইসি।

বিএসইসি সূত্র জানায়, ম্যানুপুলেশন রোধের জন্য মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করবে বিএসইসি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে কিভাবে তা কাজ করবে তার একটি রুটম্যাপ তৈরির কাজ চলছে। সবকিছু বিচার বিশ্লেষণের পর তা চূড়ান্ত রূপ পাবে।

মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করার পর এর সদস্যরা ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে নজরদারি বাড়াবে। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে ট্রেকহোল্ডাররাও মার্কেট ইন্টেলিজেন্স আওতায় থাকবে। বাজারে কোনো ধরনের ম্যানুপুলেশন হলে সঙ্গে সঙ্গে মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের কাছে ধরা পড়বে। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ম্যানুপুলেশনের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এভাবে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স গঠনের বিষয়টি এগিয়ে যাচ্ছে।

এ সম্পর্কে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাজারে ম্যানুপুলেশন রোধে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করবে কমিশন। এ বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আগে বেশকিছু বিষয় পর্যালোচনা করা হবে। এরপর তা চূড়ান্ত রূপ পাবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে অডিটরদের মিথ্যা তথ্য, ইস্যু ম্যানেজারদের প্রতারণা, আন্ডার রাইটাদের জবাবদিহির বাইরে থাকা, স্পন্সরদের প্রতারণা, পুন:মূল্যায়নের মাধ্যমে কোম্পানির জমির দাম অতিরঞ্জিত দেখানো, হঠাৎ কোম্পানির ইপিএস বৃদ্ধি পাওয়া বা কমে যাওয়া, পণ্যের বিক্রি বেড়ে যাওয়া, উৎপাদন বেড়ে যাওয়া, ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা নতুন কিছু নয়। এসব কিছুর ওপর ভিত্তি করেই কারসাজি চক্র ফায়দা লুটতে চেষ্টা করে। যা বাজারকে অস্থির করে তুলে। বাজার তার গতি হারায়, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি আস্থা হারায় বিনিয়োগকারীরা।

তারা বলছেন, মার্কেট ইন্টেলিজেন্স গঠনের মাধ্যমে যদি এসব ম্যানুপুলেশন রোধ করা সম্ভব হয়, তাহলে বাজারের জন্য তা ইতিবাচক ধারা বয়ে আনবে। তবে ম্যানুপুলেশন হওয়ার পর তা চিহ্নিত না করে আগেই তার মূল উৎপাটনে কাজ করতে হবে মার্কেট ইন্টেলিজেন্সকে।