পুতিনের ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে মন্দা
- আপডেট: ০৫:৪২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ৪১৪৭ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের ঘোষণা দিয়ে সেখানে সেনা পাঠিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর তাতেই বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে, এমন আশঙ্কায় পণ্যটির দাম আরও বেড়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল সোমবার রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন। পরে সেখানে সেনা পাঠানোরও নির্দেশ দেন তিনি। তাতে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। বৈশ্বিক শেয়ারবাজারেও গতকাল থেকে সূচক পড়ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের আগাম কেনাবেচায় আজ এরই মধ্যে ব্রেন্ট ক্রুড জ্বালানি তেলের প্রতি ব্যারেলের (৪২ মার্কিন গ্যালন বা ১৫৯ ব্রিটিশ লিটার) দাম বেড়ে ৯৮ দশমিক ২১ মার্কিন ডলারে উঠে গেছে, যা বিগত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড অয়েলের দামও প্রতি ব্যারেল ৯৬ দশমিক ৮২ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ প্রেসিডেন্টের আরও সেনা পাঠানোর নির্দেশ ও পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ায় যুক্তরাজ্য ও তার বেশ কয়েকটি পশ্চিমা মিত্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাশিয়াও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্ববাজারে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিতে রাশ টানতে পারে। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক হলো রাশিয়া। সবচেয়ে বেশি পরিমাণ তেল রপ্তানি করে সৌদি আরব।
ম্যানুলাইফ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের সু ট্রিন বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে সীমান্ত ‘উত্তেজনার উল্লেখযোগ্য প্রভাব’ থাকতে পারে। তিনি বলেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তারা তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে, যা ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে’।
পশ্চিমা শক্তিগুলো মনে করে, বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোকে ভ্লাদিমির পুতিনের স্বীকৃতি প্রদানের ফলে রুশ সৈন্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে প্রবেশের পথ সুগম করেছে। দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বঘোষিত দুটি প্রজাতন্ত্র রাশিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীদের আবাসস্থল, যাঁরা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছেন। রাশিয়ার পদক্ষেপ কার্যত ওই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার পথকে ক্ষীণ করে তুলেছে।