০৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে সমাবেশস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:০৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১০৪৪৪ বার দেখা হয়েছে

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি, জিয়াউর রহমানের বীর-উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে খুলনাতে বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শহীদ মহারাজা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে যেতে পথে পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।

এরই মধ্যে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মীর একটি মিছিল শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় সমাবেশস্থলে পৌঁছায়। এ সময় তাদের হাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও খুলনার বিএনপি নেতা রকিবুল ইসলাম বকুলের ছবি সংবলিত প্লাকার্ড দেখা যায়।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে মহানগরীর মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সমাবেশে যোগ দিতে এদিন সকালেই খুলনায় পৌঁছান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ঢাকা থেকে খুলনায় আসার সময় পথে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বিভিন্ন সময় তার গাড়ি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন ইশরাক।

দুপুরে খুলনা পার্টি অফিসের সামনে থেকে সমাবেশস্থলে যাওয়ার সময় দলটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালের মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় মিছিলে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
পরে আজিজুল বারী হেলাল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে সমাবেশে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের মিছিলে বাধা দিয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে কারোরই সভা-সমাবেশ করার অধিকার আছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।

এদিকে, মহাসমাবেশকে ঘিরে খুলনার সঙ্গে ১৮টি সড়কে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক পক্ষ। বিএনপির অভিযোগ, দলটির মহাসমাবেশ বানচাল করতেই এ সিদ্ধান্ত।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেন, সমাবেশের অনুমতি চেয়ে কয়েক দফায় আবেদন করলেও কোনো জায়গায় অনুমতি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পরিবহন বিভাগের মালিকদের ডেকে নিয়ে খুলনার ১৮টি সড়কে সব ধরনের গাড়ি চলাচল ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির অন্তত ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয়েছে।

তবে বিএনপির এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে সমাবেশস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা

আপডেট: ০৩:০৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি, জিয়াউর রহমানের বীর-উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে খুলনাতে বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শহীদ মহারাজা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে যেতে পথে পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।

এরই মধ্যে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মীর একটি মিছিল শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় সমাবেশস্থলে পৌঁছায়। এ সময় তাদের হাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও খুলনার বিএনপি নেতা রকিবুল ইসলাম বকুলের ছবি সংবলিত প্লাকার্ড দেখা যায়।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে মহানগরীর মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সমাবেশে যোগ দিতে এদিন সকালেই খুলনায় পৌঁছান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ঢাকা থেকে খুলনায় আসার সময় পথে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বিভিন্ন সময় তার গাড়ি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন ইশরাক।

দুপুরে খুলনা পার্টি অফিসের সামনে থেকে সমাবেশস্থলে যাওয়ার সময় দলটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালের মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় মিছিলে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
পরে আজিজুল বারী হেলাল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে সমাবেশে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের মিছিলে বাধা দিয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে কারোরই সভা-সমাবেশ করার অধিকার আছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।

এদিকে, মহাসমাবেশকে ঘিরে খুলনার সঙ্গে ১৮টি সড়কে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক পক্ষ। বিএনপির অভিযোগ, দলটির মহাসমাবেশ বানচাল করতেই এ সিদ্ধান্ত।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেন, সমাবেশের অনুমতি চেয়ে কয়েক দফায় আবেদন করলেও কোনো জায়গায় অনুমতি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পরিবহন বিভাগের মালিকদের ডেকে নিয়ে খুলনার ১৮টি সড়কে সব ধরনের গাড়ি চলাচল ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির অন্তত ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয়েছে।

তবে বিএনপির এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

আরও পড়ুন: