খাশোগিকে হত্যার অনুমতি দেন সৌদি যুবরাজ: মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট
- আপডেট: ১২:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ৪১৫৫ বার দেখা হয়েছে
সাংবাদিক জামাল খাশোগি খুনের ব্যাপারে প্রথম থেকেই আঙুল উঠছিল সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দিকে। কিন্তু সৌদি রাজ পরিবার বা যুবরাজ সালমানের পক্ষ থেকে বারবার সব অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছিল। তবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে বিন সালমানের যোগ রয়েছে তা প্রায় নিশ্চিত করেই এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স।
শুক্রবার রাতে ব্রিটেনের জাতীয় পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, চার পৃষ্ঠার ‘জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এ গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার অনুমতি দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি যুবরাজ সালমানের বাবা বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলেন। খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অপ্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদন পড়ার পরই সৌদি বাদশাহকে ফোন করেন বাইডেন।
এদিকে ২০১৯ সালে জামাল খাশোগির হত্যার বর্ষপূর্তির সময়ে প্রথমবার এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নীরবতা ভাঙেন বিন সালমান। হত্যার দায় পরোক্ষভাবে নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন সেই সময়। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, তিনি যেহেতু যুবরাজ তাই এ খুনের দায় তারও।
মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রকাশিত রিপোর্টে এদিন বলা হয়, তাকে হত্যায় সৌদি আরবের কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান নির্দেশ দিয়েছেন। সিআইএ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
এদিকে এ রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই জো বাইডেন সৌদি রাজাকে ফোন করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব বন্ধু রাষ্ট্র। তবে এ ঘটনা তাদের মধ্যে কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি করেছিল। ২০১৮ সালে বেশ কিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হয়েছিল খাশোগির ক্ষতবিক্ষত দেহ।
পশ্চিমা দুনিয়ার অভিযোগ ছিল সৌদি রাজপরিবারের কলকাঠিতে ঘটেছে এ কাজ। কিন্তু সেই ঘটনার পর থেকে মুখে কুলুপ এঁটেছিল সৌদি রাজ পরিবার। সরকার বিবৃতি জারি করে দাবি করেছিল এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নয় রাজ পরিবার। সৌদি রাজত্বের সমালোচক ছিলেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি।
‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-র কলামনিস্ট ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন জামাল খাশোগি। সেদিনই নিখোঁজ হন তিনি। সৌদি সরকার ১৭ দিন দাবি করেছিল তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপে ১৯ অক্টোবর স্বীকার করে, খাশোগিকে সৌদি দূতাবাসের ভেতর হত্যা করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে ১১ জন সৌদি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছিল।
তুর্কি পুলিশের ধারণা, ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
- সেনাসরকার নামাতে জাতিসংঘের পদক্ষেপ চান মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত
- খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশ আজ, ১৮ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে জানা যাবে বিকেলে
- হচ্ছে না বীমা মেলা
- বাংলাদেশের প্রশংসায় জাতিসংঘ মহাসচিব
- বিদায়ী সপ্তাহে পিই কিছুটা বেড়েছে
- পতনেও বাজার মূলধন ফিরেছে হাজার কোটি টাকা
- শেয়ারবাজার নিয়ে নেতিবাচক কিছু নেই: বিএসইসি চেয়ারম্যান
- Decision to cancel IPO quota of three merchant banks
- An era of painful memories of Peelkhana
- BSEC fined three companies Tk 9 lakh
- The President and the Prime Minister pay their respects at the graves of the army officers killed in Peelkhana
- The Dhaka-New Jalpaiguri train will run twice a week
- Funds worth Tk 22,000 crore are coming to the capital market
- Increased deposits in banks, ebb in loan disbursement