১১:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পতনেও বাজার মূলধন ফিরেছে হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪২৫০ বার দেখা হয়েছে

আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহেও পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। সপ্তাহটিতে পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। তবে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১ হাজার ২৯৭ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২ হাজার ১০২ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৭৮ টাকা বা ৪৭.৩৮ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৪৩৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৫৭ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৫৮৩ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ১৭০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৮৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩০৩ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ২৮১ টাকা কম হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯.৬০ পয়েন্ট বা ১.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১৬.৩৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬.৬১ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৯.৭৮ পয়েন্ট বা ১.৮৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়ে ১২২৫.৮৮ এবকং ২০৬৫.৮০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টির বা ৩৩.১৫ শতাংশের, কমেছে ১২৬টির বা ৩৪.৫২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৮টির বা ৩২.৩৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৭০৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৫৫৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৭ কোটি ৮ লাখ ৩৫১ টাকা বা ২৭.৭৮ শতাংশ কম হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭০.৬৬ পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৫০.৬০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১০৩.২২ পয়েন্ট বা ১.০৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৩৫.৫৮ পয়েন্ট বা ১.১০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৩.৫৩ পয়েন্ট বা ১.৯৩ শতাংশ এবং সিএসআই ৪.৮৭ পয়েন্ট বা ০.৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৪৪১.১৫ পয়েন্টে, ১২ হাজার ১৩৩.৭১ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৯৪.৩৮ পয়েন্টে এবং ৯৮৭.৮৬ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮২টির বা ৩০.০৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১২৮টির বা ৪৬.৮৯ শতাংশের কমেছে এবং ৬৩টির বা ২৩.০৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

আরও পড়ুন:

 

 

শেয়ার করুন

x
English Version

পতনেও বাজার মূলধন ফিরেছে হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ১০:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহেও পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। সপ্তাহটিতে পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। তবে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১ হাজার ২৯৭ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২ হাজার ১০২ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৭৮ টাকা বা ৪৭.৩৮ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৪৩৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৫৭ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৫৮৩ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ১৭০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৮৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩০৩ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ২৮১ টাকা কম হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯.৬০ পয়েন্ট বা ১.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১৬.৩৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬.৬১ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৯.৭৮ পয়েন্ট বা ১.৮৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়ে ১২২৫.৮৮ এবকং ২০৬৫.৮০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টির বা ৩৩.১৫ শতাংশের, কমেছে ১২৬টির বা ৩৪.৫২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৮টির বা ৩২.৩৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৭০৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৫৫৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৭ কোটি ৮ লাখ ৩৫১ টাকা বা ২৭.৭৮ শতাংশ কম হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭০.৬৬ পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৫০.৬০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১০৩.২২ পয়েন্ট বা ১.০৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৩৫.৫৮ পয়েন্ট বা ১.১০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৩.৫৩ পয়েন্ট বা ১.৯৩ শতাংশ এবং সিএসআই ৪.৮৭ পয়েন্ট বা ০.৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৪৪১.১৫ পয়েন্টে, ১২ হাজার ১৩৩.৭১ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৯৪.৩৮ পয়েন্টে এবং ৯৮৭.৮৬ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮২টির বা ৩০.০৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১২৮টির বা ৪৬.৮৯ শতাংশের কমেছে এবং ৬৩টির বা ২৩.০৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: