১২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তিকারী আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট: ০১:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪২৫০ বার দেখা হয়েছে

‘আমার এলাকায় আমিই প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বললেও আমি শুনবো না। কাউকে গোনার টাইম নাই।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমন অশোভনীয় ভাষায় কটূক্তিকারী নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিনকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারপূর্বক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা।

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে সদর উপজেলার তৃণমূলের আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপি এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ভূঁইয়া, এওজবালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, কালাদরাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ, দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. হাসান, উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. মোহন, দাদপুর ইউনিয়ন যুব লীগের আহবায়ক আবদুল মতিন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, ২০১১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন সাবেক ইউপি মেম্বার জহির উদ্দিন। তিনি বিভিন্ন দলের লোকজন নিয়ে এলাকায় নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলেন। এদের দিয়ে এলাকায় হামলা, দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছেন। জহির মেম্বার বাহিনীর সদস্য রাসেল ওরফে কালা সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিনের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুক পোস্ট করেন। এতে রাসেলকে ‘গুপ্তচর’ আখ্যা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন জহির মেম্বার। পরে রাসেল এলাকায় ফিরতে জহির মেম্বারকে ফোন দেন।

তখন জহির মেম্বার বলেন, ‘তোমার জন্য অনেকে ফোন দিয়েছে। আমি কারও কথা শুনি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেও আমি শুনবো না। আমার এলাকায় আমিই প্রধানমন্ত্রী। কাউকে গোনার টাইম নাই। তবে তুমি নুরুল আমিনকে (বিএনপি নেতা) কোপাতে পারলে এলাকায় ফিরতে পারবা। আমি তোমার নিরাপত্তাসহ পুরস্কার ও দেবো।’

আরও পড়ুন: জাকার্তায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

বক্তারা আরো বলেন, আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রীকে কটূক্তি করার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও কটূক্তিকারী জহির উদ্দিন ওরপে কসাই জহিরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেয়নি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ। বরং কসাই জহিরের কটূক্তির প্রতিবাদ করায় জহির ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিদের হামলা-মামলার হুমকি-দুমকি দিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তিকারী কসাই জহিরকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টিন্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেওয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিরা।

আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে জহিরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর দাদপুর ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি আবদুল মতিন আবেদন করে। আমরা ওই আবেদনটি গ্রহণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা

শেয়ার করুন

x

প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তিকারী আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

আপডেট: ০১:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

‘আমার এলাকায় আমিই প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বললেও আমি শুনবো না। কাউকে গোনার টাইম নাই।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমন অশোভনীয় ভাষায় কটূক্তিকারী নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিনকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারপূর্বক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা।

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে সদর উপজেলার তৃণমূলের আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপি এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ভূঁইয়া, এওজবালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, কালাদরাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ, দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. হাসান, উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. মোহন, দাদপুর ইউনিয়ন যুব লীগের আহবায়ক আবদুল মতিন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, ২০১১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন সাবেক ইউপি মেম্বার জহির উদ্দিন। তিনি বিভিন্ন দলের লোকজন নিয়ে এলাকায় নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলেন। এদের দিয়ে এলাকায় হামলা, দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছেন। জহির মেম্বার বাহিনীর সদস্য রাসেল ওরফে কালা সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিনের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুক পোস্ট করেন। এতে রাসেলকে ‘গুপ্তচর’ আখ্যা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন জহির মেম্বার। পরে রাসেল এলাকায় ফিরতে জহির মেম্বারকে ফোন দেন।

তখন জহির মেম্বার বলেন, ‘তোমার জন্য অনেকে ফোন দিয়েছে। আমি কারও কথা শুনি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেও আমি শুনবো না। আমার এলাকায় আমিই প্রধানমন্ত্রী। কাউকে গোনার টাইম নাই। তবে তুমি নুরুল আমিনকে (বিএনপি নেতা) কোপাতে পারলে এলাকায় ফিরতে পারবা। আমি তোমার নিরাপত্তাসহ পুরস্কার ও দেবো।’

আরও পড়ুন: জাকার্তায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

বক্তারা আরো বলেন, আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রীকে কটূক্তি করার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও কটূক্তিকারী জহির উদ্দিন ওরপে কসাই জহিরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেয়নি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ। বরং কসাই জহিরের কটূক্তির প্রতিবাদ করায় জহির ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিদের হামলা-মামলার হুমকি-দুমকি দিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তিকারী কসাই জহিরকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টিন্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেওয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিরা।

আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে জহিরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর দাদপুর ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি আবদুল মতিন আবেদন করে। আমরা ওই আবেদনটি গ্রহণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা