০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রবীণদের সঙ্গে ব্যবহার যেমন হওয়া উচিত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৬২ বার দেখা হয়েছে

প্রবীণ ব্যক্তিদের কথা অনেক মূল্যবান হয়। বয়সে বড় হোক কিংবা ছোট, যেকোনো বয়সের মানুষকেই সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য। বিশেষ করে বৃদ্ধ মা-বাবাকে সম্মান ও ভালোবাসা সন্তানের জন্য অপরিহার্য। তাদের কথা মেনে চলা জরুরি। মা-বাবার মতো রাস্তাঘাটে আমরা অনেক প্রবীণ মানুষকে দেখতে পাই। বিপদে-আপদে তাদের সাহায্য করলে তারা অনেক খুশি হন। বড়দের সম্মান করলে নিজের মর্যাদাও বৃদ্ধি পায়। 

শুভকামনা জানান

বয়সে প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কোথাও দেখা হলে শুভকামনা জানান। সালামের মাধ্যমে শুভকামনা জানানো যায়। সালাম দিলে প্রবীণ ব্যক্তিরা খুশি হন। এর মাধ্যমে মানুষকে মূল্যায়ন করা যায়। দেখা-সাক্ষাতে সবসময় সিনিয়র সিটিজেনদের শ্রদ্ধা করা উচিত। বয়স্ক ব্যক্তিদের সালাম দিলে তারাও সালামের উত্তর দেন ও মন থেকে প্রার্থনা করেন। সালাম বিনিময় করলে মেলে মানসিক প্রশান্তি। মনে রাখবেন, নিজে সম্মান পেতে হলে  অন্যকে সম্মান করা অতীব জরুরি। 

সম্মান করুন

বয়সে বড় ব্যক্তিকে সম্মানের সঙ্গে ডাকুন। তারা যে ডাকে সন্তুষ্ট হয় সে ডাকে কথা বলুন। কোনোক্রমে তাদের খেপানো উচিত নয়। বাসে কোনো প্রবীণ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকলে অবলীলায় তাকে নিজের আসন ছেড়ে দিন। এতে আপনার ইতিবাচক কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তাদের কষ্ট দিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। বিশেষ করে বৃদ্ধ মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে কোনো কিছু বলা যাবে না। মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বললে নিজের সম্মানও বেড়ে যায়। 

সহায়তার কথা বলুন

বয়সে প্রবীণ ব্যক্তিদের সাহায্য করলে তাদের মন খুশিতে ভরে ওঠে। পথেঘাটে প্রবীণ কোনো ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হলে তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করুন। তারা কোনো বিপদে পড়লে তাদের যথাসাধ্য সহায়তা করুন। বয়স্ক মানুষের সঙ্গে কোনো ধরনের বেয়াদবি করবেন না। যদি তাদের সহায়তা করতে না পারেন তবে সহায়তার ভণিতা করবেন না। তারা দুর্ঘটনায় আহত হলে সহায়তা না করে নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকবেন না বা ছবি তুলবেন না। 

ধৈর্যশীল থাকুন

বয়স্ক ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে এসে ধৈর্যশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়। বয়সে বড় কোনো মানুষ গুছিয়ে কথা বলতে অসমর্থ হতে পারেন। কিন্তু মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনলে তিনি অনেক খুশি হবেন। হাঁটার সময় তারা ধীরে ধীরে হাঁটেন। তাই তাদের সঙ্গে হাঁটতে গিয়ে বিরক্ত হওয়া সমীচীন নয়। অনেকে বৃদ্ধ মা-বাবার সঙ্গে ধৈর্যশীল থাকতে পারেন না। তাদের সঙ্গে অনর্থক বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। মনে রাখতে হবে, প্রবীণ মা-বাবা আপনাকে ছোটবেলায় লালন-পালন করতে গিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই তাদের বয়সজনিত ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমার চোখে দেখা উচিত এবং তাদের সঙ্গে ধৈর্যের পরিচয় দেয়া উচিত। 

অসামর্থ্যের কথা বলবেন না

অনেকেই বৃদ্ধ মা-বাবা বা অন্য কোনো প্রবীণ ব্যক্তির অসামর্থ্যের অভিযোগ করেন। কাজটি করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এর মধ্য দিয়ে তারা মনে মনে কষ্ট অনুভব করেন। মা-বাবাকে কষ্ট দিলে সন্তানের জন্য সেটি কখনোই সুফল বয়ে আনে না। পথে-ঘাটে অন্য প্রবীণ ব্যক্তিকেও কষ্ট দেয়া উচিত নয়। অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রবীণদের মানসিকভাবে কষ্ট দেয়। এতে বিকৃত আনন্দ লাভ করে তারা। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, আপনিও এক সময়ে সেই প্রবীণের স্থানে পৌঁছাবেন। আজ তারুণ্য পেয়ে কোনো প্রবীণকে কষ্ট দিচ্ছেন, কিন্তু আগামীতে আপনার সন্তান আপনাকে কষ্ট দেবে না তার কোনো নিশ্চয়তা আছে কী। সুতরাং বয়স্ক মানুষের প্রতিবন্ধকতা বা অসামর্থ্যের বিষয়ে সমালোচনা করা উচিত নয়। 

 

আরও পড়ুন্:

শেয়ার করুন

x
English Version

প্রবীণদের সঙ্গে ব্যবহার যেমন হওয়া উচিত

আপডেট: ০৫:১৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মার্চ ২০২১

প্রবীণ ব্যক্তিদের কথা অনেক মূল্যবান হয়। বয়সে বড় হোক কিংবা ছোট, যেকোনো বয়সের মানুষকেই সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য। বিশেষ করে বৃদ্ধ মা-বাবাকে সম্মান ও ভালোবাসা সন্তানের জন্য অপরিহার্য। তাদের কথা মেনে চলা জরুরি। মা-বাবার মতো রাস্তাঘাটে আমরা অনেক প্রবীণ মানুষকে দেখতে পাই। বিপদে-আপদে তাদের সাহায্য করলে তারা অনেক খুশি হন। বড়দের সম্মান করলে নিজের মর্যাদাও বৃদ্ধি পায়। 

শুভকামনা জানান

বয়সে প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কোথাও দেখা হলে শুভকামনা জানান। সালামের মাধ্যমে শুভকামনা জানানো যায়। সালাম দিলে প্রবীণ ব্যক্তিরা খুশি হন। এর মাধ্যমে মানুষকে মূল্যায়ন করা যায়। দেখা-সাক্ষাতে সবসময় সিনিয়র সিটিজেনদের শ্রদ্ধা করা উচিত। বয়স্ক ব্যক্তিদের সালাম দিলে তারাও সালামের উত্তর দেন ও মন থেকে প্রার্থনা করেন। সালাম বিনিময় করলে মেলে মানসিক প্রশান্তি। মনে রাখবেন, নিজে সম্মান পেতে হলে  অন্যকে সম্মান করা অতীব জরুরি। 

সম্মান করুন

বয়সে বড় ব্যক্তিকে সম্মানের সঙ্গে ডাকুন। তারা যে ডাকে সন্তুষ্ট হয় সে ডাকে কথা বলুন। কোনোক্রমে তাদের খেপানো উচিত নয়। বাসে কোনো প্রবীণ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকলে অবলীলায় তাকে নিজের আসন ছেড়ে দিন। এতে আপনার ইতিবাচক কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তাদের কষ্ট দিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। বিশেষ করে বৃদ্ধ মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে কোনো কিছু বলা যাবে না। মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বললে নিজের সম্মানও বেড়ে যায়। 

সহায়তার কথা বলুন

বয়সে প্রবীণ ব্যক্তিদের সাহায্য করলে তাদের মন খুশিতে ভরে ওঠে। পথেঘাটে প্রবীণ কোনো ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হলে তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করুন। তারা কোনো বিপদে পড়লে তাদের যথাসাধ্য সহায়তা করুন। বয়স্ক মানুষের সঙ্গে কোনো ধরনের বেয়াদবি করবেন না। যদি তাদের সহায়তা করতে না পারেন তবে সহায়তার ভণিতা করবেন না। তারা দুর্ঘটনায় আহত হলে সহায়তা না করে নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকবেন না বা ছবি তুলবেন না। 

ধৈর্যশীল থাকুন

বয়স্ক ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে এসে ধৈর্যশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়। বয়সে বড় কোনো মানুষ গুছিয়ে কথা বলতে অসমর্থ হতে পারেন। কিন্তু মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনলে তিনি অনেক খুশি হবেন। হাঁটার সময় তারা ধীরে ধীরে হাঁটেন। তাই তাদের সঙ্গে হাঁটতে গিয়ে বিরক্ত হওয়া সমীচীন নয়। অনেকে বৃদ্ধ মা-বাবার সঙ্গে ধৈর্যশীল থাকতে পারেন না। তাদের সঙ্গে অনর্থক বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। মনে রাখতে হবে, প্রবীণ মা-বাবা আপনাকে ছোটবেলায় লালন-পালন করতে গিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই তাদের বয়সজনিত ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমার চোখে দেখা উচিত এবং তাদের সঙ্গে ধৈর্যের পরিচয় দেয়া উচিত। 

অসামর্থ্যের কথা বলবেন না

অনেকেই বৃদ্ধ মা-বাবা বা অন্য কোনো প্রবীণ ব্যক্তির অসামর্থ্যের অভিযোগ করেন। কাজটি করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এর মধ্য দিয়ে তারা মনে মনে কষ্ট অনুভব করেন। মা-বাবাকে কষ্ট দিলে সন্তানের জন্য সেটি কখনোই সুফল বয়ে আনে না। পথে-ঘাটে অন্য প্রবীণ ব্যক্তিকেও কষ্ট দেয়া উচিত নয়। অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রবীণদের মানসিকভাবে কষ্ট দেয়। এতে বিকৃত আনন্দ লাভ করে তারা। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, আপনিও এক সময়ে সেই প্রবীণের স্থানে পৌঁছাবেন। আজ তারুণ্য পেয়ে কোনো প্রবীণকে কষ্ট দিচ্ছেন, কিন্তু আগামীতে আপনার সন্তান আপনাকে কষ্ট দেবে না তার কোনো নিশ্চয়তা আছে কী। সুতরাং বয়স্ক মানুষের প্রতিবন্ধকতা বা অসামর্থ্যের বিষয়ে সমালোচনা করা উচিত নয়। 

 

আরও পড়ুন্: