প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যাসেটের পরিচালিত ফান্ডের পোর্টফোলিও তদন্তে কমিটি গঠন
- আপডেট: ০১:০৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
- / ৪১৭৭ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত তিনটি মিউচুয়াল ফান্ডের পোর্টফোলিওর সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলো। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
মিউচুয়াল ফান্ডগুলো হলো- প্রাইম ফাইন্যান্সিয়াল ফার্স্ট ইউনিট ফান্ড, প্রাইম ফাইন্যান্স সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. রফিকুন্নবী এবং সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল্লাহ খান।
তথ্য মতে, গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য ইউনিট হোল্ডারদের অর্থ অবৈধ আত্মসাৎ, অপব্যবহার এবং পাচারে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এবং মূল ব্যবস্থাপনা কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখবে। কমিটি মিউচুয়াল ফান্ডের সমস্ত ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত পর্যালোচনা করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা ডাইংয়ের সাময়িকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
এছাড়া, প্রতিটি মিউচুয়াল ফান্ডের সুবিধাভোগী মালিকের অ্যাকাউন্টে অফিসিয়াল লেনদেনের বিবরণী যাচাই করে দেখবে। কমিটি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে মেয়াদী আমানত এবং অন্যান্য ব্যালেন্সে কুপন পেমেন্ট বা সুদ প্রদানের প্রমাণ পর্যালোচনা করবে। আর মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এবং কোনো সংশ্লিষ্ট পক্ষের সুবিধার জন্য বেআইনি অর্থপ্রদানকেও চিহ্নিত করবে। পাশাপাশি তদন্ত কমিটি সিকিউরিটিজ বিনিয়োগের ত্রৈমাসিক সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) রেকর্ড পর্যালোচনা করবে।
প্রসঙ্গত, ইউএফএস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বিনিয়োগকারীদের তহবিল থেকে ১৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বিএসইসি বিষয়টি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ইউএফএস অ্যাসেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হামজা আলমগীর সম্পদের মিথ্যা প্রতিবেদন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনার পর বিএসইসি অন্যান্য সম্পদ ব্যবস্থাপক পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা/এসএ