বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই ছাপা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বুধবার (২ নভেম্বর) বই ছাপা সংক্রান্ত বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অন্যবছর অনেক আগেই ছাপা শুরু হয়ে যায়। এ বছর মাধ্যমিকের বই আগেই ছাপা শুরু হয়ে গেছে। প্রাথমিকের বই আগামী কাল থেকে শুরু হবে। এ বছর সব মিলিয়ে ৩৪ থেকে ৩৫ কোটি বই ছাপা হবে। আমরা বইয়ের মান অবশ্যই ভালো রাখতে চাই। যদি কাগজের পাল্ফ পাওয়া না যায়, তাহলে সেকেন্ডারি পাল্ফ দিয়ে বই ছাপতে হবে। সেখানে যদি কিছুটা হেরফের হয়, কিন্তু আমাদের গ্রহণযোগ্য মাত্রাটা তো দেখবো।’
দীপু মনি বলেন, ‘এমনিতেই তো আপনারা (সাংবাদিক) মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৩৫ কোটি বই প্রত্যেকটা তো চেক করা সম্ভব হয় না। আমরা চাই— একটা মানে রাখতে, যতদূর পর্যন্ত রাখবার সেটা আমরা চেষ্টা করি। আমরা যে মানের বই পাই, আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি, সেই মানের বই পাবো।’
কাগজসহ অন্যান্য কারণে সময়মতো বই ছাপার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ কিনা, জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কাগজ। বিশ্ব বাজারেই কাগজের দাম বেড়েছে, নানা চাপ আছে। সব কিছু মিলিয়ে নানা কারণে টেন্ডার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। আমরা আশা করছি, লোড শেডিং কমে যাবে। তারপরও কিছু সমস্যা তো আছেই। গত দুই বছর করোনার মাঝেও সময় মতো বই দিয়েছি। এবারও দিতে পারবো।’
আরও পড়ুন: দেশের ৫০ জেলায় ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বই ছাপা এবং সময়মতো বই সরবরাহ সম্ভব হবে কিনা জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা কাগজ কলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ছাপাখানার লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই কথা বলার ভিত্তিতেই আমরা আশা করছি, ১ তারিখেই বই দিতে পারবো। প্রাক-প্রাথমিক, মাধ্যমিক সবই দিতে পারবো। গত বছর মূল বই সব দিতে পেরেছি। কয়েকজন প্রিন্টার সময়মতো বই দিতে পারেনি। একটা জিনিস মনে রাখবেন, আমার বাফার স্টকে বই থাকে। গত বছর যে সংখ্যক বই দিতে দেরি হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি বই বাফার স্টকে ছিল। কিছু বই পরে এসেছে, কিন্তু এমন না যে, আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেকদিন পরে বই পেয়েছে।’
ঢাকা/টিএ