০৪:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ফুটপাতে ঘুমন্ত শ্রমিকদের পিষে দিল ট্রাক, মৃত ১৫

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১১৭ বার দেখা হয়েছে

মধ্যরাতে ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকদের উপর উঠে পড়ে ট্রাক। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ছয় জন।

ভারতের গুজরাটের সুরাট এলাকায় সোমবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৬ জন। পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সুরাটের কোসাম্বায় মধ্যরাতে একটি ট্রাক হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উঠে পড়ে ঘুমন্ত শ্রমিকদের উপরে। এতে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর কথা প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও পরে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।

জানা গেছে, মৃতরা সকলেই রাজস্থানের বান্সওয়াদা জেলার বাসিন্দা। তার শ্রমিক হিসেবে গুজরাটে কাজ করতে এসেছিলেন।

সুরাটের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট সিএম জাদেজা সংবাদ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, ‘আখবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে একটি ট্রাক্টরের ধাক্কা লাগলে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। মুহূর্তে সেটি ফুটপাথে ঘুমন্ত শ্রমিকদের পিষে দেয়।

প্রাথমিকভাবে ১৩ জনের মৃত্যু হলেও পরে আহতদের মধ্যে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। বাকি আহতদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলা জানা গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে প্রতিদিনের মত সারাদিনের কাজের শেষে ফুটপাথে ঘুমিয়ে ছিলেন শ্রমিকরা। ঠিক সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটায় কারও পক্ষেই সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় সুরাট এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী। তারা উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। তাদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও কাজ করছে বলে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘সুরাটের ট্রাক দুর্ঘটনা মর্মান্তিক। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্যের কামনা করি।’

গত বছর মে মাসে ঔরঙ্গাবাদে লকডাউনের সময় বাড়ির পথে চলতে চলতে ক্নান্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা রেললাইনেই ঘুমিয়ে পড়লে ভোরবেলার ট্রেন পিষে দেয় তাদের। সেসময় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের।

শেয়ার করুন

x
English Version

ফুটপাতে ঘুমন্ত শ্রমিকদের পিষে দিল ট্রাক, মৃত ১৫

আপডেট: ১২:৫১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১

মধ্যরাতে ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকদের উপর উঠে পড়ে ট্রাক। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ছয় জন।

ভারতের গুজরাটের সুরাট এলাকায় সোমবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৬ জন। পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সুরাটের কোসাম্বায় মধ্যরাতে একটি ট্রাক হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উঠে পড়ে ঘুমন্ত শ্রমিকদের উপরে। এতে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর কথা প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও পরে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।

জানা গেছে, মৃতরা সকলেই রাজস্থানের বান্সওয়াদা জেলার বাসিন্দা। তার শ্রমিক হিসেবে গুজরাটে কাজ করতে এসেছিলেন।

সুরাটের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট সিএম জাদেজা সংবাদ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, ‘আখবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে একটি ট্রাক্টরের ধাক্কা লাগলে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। মুহূর্তে সেটি ফুটপাথে ঘুমন্ত শ্রমিকদের পিষে দেয়।

প্রাথমিকভাবে ১৩ জনের মৃত্যু হলেও পরে আহতদের মধ্যে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। বাকি আহতদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলা জানা গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে প্রতিদিনের মত সারাদিনের কাজের শেষে ফুটপাথে ঘুমিয়ে ছিলেন শ্রমিকরা। ঠিক সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটায় কারও পক্ষেই সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় সুরাট এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী। তারা উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। তাদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও কাজ করছে বলে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘সুরাটের ট্রাক দুর্ঘটনা মর্মান্তিক। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্যের কামনা করি।’

গত বছর মে মাসে ঔরঙ্গাবাদে লকডাউনের সময় বাড়ির পথে চলতে চলতে ক্নান্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা রেললাইনেই ঘুমিয়ে পড়লে ভোরবেলার ট্রেন পিষে দেয় তাদের। সেসময় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের।