০২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

ফের ব্যবসা চালু করতে চায় গাছিহাটা, পরিকল্পনা তলব বিএসইসির

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪১৩৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস পুনরায় কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা চালু করতে চায়। মূলত কার্যকরী মূলধন না থাকায় গত দুই দশক ধরে খারাপ সময় পার করছে প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির সঙ্গে গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচারের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সংস্থাটির অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচারের পক্ষে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও এমডিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, দুই পক্ষের বৈঠকে গাছিহাটার ব্যবসার বর্তমান অবস্থা, জমি এবং আর্থিক প্রতিবেদন বিষয়ে নথিপত্র দাখিল করা হয়।

গাছিহাটার পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করে অতি শিগগিরই কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে। এরপর কমিশনের সার্বিক সহযোগিতায় পুনরায় কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা চালু করা হবে।

জানা গেছে, গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত একটি কৃষি-ভিত্তিক কোম্পানি। ১০৯ একর জমির মালিকানা থাকা সত্ত্বেও কার্যকারী মূলধনের ঘাটতির কারণে গত দুই দশক ধরে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কোম্পানিটি। ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার। ২০০২ সাল থেকে কার্যকরী কার্যক্রম পরিচালনা এবং লভ্যাংশ প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান ট্রেডিং বোর্ড থেকে ওটিসি মার্কেট পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসি ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ফলে ওটিসি মার্কেটের আওতাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার ভিত্তিতে এসএমই প্ল্যাটফর্ম ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ওটিসি মার্কেট থেকে গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচারকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এর আগে কমিশন থেকে কোম্পানিটির বেশ কিছু সমস্যার বিষয়ে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে চিঠি দেয়।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে, গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস চালু রয়েছে এবং এর কারখানা প্রাঙ্গণে গবাদি পশু, মাছ এবং গাছের বাগান রয়েছে। এটি ৮৫.২৫ একর পুকুর এলাকাসহ ১০৯ একর জমির মালিক। ডিএসই তথ্য অনুসারে, জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫৫৬ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাথে কোম্পানিটির মেয়াদী ঋণ রয়েছে ২৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। স্পন্সর এবং পরিচালকদের ২৫.৮৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৮.১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৫৬.০২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

কোম্পানিটির কাছে কমিশন জমির মিউটেশন কপিসহ বর্তমান জমির অবস্থার বিবরণ, কেন কোম্পানি তাদের শেয়ারের ডিম্যাট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেনি সে সংক্রান্ত বিবৃতি, ২০২০-২১ এর বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ইপিএসে বিশাল উল্লম্ফনের প্রমাণ হিসেবে সমস্ত সহায়ক নথি বা গত ৫ বছরের আর্থিক বিবৃতি, ওটিসি বাজারে যাওয়ার পর স্থায়ী সম্পদের নিষ্পত্তির বিবরণ জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০০০ সালে ব্যবসা সমপ্রসারণের জন্য কাঁচামাল এবং যন্ত্রপাতি আমদানি করতে রাষ্ট্র পরিচালিত অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও মালিকদের প্রচেষ্টার অভাবের জন্য এটি করতে ব্যর্থ হয় এবং ফলস্বরূপ, সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

ফের ব্যবসা চালু করতে চায় গাছিহাটা, পরিকল্পনা তলব বিএসইসির

আপডেট: ০২:১৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস পুনরায় কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা চালু করতে চায়। মূলত কার্যকরী মূলধন না থাকায় গত দুই দশক ধরে খারাপ সময় পার করছে প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির সঙ্গে গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচারের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সংস্থাটির অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচারের পক্ষে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও এমডিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, দুই পক্ষের বৈঠকে গাছিহাটার ব্যবসার বর্তমান অবস্থা, জমি এবং আর্থিক প্রতিবেদন বিষয়ে নথিপত্র দাখিল করা হয়।

গাছিহাটার পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করে অতি শিগগিরই কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে। এরপর কমিশনের সার্বিক সহযোগিতায় পুনরায় কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা চালু করা হবে।

জানা গেছে, গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত একটি কৃষি-ভিত্তিক কোম্পানি। ১০৯ একর জমির মালিকানা থাকা সত্ত্বেও কার্যকারী মূলধনের ঘাটতির কারণে গত দুই দশক ধরে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কোম্পানিটি। ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার। ২০০২ সাল থেকে কার্যকরী কার্যক্রম পরিচালনা এবং লভ্যাংশ প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান ট্রেডিং বোর্ড থেকে ওটিসি মার্কেট পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসি ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ফলে ওটিসি মার্কেটের আওতাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার ভিত্তিতে এসএমই প্ল্যাটফর্ম ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ওটিসি মার্কেট থেকে গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচারকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এর আগে কমিশন থেকে কোম্পানিটির বেশ কিছু সমস্যার বিষয়ে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে চিঠি দেয়।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে, গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস চালু রয়েছে এবং এর কারখানা প্রাঙ্গণে গবাদি পশু, মাছ এবং গাছের বাগান রয়েছে। এটি ৮৫.২৫ একর পুকুর এলাকাসহ ১০৯ একর জমির মালিক। ডিএসই তথ্য অনুসারে, জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫৫৬ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাথে কোম্পানিটির মেয়াদী ঋণ রয়েছে ২৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। স্পন্সর এবং পরিচালকদের ২৫.৮৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৮.১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৫৬.০২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

কোম্পানিটির কাছে কমিশন জমির মিউটেশন কপিসহ বর্তমান জমির অবস্থার বিবরণ, কেন কোম্পানি তাদের শেয়ারের ডিম্যাট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেনি সে সংক্রান্ত বিবৃতি, ২০২০-২১ এর বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ইপিএসে বিশাল উল্লম্ফনের প্রমাণ হিসেবে সমস্ত সহায়ক নথি বা গত ৫ বছরের আর্থিক বিবৃতি, ওটিসি বাজারে যাওয়ার পর স্থায়ী সম্পদের নিষ্পত্তির বিবরণ জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০০০ সালে ব্যবসা সমপ্রসারণের জন্য কাঁচামাল এবং যন্ত্রপাতি আমদানি করতে রাষ্ট্র পরিচালিত অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও মালিকদের প্রচেষ্টার অভাবের জন্য এটি করতে ব্যর্থ হয় এবং ফলস্বরূপ, সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়।

ঢাকা/টিএ