০৫:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বাঁশখালিতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ: নিহতদের পরিবারকে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:২৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১০৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশের সংঘর্ষে নিহত পাঁচ শ্রমিকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান। 

শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বাঁশখালীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক। 

এছাড়া এ ঘটনায় পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় কুচক্রি মহলের ইন্ধনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক।

ঘটনা সম্পর্কে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার রাশিদুল হক জানান, শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার বিষয়টি অনেকটা মীমাংসিত বিষয়। কিছু দাবি নিয়ে আজ শনিবার আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় কুচক্রি মহলের ইন্ধনে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। 

এর প্রেক্ষিতে প্রকল্পে নিয়োজিত চাইনিজ নাগরিকদের জানমাল রক্ষায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

এদিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মুমিনুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে নিহতদের প্রত্যেক্ষে পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা/এনইউ

শেয়ার করুন

x
English Version

বাঁশখালিতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ: নিহতদের পরিবারকে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ

আপডেট: ০৯:২৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশের সংঘর্ষে নিহত পাঁচ শ্রমিকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান। 

শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বাঁশখালীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক। 

এছাড়া এ ঘটনায় পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় কুচক্রি মহলের ইন্ধনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক।

ঘটনা সম্পর্কে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার রাশিদুল হক জানান, শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার বিষয়টি অনেকটা মীমাংসিত বিষয়। কিছু দাবি নিয়ে আজ শনিবার আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় কুচক্রি মহলের ইন্ধনে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। 

এর প্রেক্ষিতে প্রকল্পে নিয়োজিত চাইনিজ নাগরিকদের জানমাল রক্ষায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

এদিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মুমিনুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে নিহতদের প্রত্যেক্ষে পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা/এনইউ