বাজার মূলধন কমেছে আড়াই হাজার কোটি টাকা
- আপডেট: ১১:৫১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৪২৯২ বার দেখা হয়েছে
সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে আড়াই হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর লেনদেন ছিল তলানিতে। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই ধারা দেখা গেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৬০ কোটি ৫৯ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭১ টাকা। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৯ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার ৫০৮ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৬৭ কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার ৭২৭ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৮১ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৫৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৭৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার বা ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩৬ কোটি ২৪ লাখ ১ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৯১ কোটি ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ডিএসই’র পিই রেশিও কমেছে ০.৬২ শতাংশ
এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৭টির। আর ২১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৭ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ।
প্রধান মূল্যসূচক ও ডিএসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ১৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বস্ত্র খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ৯.৩৮ শতাংশ
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৮১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৭৭৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৮ কোটি ৯৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ৫৮ কোটি ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বসুন্ধরা পেপার।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- মুন্নু এগ্রো, জেনেক্স ইনফোসিস, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, অ্যাপেক্স ফুডস এবং জেমিনি সি ফুড।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১২০ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০৭ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৬ কোটি ৮৬ লাখ ২৩ হাজার ৮৩ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৭৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
ঢাকা/টিএ