০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরবরাহ ব্যবস্থা প্রভাবমুক্ত করতে হবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১১২ বার দেখা হয়েছে

নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরবরাহ ব্যবস্থাকে অদৃশ্য হাতের প্রভাবমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।আজ রোববার (২৪ মার্চ) মতিঝিলে অবস্থিত ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে প্রাইস মনিটরিং কমিটির সমন্বয় সভায় তারা এ বিষয়ে একমত হন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রায় সময়ই সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের নিয়ে কটু মন্তব্য করেন। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই স্বচ্ছভাবে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। গুটি কয়েক মানুষের জন্য আমাদের সবার বদনাম হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বের হওয়া জরুরি। একজন আদর্শবান ব্যবসায়ী কখনো কালোবাজারি হতে পারেন না।

রাজধানীর প্রতিটি বাজারে কী কী সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট আকারে লিপিবদ্ধ করে এফবিসিসিআইয়ে জমা দিতে বাজার কমিটিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী। ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সমস্যাগুলো নিয়ে এফবিসিসিআই সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবে বলেন জানান তিনি।

সরবরাহ ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে এমন ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য সর্বসাধারণের নাগালে রাখতে সবার আগে সাপ্লাই চেইনকে অদৃশ্য হাতের প্রভাবমুক্ত করতে হবে। বাজারগুলোতে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান চাঁদাবাজি বন্ধে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করব।

সভায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা এবং আড়তদাররা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের আড়তদাররা জানান, স্থায়ী লাইসেন্স প্রাপ্ত আড়তদাররা বাজার অস্থিতিশীল করার পেছনে দায়ী নন। বিভিন্ন মহলকে চাঁদা দিয়ে যারা ফুটপাত কিংবা রাস্তার ওপর পণ্য কেনা-বেচা করে, তারাই বাজার অস্থিতিশীল করার পেছনে দায়ী বলেও দাবি তাদের।

স্থায়ী লাইসেন্স প্রাপ্ত আড়তদারদের অভিযোগ, রাতে পণ্য বোঝাই ট্রাক ঢাকার বাজারগুলোয় ঢুকলে, গাড়িতে থাকা অবস্থায় সেই পণ্য দুই থেকে তিনবার হাতবদল হয়ে দাম বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ভাসমান ব্যবসায়ীরা অনেকাংশে দায়ী থাকলেও সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো অভিযান, জেল-জরিমানা করে স্থায়ী আড়তদারদের। আর অস্থায়ী বা ভাসমান ব্যবসায়ীরা দিনের আলো ফোটার আগেই উধাও হয়ে যান। ফলে সব ঘটনাতেই সাজা ভোগ করতে হচ্ছে স্থায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্ত আড়তদারদের।

আরও পড়ুন: ভারতে ৫০ লাখ টাকার ফ্যান রপ্তানি করলো ওয়ালটন

সভায় জানানো হয়, আগামী কয়েক সপ্তাহ এফবিসিসিআইয়ের প্রাইস মনিটরিং কমিটি রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে বাজার কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে। এ সময় বাজার কমিটিগুলোকে সমস্যা সমাধানে সামষ্টিকভাবে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান মো. আমিন হেলালী।

সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ, হাফেজ হাজী মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ, আজিজুল হক, কাউসার আহমেদ, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, হাজী আলাউদ্দিন, মো. আবুল হাশেম, প্রাইজ মনিটরিং কমিটর সদস্য ও বাজার কমিটির নেতাসহ ব্যবসায়ী নেতারা।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরবরাহ ব্যবস্থা প্রভাবমুক্ত করতে হবে

আপডেট: ০৬:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরবরাহ ব্যবস্থাকে অদৃশ্য হাতের প্রভাবমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।আজ রোববার (২৪ মার্চ) মতিঝিলে অবস্থিত ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে প্রাইস মনিটরিং কমিটির সমন্বয় সভায় তারা এ বিষয়ে একমত হন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রায় সময়ই সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের নিয়ে কটু মন্তব্য করেন। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই স্বচ্ছভাবে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। গুটি কয়েক মানুষের জন্য আমাদের সবার বদনাম হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বের হওয়া জরুরি। একজন আদর্শবান ব্যবসায়ী কখনো কালোবাজারি হতে পারেন না।

রাজধানীর প্রতিটি বাজারে কী কী সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট আকারে লিপিবদ্ধ করে এফবিসিসিআইয়ে জমা দিতে বাজার কমিটিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী। ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সমস্যাগুলো নিয়ে এফবিসিসিআই সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবে বলেন জানান তিনি।

সরবরাহ ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে এমন ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য সর্বসাধারণের নাগালে রাখতে সবার আগে সাপ্লাই চেইনকে অদৃশ্য হাতের প্রভাবমুক্ত করতে হবে। বাজারগুলোতে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান চাঁদাবাজি বন্ধে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করব।

সভায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা এবং আড়তদাররা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের আড়তদাররা জানান, স্থায়ী লাইসেন্স প্রাপ্ত আড়তদাররা বাজার অস্থিতিশীল করার পেছনে দায়ী নন। বিভিন্ন মহলকে চাঁদা দিয়ে যারা ফুটপাত কিংবা রাস্তার ওপর পণ্য কেনা-বেচা করে, তারাই বাজার অস্থিতিশীল করার পেছনে দায়ী বলেও দাবি তাদের।

স্থায়ী লাইসেন্স প্রাপ্ত আড়তদারদের অভিযোগ, রাতে পণ্য বোঝাই ট্রাক ঢাকার বাজারগুলোয় ঢুকলে, গাড়িতে থাকা অবস্থায় সেই পণ্য দুই থেকে তিনবার হাতবদল হয়ে দাম বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ভাসমান ব্যবসায়ীরা অনেকাংশে দায়ী থাকলেও সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো অভিযান, জেল-জরিমানা করে স্থায়ী আড়তদারদের। আর অস্থায়ী বা ভাসমান ব্যবসায়ীরা দিনের আলো ফোটার আগেই উধাও হয়ে যান। ফলে সব ঘটনাতেই সাজা ভোগ করতে হচ্ছে স্থায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্ত আড়তদারদের।

আরও পড়ুন: ভারতে ৫০ লাখ টাকার ফ্যান রপ্তানি করলো ওয়ালটন

সভায় জানানো হয়, আগামী কয়েক সপ্তাহ এফবিসিসিআইয়ের প্রাইস মনিটরিং কমিটি রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে বাজার কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে। এ সময় বাজার কমিটিগুলোকে সমস্যা সমাধানে সামষ্টিকভাবে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান মো. আমিন হেলালী।

সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ, হাফেজ হাজী মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ, আজিজুল হক, কাউসার আহমেদ, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, হাজী আলাউদ্দিন, মো. আবুল হাশেম, প্রাইজ মনিটরিং কমিটর সদস্য ও বাজার কমিটির নেতাসহ ব্যবসায়ী নেতারা।

ঢাকা/এসএইচ