০৬:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১
  • / ৪১৮১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ আর থাকবে কি না সে বিষয়ে নতুন কোনো নির্দেশনা নেই। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে কি পরিমাণ কালো টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল বাজেট বক্তৃতায় তার একটি বিবরণী উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।

প্রসঙ্গত, চলতি বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ আগামী ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা।

এ সময় তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছে সরকার। ফলে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৯ হাজার ৬২৩ জন করদাতা কালো টাকা সাদা করেছেন। এই সময়ে তারা ১ হাজার ৩৮৬ কোটির বেশি কালো টাকা সাদা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অপ্রদর্শিত আয় রিটার্নে প্রদর্শনের সুযোগের আওতায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯ হাজার ৬২৩ জন করদাতা অপ্রদর্শিত সম্পদ রিটার্নি প্রদর্শনপূর্বক ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ১০ লাখ ২ হাজার ৭৯৫ টাকা আয়কর প্রদান করেছেন। যার ফলে করোনাকালীন সময়ে দেশের অর্থনীতিতে পুঁজি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এক বছর লক-ইনসহ কতিপয় শর্তসাপেক্ষে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের আওতায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩১১ জন করদাতা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করে ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৮ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন। যার ফলে দেশের পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পুঁজিবাজার শক্তিশালী হয়েছে।’

২০২০-২০২১ অর্থ-বছরের বাজেটে পুঁজিবাজার ও আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ওই বাজেট প্রস্তাবনায় পুঁজিবাজার ও আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন হয়নি এমন জমি বা ফ্ল্যাট বৈধ করার সুযোগ সুযোগ ছিল। এতদিন অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে একজন বিনিয়োগকারী তার অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনতে পারতেন, যেখানে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে।

বর্তমানে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অপ্রদর্শিত অর্থ অর্থনীতির মূলধারায় আনতে শর্ত সাপেক্ষে ১০ শতাংশ কর দিয়ে শেয়ার, স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড, ডিভেঞ্চারে বিনিয়োগ করা যায়। এছাড়া, অপ্রদর্শিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ টাকা, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র রিটার্ন প্রদর্শনের মাধ্যমে বৈধ করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য অর্থবিলের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে এ সংক্রান্ত একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।‌

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই

আপডেট: ০৯:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ আর থাকবে কি না সে বিষয়ে নতুন কোনো নির্দেশনা নেই। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে কি পরিমাণ কালো টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল বাজেট বক্তৃতায় তার একটি বিবরণী উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।

প্রসঙ্গত, চলতি বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ আগামী ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা।

এ সময় তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছে সরকার। ফলে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৯ হাজার ৬২৩ জন করদাতা কালো টাকা সাদা করেছেন। এই সময়ে তারা ১ হাজার ৩৮৬ কোটির বেশি কালো টাকা সাদা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অপ্রদর্শিত আয় রিটার্নে প্রদর্শনের সুযোগের আওতায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯ হাজার ৬২৩ জন করদাতা অপ্রদর্শিত সম্পদ রিটার্নি প্রদর্শনপূর্বক ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ১০ লাখ ২ হাজার ৭৯৫ টাকা আয়কর প্রদান করেছেন। যার ফলে করোনাকালীন সময়ে দেশের অর্থনীতিতে পুঁজি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এক বছর লক-ইনসহ কতিপয় শর্তসাপেক্ষে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের আওতায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩১১ জন করদাতা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করে ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৮ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন। যার ফলে দেশের পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পুঁজিবাজার শক্তিশালী হয়েছে।’

২০২০-২০২১ অর্থ-বছরের বাজেটে পুঁজিবাজার ও আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ওই বাজেট প্রস্তাবনায় পুঁজিবাজার ও আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন হয়নি এমন জমি বা ফ্ল্যাট বৈধ করার সুযোগ সুযোগ ছিল। এতদিন অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে একজন বিনিয়োগকারী তার অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনতে পারতেন, যেখানে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে।

বর্তমানে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অপ্রদর্শিত অর্থ অর্থনীতির মূলধারায় আনতে শর্ত সাপেক্ষে ১০ শতাংশ কর দিয়ে শেয়ার, স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড, ডিভেঞ্চারে বিনিয়োগ করা যায়। এছাড়া, অপ্রদর্শিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ টাকা, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র রিটার্ন প্রদর্শনের মাধ্যমে বৈধ করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য অর্থবিলের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে এ সংক্রান্ত একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।‌

ঢাকা/এসআর