বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: গ্রাম গঞ্জে পথে ফেরিওয়ালাদের জিনিসপত্র বিক্রি খুব সাধারণ দৃশ্যপট। পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনেকে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে থাকেন। কেউ গান গান, কেউ বাদ্যযন্ত দিয়ে অথবা কেউবা খেলা দেখানো মতো মজার মজার কাণ্ড করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

সম্প্রতি ভারতের বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর বাদাম বিক্রি করে আলোচনায় এসেছেন। সুরে সুরে গান গেয়ে গ্রামের পথে পথে তিনি কাঁচা বাদাম বিক্রি করেন। তার গাওয়া গান এখন সবার মুখে মুখে। ফেইসবুক, ইউটিউব, টিকটক খুললেই বেজে উঠছে, কাঁচা বাদাম গানে সুর মেলানো তার গান। আবার রয়েছে অধুনিক মিউজিক রিমেক্স। গানে মুখ মিলাচ্ছেন হাজারো তরুণ তরুণী।

লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম কুড়ালজুড়ির বাসিন্দা ভুবন বাদ্যকর। শুরুতে বাদামের বস্তা পেছনে নিয়ে বীরভূম থেকে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা বাদাম বিক্রি করতেন। এখন মোটরসাইকেলে কাজটি করেন তিনি। আর গাইতে থাকেন, ‘বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বাবু ভাজা বাদাম…’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভুবন বাদ্যকরের এই গানের ভিডিও। তার ভাষায়, ‘আমি প্রতিদিন নানা গ্রামে ঘুরে গান করতে করতে বাদাম বিক্রি করি। বিগত ১০ বছর ধরে বাদাম বিক্রি করছি। আমি বাদাম বিক্রি করার সময় এভাবে গান গাই। সে সময় কোনো একটি ছেলে দৃশটি ক্যামেরাবন্দি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়েছে, কিন্তু আমি সেই ছেলেটিকে চিনি না।’

স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভুবন বাদ্যকরের সংসার। প্রতিদিন ২০০-২৫০ রুপির বাদাম বিক্রি করেন। বাদাম না কিনলেও তার গানের সুর শুনে অনেকে ছুটে আসেন। টাকার পাশাপাশি পুরোনো সিটি গোল্ডের চেইন, চুড়ি, হাতের বালা, পুরোনো নষ্ট মোবাইল, হাঁসের পালক, মাথার চুল ইত্যাদির বিনিময়েও বাদাম দিয়ে থাকেন ভুবন বাদ্যকর।

রাতারাতি এই খ্যাতি বেশ উপভোগ করছেন এই বাদামওয়ালা। গান নিজে লিখেছেন এবং সুর দিয়েছেন। বাউল গান গাওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে তার। সুযোগ পেলে সবাইকে আরো গান শোনাতে চান তিনি।

ভুবন বাদ্যকর বলেন, ‘শুনে খুব ভালো লাগছে যে, আমার গাওয়া গান বিশ্বের বহু মানুষ দেখে ফেলেছেন। সুযোগ পেলে তাহলে আরো কিছু ভালো গান শোনাব, যদিও আমি কোনোদিন গান শিখিনি।’

ঢাকা/এমটি