০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বিনিয়োগে প্রতারণার শিকার ওয়াটা কেমিক্যালসের এমডি!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
  • / ৪১০৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: ভুয়া কোম্পানি খুলে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইতিমধ্যে কারাগারে রয়েছেন হাইটেক সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক জিয়াউদ্দিন জামান। তার প্রতারণার চিত্র দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম বিশেষ করে টিভি চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আকারে উঠে এসেছে (নিউজের নিচে লিঙ্ক দেওয়া হলো)। আর কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই প্রতারক চক্রের কবলে পড়ে গেছেন যমুনা কনস্ট্রাকশনের মালিক মো: নজরুল ইসলাম। তিনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, হাইটেক সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক জিয়াউদ্দিন জামান বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি চালু করে বড় বড় প্রজেক্ট দেখিয়ে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে জনগনের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। সেই সুবাদে ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম তার মালিকানাধীন কোম্পানি যমুনা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড হাইটেক সিরামিকসে বিনিয়োগ করে। পরবর্তীতে যখন মো: নজরুল ইসলাম জানতে পারেন হাইটেক সিরামিকস একট নাম সর্বস্ব ভুয়া কোম্পানি তখন তিনি পাওনা টাকা ফেরতের জন্য জিয়াউদ্দিন জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

কিন্তু পাওনা টাকা ফেরত না পেয়ে এক পর্যায়ে জিয়াউদ্দিন জামানের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করেন। জিয়াউদ্দিন জামান পাওনা টাকা পরিশোধ না করে উল্টো নজরুল ইসলামকে ফাঁসানোর জন্য ভিন্ন পথ অবলম্বন করেন। তিনি যমুনা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ভুয়া প্যাড বানিয়ে নতুন প্রজেক্ট দেখিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। অগ্রণী ব্যাংক যমুনা কনস্ট্রাকশনের নামে চেক ইস্যু করায় সেই চেক পাওনা পরিশোধ হিসেবে মো: নজরুল ইসলামকে প্রদান করে জিয়াউদ্দিন জামান।

মো: নজরুল ইসলাম তার পাওনা টাকার আংশিক (১৪ কোটি ৩ লাখ টাকা) ফেরত পায়। কিন্তু পরবর্তীতে অগ্রণী ব্যাংক তাদের পাওনা দাবি করতে গেলে মো: নজরুল ইসলামকে ফাঁসিয়ে দেয় জিয়াউদ্দিন জামান। এজন্য অর্থ আত্নসাতের মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর গতকাল ২০ জুন জামিনের জন্য আদালতে হাজির হলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়াটা কেমিক্যালসের চীফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) সাংবাদিকদের জানান, আমাদের কোম্পানির (ওয়াটা কেমিক্যালস) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যমুনা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে ব্যক্তিগত কোম্পানি রয়েছে। সেই যমুনা কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের হওয়ায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। এটার সঙ্গে ওয়াটা কেমিক্যালসের কোন সম্পর্ক নেই।

তিনি আরও বলেন, হাইটেক সিরামিকসের মালিক জিয়াউদ্দিন জামানের প্রতারণার শিকার হয়ে আমাদের এমডি জেলে রয়েছেন। এক্ষেত্রে ওয়াটা কেমিক্যালসে কোন প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওয়াটা কেমিক্যালস করপোরেট গভর্ন্যান্স মেনে পরিচালিত হয়। তাই কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনায় এ ঘটনা কোন প্রভাব ফেলবে না। যেহেতু একটি মিথ্যা মামলায় আমাদের এমডি মহোদয় আইনী জটিলতায় পড়ে গেছেন; আশা করি খুব শিগগিরই এই জটিলতা কেটে যাবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সূত্র: ডেইলি শেয়ারবাজার

শেয়ার করুন

x
English Version

বিনিয়োগে প্রতারণার শিকার ওয়াটা কেমিক্যালসের এমডি!

আপডেট: ১২:৫৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: ভুয়া কোম্পানি খুলে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইতিমধ্যে কারাগারে রয়েছেন হাইটেক সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক জিয়াউদ্দিন জামান। তার প্রতারণার চিত্র দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম বিশেষ করে টিভি চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আকারে উঠে এসেছে (নিউজের নিচে লিঙ্ক দেওয়া হলো)। আর কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই প্রতারক চক্রের কবলে পড়ে গেছেন যমুনা কনস্ট্রাকশনের মালিক মো: নজরুল ইসলাম। তিনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, হাইটেক সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক জিয়াউদ্দিন জামান বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি চালু করে বড় বড় প্রজেক্ট দেখিয়ে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে জনগনের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। সেই সুবাদে ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম তার মালিকানাধীন কোম্পানি যমুনা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড হাইটেক সিরামিকসে বিনিয়োগ করে। পরবর্তীতে যখন মো: নজরুল ইসলাম জানতে পারেন হাইটেক সিরামিকস একট নাম সর্বস্ব ভুয়া কোম্পানি তখন তিনি পাওনা টাকা ফেরতের জন্য জিয়াউদ্দিন জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

কিন্তু পাওনা টাকা ফেরত না পেয়ে এক পর্যায়ে জিয়াউদ্দিন জামানের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করেন। জিয়াউদ্দিন জামান পাওনা টাকা পরিশোধ না করে উল্টো নজরুল ইসলামকে ফাঁসানোর জন্য ভিন্ন পথ অবলম্বন করেন। তিনি যমুনা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ভুয়া প্যাড বানিয়ে নতুন প্রজেক্ট দেখিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। অগ্রণী ব্যাংক যমুনা কনস্ট্রাকশনের নামে চেক ইস্যু করায় সেই চেক পাওনা পরিশোধ হিসেবে মো: নজরুল ইসলামকে প্রদান করে জিয়াউদ্দিন জামান।

মো: নজরুল ইসলাম তার পাওনা টাকার আংশিক (১৪ কোটি ৩ লাখ টাকা) ফেরত পায়। কিন্তু পরবর্তীতে অগ্রণী ব্যাংক তাদের পাওনা দাবি করতে গেলে মো: নজরুল ইসলামকে ফাঁসিয়ে দেয় জিয়াউদ্দিন জামান। এজন্য অর্থ আত্নসাতের মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর গতকাল ২০ জুন জামিনের জন্য আদালতে হাজির হলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়াটা কেমিক্যালসের চীফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) সাংবাদিকদের জানান, আমাদের কোম্পানির (ওয়াটা কেমিক্যালস) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যমুনা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে ব্যক্তিগত কোম্পানি রয়েছে। সেই যমুনা কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের হওয়ায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। এটার সঙ্গে ওয়াটা কেমিক্যালসের কোন সম্পর্ক নেই।

তিনি আরও বলেন, হাইটেক সিরামিকসের মালিক জিয়াউদ্দিন জামানের প্রতারণার শিকার হয়ে আমাদের এমডি জেলে রয়েছেন। এক্ষেত্রে ওয়াটা কেমিক্যালসে কোন প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওয়াটা কেমিক্যালস করপোরেট গভর্ন্যান্স মেনে পরিচালিত হয়। তাই কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনায় এ ঘটনা কোন প্রভাব ফেলবে না। যেহেতু একটি মিথ্যা মামলায় আমাদের এমডি মহোদয় আইনী জটিলতায় পড়ে গেছেন; আশা করি খুব শিগগিরই এই জটিলতা কেটে যাবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সূত্র: ডেইলি শেয়ারবাজার