বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে দ্বিতীয় দিনেও চলছে তল্লাশি
- আপডেট: ১২:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৪১৯৭ বার দেখা হয়েছে
বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বাই অফিসে আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর কর্মকর্তারা। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, তল্লাশি নয়, ‘আয়কর জরিপের’ অংশ হিসেবে তারা বিবিসির কার্যালয় পরিদর্শনে গেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আয়কর দপ্তরের দল পৌঁছায় দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে বিবিসির দপ্তরে। বিবিসির কর্মীরা জানান, তাদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জমা নিয়েছেন আয়কর কর্মকর্তারা।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এদিকে, তল্লাশি অভিযান নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনাকে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়েছে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এমনকি দেশটির সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন পর্যন্ত এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পরই দেশটিতে বিবিসির দুই কার্যালয়ে অভিযান চালানোর ঘটনাটি ঘটলো। বিবিসির ওই তথ্যচিত্রে ২০২২ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় মোদির ভূমিকা তুলে ধরা হয়, যা দেশটিতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: রোমানিয়ায় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প
তবে কর কর্মকর্তারা বলছেন, তল্লাশি নয়, ‘আয়কর জরিপের’ অংশ হিসেবে তারা বিবিসির কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। এদিকে এক বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, তারা আয়কর দপ্তরকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
ভারতে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে বিবিসি কার্যালয়ে অভিযানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি বলছে, সম্প্রতি একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যেসব সংবাদমাধ্যম সরকারি নীতি বা ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করছে, তাদেরই সরকারি এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। এই প্রবণতা সাংবিধানিক গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
ঢাকা/এসএ