বিমার আওতায় আসছে পোশাক খাতের শ্রমিকরা

- আপডেট: ১২:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১০৪১১ বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশের পোশাক খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের শীর্ষে রয়েছে। এবার সেই শীর্ষ খাতের শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে বিমা সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে দেড় লাখ শ্রমিককে বিমা সুবিধা দিতে সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পোশাক শ্রমিকদের বিমার আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে এক লাখ ৫০ হাজার শ্রমিককে বিমা সুবিধার আওতায় আনা হবে। তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে পোশাক খাতে এটি চালু করা হবে।
আইএলও ও সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, পোশাক শ্রমিকদের বিমার আওতায় আনতে সরকারের সঙ্গে শিগগিরই একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো কেন্দ্রীয়ভাবে তহবিল সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু বা আহত হওয়ার ক্ষেত্রে এ বিমা ব্যবস্থা থেকে তাদের কিংবা পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করা।
সূত্র জানায়, এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইআই) নামে চালু হওয়া বিমার প্রাথমিক অর্থ ব্র্যান্ড ও বায়ারদের কাছ থেকে আসবে। পুরোদমে চালুর পর এটির দায়িত্ব কারখানা মালিকদের নিতে হবে।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শ্রমিকদের বিমা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা একটি ইস্যু। বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের বিমার আওতায় আনার উদ্যোগকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে যাচ্ছে বলে আমরা ধরে নিচ্ছি। বিমা স্কিমের এ উদ্যোগে ব্র্যান্ড ও বায়ারদেরও অংশগ্রহণের অনুরোধ আমাদের। একই মনোভাব শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিদেরও।
বাংলাদেশে রানা প্লাজা ও তাজরীনের মতো দুর্ঘটনার পর শ্রমিকদের বিমার ইস্যুটি সামনে আসে। কারণ, তখন বেশির ভাগ শ্রমিক বিমার আওতায় ছিল না।
শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শিল্প দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশে শ্রমিকদের জন্য বিমা চালু করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অন্য দেশে সাধারণত মালিকপক্ষই এটির ব্যয় বহন করে। তবে আমাদের বাস্তবতায় কারখানা মালিকের পাশাপাশি সরকার ও বায়ারদেরও এগিয়ে আসা উচিত।
শ্রম মন্ত্রণালয় সূত্রের তথ্যানুযায়ী, শ্রমিকদের বিমা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে ব্যয় হবে রফতানির ০.০১৯ শতাংশ বা প্রতি ১০০ টাকায় প্রায় দুই পয়সা। আর দেশে বর্তমানে তৈরি পোশাক রফতানিকারকরা রফতানি মূল্যের ওপর ০.০৩ শতাংশ হারে সরকারের কেন্দ্রীয় তহবিলে টাকা দিচ্ছেন।
দেশের শ্রম আইন অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে নিহত হলে শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ দুই লাখ এবং কর্মহীন হওয়ার মতো আহত হলে আড়াই লাখ টাকা পান। বর্তমান বাস্তবতা ও আইএলওর মানদণ্ড অনুযায়ী, এ টাকা খুবই অপ্রতুল।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম বলেন, পোশাক শ্রমিকদের বিমার ইস্যুটি নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখানে কার, কত শতাংশ ভূমিকা থাকবে তা নির্ধারণ করতে আলোচনা দরকার। এজন্য পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন:
- খাশোগিকে হত্যার অনুমতি দেন সৌদি যুবরাজ: মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট
- সেনাসরকার নামাতে জাতিসংঘের পদক্ষেপ চান মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত
- খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশ আজ, ১৮ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে জানা যাবে বিকেলে
- হচ্ছে না বীমা মেলা
- বাংলাদেশের প্রশংসায় জাতিসংঘ মহাসচিব
- বিদায়ী সপ্তাহে পিই কিছুটা বেড়েছে
- পতনেও বাজার মূলধন ফিরেছে হাজার কোটি টাকা
- শেয়ারবাজার নিয়ে নেতিবাচক কিছু নেই: বিএসইসি চেয়ারম্যান
- Decision to cancel IPO quota of three merchant banks
- An era of painful memories of Peelkhana
- BSEC fined three companies Tk 9 lakh
- The President and the Prime Minister pay their respects at the graves of the army officers killed in Peelkhana
- The Dhaka-New Jalpaiguri train will run twice a week
- Funds worth Tk 22,000 crore are coming to the capital market