১১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

বিশ্বজুড়ে কলেরা ঝুঁকিতে ১০০ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / ৪২১৫ বার দেখা হয়েছে

বিশ্বের ৪৩টি দেশের অন্তত ১০০ কোটি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। ২৪টি দেশে ইতোমধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব শুরুও হয়ে গেছে। গত বছর মে মাসের মাঝামাঝি কলেরার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল, তবে তার ব্যাপ্তি ছিল কম। ২০২২ সালের মে মাসে ১৫টি দেশে দেখা দিয়েছিল কলেরা।

জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইনসিডেন্ট ম্যানেজার হেনরি গ্রে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডব্লিউএইচও’র এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, যেসব দেশের লোকজন কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন— প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে চলতি বছরই তাদের এই ঝুঁকি থেকে বের করে আনা সম্ভব।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘তবে এ জন্য আমাদের প্রয়োজন অন্তত ৬৪ কোটি ডলারের একটি তহবিল— যা এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই,’ সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন হেনরি গ্রে। তহবিল গঠনের জন্য ধনী ও দাতা দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে যে ৪৩টি দেশ কলেরা প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে আছে, সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি চলতি বছর প্রথমবারের এ তালিকায় এসেছে। পাশাপাশি কয়েক বছর আগেও কলেরায় যে মৃত্যুহার ছিল, সম্প্রতি তাতে উল্লম্ফন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলেও জানিয়েচেন হেনরি গ্রে।

দারিদ্র, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশে নতুন ভাবে কলেরার ঝুঁকি বাড়ছে উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও’র এই কর্মকর্তা বলেন, ‘চলতি বছর বিভিন্ন দেশ আমাদের কাছে প্রায় ২ কোটি ডোজ কলেরার মুখে খাওয়ার টিকা (ওর‌্যাল ভ্যাক্সিন) চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে, কিন্তু আমাদের কাছে আছে মাত্র ৮০ লাখ ডোজ টিকা।’

‘কলেরা সম্পূর্ণ প্রতিরোধের জন্য একজন ব্যক্তিকে অন্তত ২ ডোজ টিকা গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু টিকার স্বল্পতার কারণে আমরা বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ জানিয়েছি— তারা যেন আপাতত এক ডোজ করে টিকা দেন লোকজনদের।

‘একই কারণে, অর্থাৎ টিকার ডোজের ঘাটতি থাকায় আমাদের কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানও থেমে আছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ হতাশাজনক।’

আরও পড়ুন: অষ্টম সন্তানের বাবা হচ্ছেন বরিস জনসন

হেনরি গ্রে জানান, আগামী ১২ মাসে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে কলেরা টিকা সরবরাহ ও কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানের জন্য জাতিসংঘের শিশু অধিকার ও সহায়তা সংস্থা ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এই যৌথ কার্যক্রমের জন্য ডব্লিউএইচও’র প্রয়োজন ১৬ কোটি ডলার এবং ইউনিসেফের প্রয়োজন ৪৮ কোটি ডলার।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান জেরোমি পাফমান জামব্রুনিও উপস্থিত ছিলেন। ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা জানান, গত বছর নভেম্বরে বিশ্বজুড়ে কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানের জন্য ১৫ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছিল ইউনিসেফ। তবে তারপর থেকে দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই প্রচারাভিযানের ব্যাপ্তি আরও বাড়ানো এখন জরুরি।

‘এটা আমাদের জন্য একটা সতর্কঘণ্টা। যদি এখন থেকে কাজ শুরু করা না যায়, সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নেবে,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন জামব্রুনি। সূত্র: এএফপি

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

বিশ্বজুড়ে কলেরা ঝুঁকিতে ১০০ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

আপডেট: ০২:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

বিশ্বের ৪৩টি দেশের অন্তত ১০০ কোটি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। ২৪টি দেশে ইতোমধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব শুরুও হয়ে গেছে। গত বছর মে মাসের মাঝামাঝি কলেরার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল, তবে তার ব্যাপ্তি ছিল কম। ২০২২ সালের মে মাসে ১৫টি দেশে দেখা দিয়েছিল কলেরা।

জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইনসিডেন্ট ম্যানেজার হেনরি গ্রে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডব্লিউএইচও’র এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, যেসব দেশের লোকজন কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন— প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে চলতি বছরই তাদের এই ঝুঁকি থেকে বের করে আনা সম্ভব।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘তবে এ জন্য আমাদের প্রয়োজন অন্তত ৬৪ কোটি ডলারের একটি তহবিল— যা এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই,’ সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন হেনরি গ্রে। তহবিল গঠনের জন্য ধনী ও দাতা দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে যে ৪৩টি দেশ কলেরা প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে আছে, সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি চলতি বছর প্রথমবারের এ তালিকায় এসেছে। পাশাপাশি কয়েক বছর আগেও কলেরায় যে মৃত্যুহার ছিল, সম্প্রতি তাতে উল্লম্ফন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলেও জানিয়েচেন হেনরি গ্রে।

দারিদ্র, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশে নতুন ভাবে কলেরার ঝুঁকি বাড়ছে উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও’র এই কর্মকর্তা বলেন, ‘চলতি বছর বিভিন্ন দেশ আমাদের কাছে প্রায় ২ কোটি ডোজ কলেরার মুখে খাওয়ার টিকা (ওর‌্যাল ভ্যাক্সিন) চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে, কিন্তু আমাদের কাছে আছে মাত্র ৮০ লাখ ডোজ টিকা।’

‘কলেরা সম্পূর্ণ প্রতিরোধের জন্য একজন ব্যক্তিকে অন্তত ২ ডোজ টিকা গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু টিকার স্বল্পতার কারণে আমরা বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ জানিয়েছি— তারা যেন আপাতত এক ডোজ করে টিকা দেন লোকজনদের।

‘একই কারণে, অর্থাৎ টিকার ডোজের ঘাটতি থাকায় আমাদের কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানও থেমে আছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ হতাশাজনক।’

আরও পড়ুন: অষ্টম সন্তানের বাবা হচ্ছেন বরিস জনসন

হেনরি গ্রে জানান, আগামী ১২ মাসে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে কলেরা টিকা সরবরাহ ও কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানের জন্য জাতিসংঘের শিশু অধিকার ও সহায়তা সংস্থা ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এই যৌথ কার্যক্রমের জন্য ডব্লিউএইচও’র প্রয়োজন ১৬ কোটি ডলার এবং ইউনিসেফের প্রয়োজন ৪৮ কোটি ডলার।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান জেরোমি পাফমান জামব্রুনিও উপস্থিত ছিলেন। ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা জানান, গত বছর নভেম্বরে বিশ্বজুড়ে কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানের জন্য ১৫ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছিল ইউনিসেফ। তবে তারপর থেকে দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই প্রচারাভিযানের ব্যাপ্তি আরও বাড়ানো এখন জরুরি।

‘এটা আমাদের জন্য একটা সতর্কঘণ্টা। যদি এখন থেকে কাজ শুরু করা না যায়, সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নেবে,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন জামব্রুনি। সূত্র: এএফপি

ঢাকা/এসএ