‘বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ হবে’
- আপডেট: ০৬:০৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
- / ৪১২৬ বার দেখা হয়েছে
বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছেন বিদুৎ জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে ডিসি সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদেরকে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
নসরুল হামিদ বলেন, জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানালাম, কারণ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি রাখার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের বিরাট একটা ভূমিকা ছিল। সামনে যে সময়টা আসছে মার্চ মাসসহ সেই সময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জ্বালানির দামকে আমরা কিভাবে সাশ্রয়ী রাখতে পারি সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের ডাইনামিক প্রাইসিংয়ে চলে গিয়েছি। এই সপ্তাহ থেকে জ্বালানি তেলের দাম ডায়নামিক প্রাইসসিংয়ের দিকে যাবে। আশা করছি একটা সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করতে পারব।
ডিসিদের পক্ষ থেকে কী প্রস্তাবনা ছিল জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি, আমরা আরো কঠিন হতে পারি কিনা। আমরা বলেছি পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া কোথাও গ্যাস এবং বিদ্যুতের সংযোগ দিবো না। তাদেরকে অনুরোধ করেছি বিষয়টি দেখার জন্য। কৃষি জমি ভরাট করে শিল্প এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে, এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশনা রয়েছে। তেল চুরির বিষয়ে ডিসিরা সহযোগিতা চাচ্ছেন। বিষয়গুলো লিখিতভাবে আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সেই বিষয়ে দেখছি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের সুলতান’স ডাইন সিলগালা
তেলের পরিমাপ কম দেয়ার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা প্রত্যেকটি পেট্রোল পাম্পকে জিএস ম্যাপিং করেছি।
তেলের দাম বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তেলের দাম নির্ধারণ হবে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে। সেখানে একটি ফর্মুলা তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেটি আমরা অনুমোদন পেয়েছি মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। এই সপ্তাহে আমরা সেটা গেজেট আকারে প্রকাশ করবো।
তেলের দাম কমলে সীমান্ত দিয়ে তেল পাচার বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেল পাচারের বিষয়টি আমরা নজরদারির মধ্যে রেখেছি। আপনারা জানেন বাংলাদেশে এখন ডিজেলের দাম ১০৯ টাকা প্রতি লিটার, কলকাতায় দাম প্রতি লিটার আমাদের টাকায় হিসাব করলে প্রায় ১৩৩ টাকা, সুতরাং এই বিষয়টি আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়েছি। এখানে তেলের মূল্য আরেকটু সাশ্রয়ী হলে তেল পাচারের সম্ভাবনা থাকে। এই বিষয়টিও নজরদারির মধ্যে থাকবে।
গ্যাসের সিলিন্ডার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সিলিন্ডার যেন ডিলারদের হাত থেকে কোনো ভাবেই চার হাত ঘুরে সাব এজেন্টদের কাছে না যায়। সেই বিষয়টি যেন ডিসিরা নজরদারি করে। সিলিন্ডার যেন যত্রতত্র রেস্টুরেন্টে ব্যবহার না হয়।
ঢাকা/এসএম