১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে সাত ইস্যুর মূল্যায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৬০ বার দেখা হয়েছে

আগামী বছরের মার্চের পর ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে সাত ইস্যুর মূল্যায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য চলতি বছরে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, তারল্য, পুঁজি ও সুশাসন পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে আর্থিক খাতের ক্ষতি কমাতে, দ্রুত দুর্বল ব্যাংকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পরিচালনা পর্ষদ গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০১৩ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই ঋণ অনিয়ম-জালিয়াতিতে ডুবে যায় ফার্মার্স ব্যাংক। ভোগান্তিতে পড়েন আমানতকারীরা। ২০১৮ সালে চারটি সরকারি ব্যাংক ও আইসিবি ব্যাংকটির বড় অংশ অধিগ্রহণের পর পদ্মা নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করলেও সুফল মেলেনি।

এরপর ব্যাংকখাতে ঋণ অনিয়মের একের পর এক ঘটনা সামনে আসে। খেলাপী ও বেনামী ঋণে ১ ডজনের বেশি ব্যাংক চরম তারল্য সংকট পড়ে। এর জেরে দেশের ব্যাংকখাতে খেলাপী ঋণ ছাড়ায় দেড় লাখ কোটি টাকা। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা বলছে, এদেশের ব্যাংকখাতে বড় ধরনের সংস্কার জরুরি।

নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনে একীভূত এবং অধিগ্রহণের ক্ষমতা পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরইমধ্যে ব্যাংকগুলোকে প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশনের (পিএসএ) জন্য ইউনিট খুলতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরও পড়ুন: করপোরেট করহার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে এমসিসিআই

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাছের বলেন, ‘পিসিএ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তার পরবর্তীতে কি কি কারেক্টিভ নির্দেশনা দিতে হবে। সেই নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে কতোগুলি প্রসেস বা ধাপ পার হওয়ার পরে সেন্ট্রাল ব্যাংক চাইলে দুইয়ের অধিক ব্যাংককে একীভুত করার ক্ষমতা এখন পেয়েছে।’

ব্যাংকাররা বলছেন, ২০১৯ সালের পর খেলাপী ঋণ কমাতে নেয়া উদ্যোগ কাজে আসেনি।

বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘প্রসেসের মাধ্যমে কিন্তু আইডেন্টিফাই করা হবে যে, এক দুই বছরে কোন ব্যাংক ভালো করছে, কোন ব্যাংক খারাপ করছে। সব ব্যাংক কিন্তু এখন জানে যে, আমার কেপিআইকি, আমার কি স্ট্যান্ডার্ড কি, বেঞ্চমার্ক আমাকে কি করতে হবে আর না হলে কোথায় যাব।’

শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থান জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এটা যাতে প্রপারলি হয় এ জন্য আমার সাজেশনটা হচ্ছে যে, ব্যাংকের বোর্ডগুলোকে ভেঙ্গে দিতে হবে ইমিডিয়েট, টার্গেট ব্যাংকের। এবং সেখানে নতুন বোর্ড বসিয়ে দিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক। নির্বাচিত ও ভালো লোকদের দিয়ে।

দেশের ১৫ থেকে ২০ টি ব্যাংক আর্থিকভাবে নাজুক অবস্থায় আছে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। তাই মার্জার, অ্যাকুইজিশন বা লিকুইডিশন প্রক্রিয়ায়, আমানতের অর্থ ফেরাতে বড় অংকের অর্থের সংস্থান করতে হবে সরকারকে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে সাত ইস্যুর মূল্যায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেট: ০৭:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আগামী বছরের মার্চের পর ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে সাত ইস্যুর মূল্যায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য চলতি বছরে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, তারল্য, পুঁজি ও সুশাসন পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে আর্থিক খাতের ক্ষতি কমাতে, দ্রুত দুর্বল ব্যাংকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পরিচালনা পর্ষদ গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০১৩ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই ঋণ অনিয়ম-জালিয়াতিতে ডুবে যায় ফার্মার্স ব্যাংক। ভোগান্তিতে পড়েন আমানতকারীরা। ২০১৮ সালে চারটি সরকারি ব্যাংক ও আইসিবি ব্যাংকটির বড় অংশ অধিগ্রহণের পর পদ্মা নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করলেও সুফল মেলেনি।

এরপর ব্যাংকখাতে ঋণ অনিয়মের একের পর এক ঘটনা সামনে আসে। খেলাপী ও বেনামী ঋণে ১ ডজনের বেশি ব্যাংক চরম তারল্য সংকট পড়ে। এর জেরে দেশের ব্যাংকখাতে খেলাপী ঋণ ছাড়ায় দেড় লাখ কোটি টাকা। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা বলছে, এদেশের ব্যাংকখাতে বড় ধরনের সংস্কার জরুরি।

নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনে একীভূত এবং অধিগ্রহণের ক্ষমতা পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরইমধ্যে ব্যাংকগুলোকে প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশনের (পিএসএ) জন্য ইউনিট খুলতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরও পড়ুন: করপোরেট করহার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে এমসিসিআই

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাছের বলেন, ‘পিসিএ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তার পরবর্তীতে কি কি কারেক্টিভ নির্দেশনা দিতে হবে। সেই নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে কতোগুলি প্রসেস বা ধাপ পার হওয়ার পরে সেন্ট্রাল ব্যাংক চাইলে দুইয়ের অধিক ব্যাংককে একীভুত করার ক্ষমতা এখন পেয়েছে।’

ব্যাংকাররা বলছেন, ২০১৯ সালের পর খেলাপী ঋণ কমাতে নেয়া উদ্যোগ কাজে আসেনি।

বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘প্রসেসের মাধ্যমে কিন্তু আইডেন্টিফাই করা হবে যে, এক দুই বছরে কোন ব্যাংক ভালো করছে, কোন ব্যাংক খারাপ করছে। সব ব্যাংক কিন্তু এখন জানে যে, আমার কেপিআইকি, আমার কি স্ট্যান্ডার্ড কি, বেঞ্চমার্ক আমাকে কি করতে হবে আর না হলে কোথায় যাব।’

শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থান জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এটা যাতে প্রপারলি হয় এ জন্য আমার সাজেশনটা হচ্ছে যে, ব্যাংকের বোর্ডগুলোকে ভেঙ্গে দিতে হবে ইমিডিয়েট, টার্গেট ব্যাংকের। এবং সেখানে নতুন বোর্ড বসিয়ে দিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক। নির্বাচিত ও ভালো লোকদের দিয়ে।

দেশের ১৫ থেকে ২০ টি ব্যাংক আর্থিকভাবে নাজুক অবস্থায় আছে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। তাই মার্জার, অ্যাকুইজিশন বা লিকুইডিশন প্রক্রিয়ায়, আমানতের অর্থ ফেরাতে বড় অংকের অর্থের সংস্থান করতে হবে সরকারকে।

ঢাকা/এসএম