০২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ব্যাচেলররা সফল হবেন যেভাবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১২৮ বার দেখা হয়েছে

পারিবারিক আবহে থাকা ছেলে-মেয়ের চেয়ে জীবনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উন্নতি করে ব্যাচেলররা। যেসব ছেলেমেয়ে পারিবারিক পরিবেশে বড় হয়, সেসব ছেলেমেয়ে সৌভাগ্যবান। কিন্তু ঘরে থাকা ছেলেমেয়েদের চেয়ে ব্যাচেলর ছেলেমেয়েরা জীবন সম্পর্কে গভীরভাবে উপলব্ধি করে। আবার মাঝেমধ্যে ব্যাচেলররা হয়ে ওঠে বেপরোয়া। নানা কারণে ঢাকা শহরের অনেক বাড়িওয়ালা তাদের ভাড়া দিতে চান না। নানা প্রতিবন্ধকতার ভেতরেও কিছু কাজ করলে ব্যাচেলররা জীবনে উন্নতির চরম শিখরে উঠতে পারে।

নিজের খেয়াল রাখা

নিজের খেয়াল রাখতে শিখলে নিজেকে মানুষের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায়। প্রশংসা পেতে সবাই ভালোবাসে। স্মার্ট হয়ে চলতে হবে, চুল উশকো-খুশকো হওয়া যাবে না। পোশাক হতে হবে মার্জিত। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

আত্মবিশ্বাসী

আত্মবিশ্বাসীরা জীবনের অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়। সুস্থভাবে জীবনধারণের জন্য একজন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলুন। কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। অতিরিক্ত মোটা হওয়ার বিড়ম্বনা কমাতে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান, প্রয়োজন বুঝে ব্যয় করুন ও অন্যের অধীনে থাকবেন না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পথ চললে মানুষের কাছে অতিরিক্ত সম্মান পাওয়া যায়।

নিজেকে চেনা

মনোবিজ্ঞানে রয়েছে, আত্মোপলব্ধিই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। কোনো কাজ করার আগে নিজেকে চেনা প্রয়োজন। নিজের সঙ্গে জানাশোনা না থাকলে কখনো উন্নতি করতে পারবেন না। সক্রেটিস বলেছিলেন, নিজেকে জানো। নিজেকে জানার মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি পরিপূর্ণ মর্যাদা অর্জন করতে পারে। কিন্তু তাই বলে নিজেকে ‘আত্মকেন্দ্রিক’ হিসেবে গড়ে তোলা ঠিক নয়। এতে নিজের মধ্যে নার্সিসিজম চলে আসে।

সততা অবলম্বন করা

ব্যাচেলরকে অবশ্যই সততা অবলম্বন করতে হবে। অসদুপায় অবলম্বনকারীকে সবাই অপছন্দ করে। অন্যদিকে সৎ মানুষকে সবাই ভালোবাসে। ব্যাচেলররা যদি সৎভাবে তাদের জীবনকে পরিচালিত করে তাহলে তারা সফলতার অসীম উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। মহৎ গুণাবলী যার মধ্যে থাকে সে মানুষকে ভালোবাসতে জানে। আর যে মানুষকে ভালোবাসতে জানে জীবনের সব ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে সেই জয়ী হয়।

বন্ধুবৎসল হওয়া

বন্ধুদের সঙ্গে সব কথা ভাগাভাগি করলে মনের দুঃখ কমে। প্রাণবন্ত পরিবেশে ব্যাচেলররা অনেক বেশি সামাজিক হওয়ার সুযোগ লাভ করে। বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে প্রাণখোলা অনুভূতি অনুভব করে সে। বন্ধুবৎসল মানুষকে সবাই পছন্দ করে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় কিংবা খেলাধুলার মাধ্যমে একজন ব্যাচেলর তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়ে থাকে। 

শেয়ার করুন

x
English Version

ব্যাচেলররা সফল হবেন যেভাবে

আপডেট: ০৬:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

পারিবারিক আবহে থাকা ছেলে-মেয়ের চেয়ে জীবনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উন্নতি করে ব্যাচেলররা। যেসব ছেলেমেয়ে পারিবারিক পরিবেশে বড় হয়, সেসব ছেলেমেয়ে সৌভাগ্যবান। কিন্তু ঘরে থাকা ছেলেমেয়েদের চেয়ে ব্যাচেলর ছেলেমেয়েরা জীবন সম্পর্কে গভীরভাবে উপলব্ধি করে। আবার মাঝেমধ্যে ব্যাচেলররা হয়ে ওঠে বেপরোয়া। নানা কারণে ঢাকা শহরের অনেক বাড়িওয়ালা তাদের ভাড়া দিতে চান না। নানা প্রতিবন্ধকতার ভেতরেও কিছু কাজ করলে ব্যাচেলররা জীবনে উন্নতির চরম শিখরে উঠতে পারে।

নিজের খেয়াল রাখা

নিজের খেয়াল রাখতে শিখলে নিজেকে মানুষের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায়। প্রশংসা পেতে সবাই ভালোবাসে। স্মার্ট হয়ে চলতে হবে, চুল উশকো-খুশকো হওয়া যাবে না। পোশাক হতে হবে মার্জিত। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

আত্মবিশ্বাসী

আত্মবিশ্বাসীরা জীবনের অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়। সুস্থভাবে জীবনধারণের জন্য একজন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলুন। কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। অতিরিক্ত মোটা হওয়ার বিড়ম্বনা কমাতে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান, প্রয়োজন বুঝে ব্যয় করুন ও অন্যের অধীনে থাকবেন না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পথ চললে মানুষের কাছে অতিরিক্ত সম্মান পাওয়া যায়।

নিজেকে চেনা

মনোবিজ্ঞানে রয়েছে, আত্মোপলব্ধিই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। কোনো কাজ করার আগে নিজেকে চেনা প্রয়োজন। নিজের সঙ্গে জানাশোনা না থাকলে কখনো উন্নতি করতে পারবেন না। সক্রেটিস বলেছিলেন, নিজেকে জানো। নিজেকে জানার মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি পরিপূর্ণ মর্যাদা অর্জন করতে পারে। কিন্তু তাই বলে নিজেকে ‘আত্মকেন্দ্রিক’ হিসেবে গড়ে তোলা ঠিক নয়। এতে নিজের মধ্যে নার্সিসিজম চলে আসে।

সততা অবলম্বন করা

ব্যাচেলরকে অবশ্যই সততা অবলম্বন করতে হবে। অসদুপায় অবলম্বনকারীকে সবাই অপছন্দ করে। অন্যদিকে সৎ মানুষকে সবাই ভালোবাসে। ব্যাচেলররা যদি সৎভাবে তাদের জীবনকে পরিচালিত করে তাহলে তারা সফলতার অসীম উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। মহৎ গুণাবলী যার মধ্যে থাকে সে মানুষকে ভালোবাসতে জানে। আর যে মানুষকে ভালোবাসতে জানে জীবনের সব ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে সেই জয়ী হয়।

বন্ধুবৎসল হওয়া

বন্ধুদের সঙ্গে সব কথা ভাগাভাগি করলে মনের দুঃখ কমে। প্রাণবন্ত পরিবেশে ব্যাচেলররা অনেক বেশি সামাজিক হওয়ার সুযোগ লাভ করে। বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে প্রাণখোলা অনুভূতি অনুভব করে সে। বন্ধুবৎসল মানুষকে সবাই পছন্দ করে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় কিংবা খেলাধুলার মাধ্যমে একজন ব্যাচেলর তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়ে থাকে।