০২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ার নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ শতাধিক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৩৩:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২২২ বার দেখা হয়েছে

তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। ইতোমধ্যেই পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশ দুটির কৃর্তপক্ষ। তুরস্কে ২৮৪ ও সিরিয়ায় ২৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ২৮৪ জন ছাড়িয়েছে। দেশটির মালটিয়া, সানলিউরফা, ওসমানিয়ে ও দিয়ারবাকির প্রদেশে ২৮৪ জন নিহত এবং ২ হাজার ৩২৩ জন আহত হয়েছেন।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আর সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, লাতকিয়া ও টার্টাসে কমপক্ষে ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৩৯ জন।

সিরিয়ার মানবাধিকার নেটওয়ার্ক ও হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় উৎসের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, বাশার বিরোধী উত্তর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ইদলিব, আলেপ্পো, হামা, লাতাকিয়া ও রাক্কা অঞ্চলে ভূমিকম্প শক্তিশালী আঘাত হেনেছে।

বাশার আল আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোতে অন্তত ৪২ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়ায় আঘাত হানবে না: জার্মান চ্যান্সেলর

সীমান্তের উভয় পাশের একাধিক শহরে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নীচে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে নেমেছেন স্থানীয় উদ্ধারকর্মী ও বাসিন্দারা। তুরস্কের দিকে এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বড় শহর রয়েছে। এসব এলাকায় লক্ষাধিক সিরীয় শরণার্থীর আবাসস্থল।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান টুইটারে বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। আশা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কম ক্ষতিসহ এই দুর্যোগটি একসাথে কাটিয়ে উঠব।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে প্রবেশ না করার জন্য বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করা আমাদের প্রথম কাজ।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮; দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।

পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গাজিয়ানতেপ তুরস্কের অন্যতম শিল্পোৎপাদন কেন্দ্র নামে পরিচিত। এই শহরটি ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কিছু শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় তুরস্কের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ শহর এই গাজিয়ানতেপ। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী হওয়ায় গাজিয়ানতেপে অনেক সিরীয় শরণার্থীও আছেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ার নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ শতাধিক

আপডেট: ০২:৩৩:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। ইতোমধ্যেই পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশ দুটির কৃর্তপক্ষ। তুরস্কে ২৮৪ ও সিরিয়ায় ২৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ২৮৪ জন ছাড়িয়েছে। দেশটির মালটিয়া, সানলিউরফা, ওসমানিয়ে ও দিয়ারবাকির প্রদেশে ২৮৪ জন নিহত এবং ২ হাজার ৩২৩ জন আহত হয়েছেন।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আর সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, লাতকিয়া ও টার্টাসে কমপক্ষে ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৩৯ জন।

সিরিয়ার মানবাধিকার নেটওয়ার্ক ও হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় উৎসের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, বাশার বিরোধী উত্তর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ইদলিব, আলেপ্পো, হামা, লাতাকিয়া ও রাক্কা অঞ্চলে ভূমিকম্প শক্তিশালী আঘাত হেনেছে।

বাশার আল আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোতে অন্তত ৪২ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়ায় আঘাত হানবে না: জার্মান চ্যান্সেলর

সীমান্তের উভয় পাশের একাধিক শহরে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নীচে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে নেমেছেন স্থানীয় উদ্ধারকর্মী ও বাসিন্দারা। তুরস্কের দিকে এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বড় শহর রয়েছে। এসব এলাকায় লক্ষাধিক সিরীয় শরণার্থীর আবাসস্থল।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান টুইটারে বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। আশা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কম ক্ষতিসহ এই দুর্যোগটি একসাথে কাটিয়ে উঠব।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে প্রবেশ না করার জন্য বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করা আমাদের প্রথম কাজ।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮; দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।

পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গাজিয়ানতেপ তুরস্কের অন্যতম শিল্পোৎপাদন কেন্দ্র নামে পরিচিত। এই শহরটি ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কিছু শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় তুরস্কের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ শহর এই গাজিয়ানতেপ। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী হওয়ায় গাজিয়ানতেপে অনেক সিরীয় শরণার্থীও আছেন।

ঢাকা/টিএ