০৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহত ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৭১ বার দেখা হয়েছে

শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে।এখনও অনেকে আটকা আছেন ধ্বংসস্তূপে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ১৭৬ জনে পৌঁছেছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ১৪। আর সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মরদেহের সংখ্যা ৩ হাজার ১৬২টি।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে এই প্রথম ত্রাণ পেল সিরিয়া

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এখনও বিভিন্ন ভবনের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মীরা।

স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ।

তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল সোমবার দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল তুর্কির কাহরামানমারাস শহর

ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজারো বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। দু দেশের হাজার হাজার মানুষ আহত হন; গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে।

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাজে আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় রসদ ও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।এমন বাস্তবতায় ‍উদ্ধার তৎপরতায় অবহেলার কথা স্বীকার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভূমিকম্পের তিন দিন পরও মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে না হাজার হাজার পরিবারের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত শহর গাজিয়ানটেপে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কমে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।

ভয়ে কিংবা নিষেধের কারণে ঘরে ফিরতে না পারা শহরটির অনেক বাসিন্দাকে গাড়িতে কিংবা অস্থায়ী তাঁবুতে রাত কাটাতে হয়েছে। দুই বছরের মেয়েকে কম্বলে জড়িয়ে রাখা মেলেক হালিসি নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘বসে থাকাটা বেদনাদায়ক। কারণ আমার ভয় লাগে, কেউ হয়তো এই কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে আছে।

‘একপর্যায়ে আমাদের তাঁবুতে যেতে হবে, কিন্তু আমি তা চাই না। আমি শীত সইতে পারছি না। আবার ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথাও ভাবতে পারছি না।’

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহত ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে

আপডেট: ০৫:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে।এখনও অনেকে আটকা আছেন ধ্বংসস্তূপে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ১৭৬ জনে পৌঁছেছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ১৪। আর সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মরদেহের সংখ্যা ৩ হাজার ১৬২টি।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে এই প্রথম ত্রাণ পেল সিরিয়া

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এখনও বিভিন্ন ভবনের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মীরা।

স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ।

তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল সোমবার দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল তুর্কির কাহরামানমারাস শহর

ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজারো বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। দু দেশের হাজার হাজার মানুষ আহত হন; গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে।

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাজে আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় রসদ ও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।এমন বাস্তবতায় ‍উদ্ধার তৎপরতায় অবহেলার কথা স্বীকার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভূমিকম্পের তিন দিন পরও মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে না হাজার হাজার পরিবারের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত শহর গাজিয়ানটেপে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কমে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।

ভয়ে কিংবা নিষেধের কারণে ঘরে ফিরতে না পারা শহরটির অনেক বাসিন্দাকে গাড়িতে কিংবা অস্থায়ী তাঁবুতে রাত কাটাতে হয়েছে। দুই বছরের মেয়েকে কম্বলে জড়িয়ে রাখা মেলেক হালিসি নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘বসে থাকাটা বেদনাদায়ক। কারণ আমার ভয় লাগে, কেউ হয়তো এই কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে আছে।

‘একপর্যায়ে আমাদের তাঁবুতে যেতে হবে, কিন্তু আমি তা চাই না। আমি শীত সইতে পারছি না। আবার ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথাও ভাবতে পারছি না।’

ঢাকা/টিএ