০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে জুলাই-জুন মেয়াদে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৪২৩৬ বার দেখা হয়েছে

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) আদায় করা হয়। নতুন আইন অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’-এর খসড়ায় এসব বিধান রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, তা আগেই জমির মালিককে জানিয়ে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহারভিত্তিক হবে। আগের ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ ছিল, এখনও সেটা বলবৎ আছে। কেউ যদি ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।

গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে যেমন করোনা মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ খসড়া আইনে রাখা হয়েছে, এমন সব বিধান রেখে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘এখন বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন আইন অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।’

খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘ম্যানুয়ালি আর কর আদায় করা যাবে না। কোনও ভূমির মালিক যদি একসঙ্গে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিয়ে থাকেন, তাহলে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর আদায় করতে হবে।’

আরও পড়ুন: সুলতানার মৃত্যুর ঘটনায় কেউ দোষী হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা: র‍্যাব

সচিব বলেন, ‘প্রতিবছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারও আপত্তি থাকে, সেটা তিনি দায়ের করতে পারেন। তিনি এসিল্যান্ড ও জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারেন। জেলা কালেক্টর তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।’

গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে যেমন করোনা মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ খসড়া আইনে রাখা হয়েছে বলেও জানান মাহমুদুল হোসাইন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে জুলাই-জুন মেয়াদে

আপডেট: ০৭:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) আদায় করা হয়। নতুন আইন অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’-এর খসড়ায় এসব বিধান রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, তা আগেই জমির মালিককে জানিয়ে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহারভিত্তিক হবে। আগের ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ ছিল, এখনও সেটা বলবৎ আছে। কেউ যদি ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।

গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে যেমন করোনা মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ খসড়া আইনে রাখা হয়েছে, এমন সব বিধান রেখে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘এখন বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন আইন অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।’

খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘ম্যানুয়ালি আর কর আদায় করা যাবে না। কোনও ভূমির মালিক যদি একসঙ্গে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিয়ে থাকেন, তাহলে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর আদায় করতে হবে।’

আরও পড়ুন: সুলতানার মৃত্যুর ঘটনায় কেউ দোষী হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা: র‍্যাব

সচিব বলেন, ‘প্রতিবছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারও আপত্তি থাকে, সেটা তিনি দায়ের করতে পারেন। তিনি এসিল্যান্ড ও জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারেন। জেলা কালেক্টর তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।’

গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে যেমন করোনা মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ খসড়া আইনে রাখা হয়েছে বলেও জানান মাহমুদুল হোসাইন।

ঢাকা/এসএ