০৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মাইডাস ফাইন্যান্সকে ফ্লোর বিক্রির তথ্য আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকাশের নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
  • / ৪১১৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মাইডাস ফাইন্যান্সকে ফ্লোর স্পেস ও গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বিক্রির তথ্য আসন্ন আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। চলতি বছর ৩ মার্চ কোম্পানিটির সঙ্গে বিএসইসির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের আলোকেই কোম্পানিটির ফ্লোর স্পেসসহ গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বিক্রির তথ্য আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি মাইডাস ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, মাইডাস ফাইন্যান্সকে ৩ হাজার ৭৯০ বর্গফুট ও ৩টি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বিক্রির বিষয়টি সমন্বয় করা এবং আসন্ন আর্থিক প্রতিবেদনে যথাযথ ভাবে প্রকাশ করতে পরামর্শ দেওয়া হলো।

সূত্র মতে, গত বছর মাইক্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট এসিসট্যান্স অ্যান্ড সার্ভিসের (মাইডাস) কাছে কম দামে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত মাইডাস সেন্টারের ১১ তলায় ৩ হাজার ৭৯০ স্কয়ার ফুট ফ্লোর স্পেস এবং তিনটি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা হস্তান্তর করে মাইডাস ফাইন্যান্স। এ ফ্লোর স্পেসের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি ৭১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৮ টাকা। ২০২১ সালের ৩ আগস্ট ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ হয়। সে সময় আরো জানানো হয়,ফ্লোর স্পেস হস্তান্তরের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করে কোম্পানিটি।

ফ্লোর স্পেসটির দাম যাচাই করলে দেখা যায়, প্রতি স্কয়ার ফুটের দাম পড়েছে মাত্র ৪ হাজার ৫২১ টাকা। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা যুক্ত করলে ফ্লোর স্পেসটির দাম আরো কমে আসে। রাজধানীর ধানমন্ডির মত অভিজাত এলাকায় এতো কম মূল্য বাস্তবসম্মত কিনা তা নিয়ে শেয়ারহোল্ডারসহ সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেন।

তবে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ফ্লোর স্পেসটির এই মূল্য ২০১২ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেওয়া হয়। যদিও ফ্লোর স্পেসটি তাৎক্ষণিক হস্তান্তর করা হয়নি। তাই ফ্লোর স্পেসটি হস্তান্তরের আগে পুনরায় বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের সামনে নিয়ে আসা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ইজিএম ও এজিএমে এ বিষয়টি শেয়ারহোল্ডারদের সামতে তুলে ধরা হয়।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

মাইডাস ফাইন্যান্সকে ফ্লোর বিক্রির তথ্য আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকাশের নির্দেশ

আপডেট: ১১:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মাইডাস ফাইন্যান্সকে ফ্লোর স্পেস ও গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বিক্রির তথ্য আসন্ন আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। চলতি বছর ৩ মার্চ কোম্পানিটির সঙ্গে বিএসইসির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের আলোকেই কোম্পানিটির ফ্লোর স্পেসসহ গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বিক্রির তথ্য আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি মাইডাস ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, মাইডাস ফাইন্যান্সকে ৩ হাজার ৭৯০ বর্গফুট ও ৩টি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বিক্রির বিষয়টি সমন্বয় করা এবং আসন্ন আর্থিক প্রতিবেদনে যথাযথ ভাবে প্রকাশ করতে পরামর্শ দেওয়া হলো।

সূত্র মতে, গত বছর মাইক্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট এসিসট্যান্স অ্যান্ড সার্ভিসের (মাইডাস) কাছে কম দামে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত মাইডাস সেন্টারের ১১ তলায় ৩ হাজার ৭৯০ স্কয়ার ফুট ফ্লোর স্পেস এবং তিনটি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা হস্তান্তর করে মাইডাস ফাইন্যান্স। এ ফ্লোর স্পেসের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি ৭১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৮ টাকা। ২০২১ সালের ৩ আগস্ট ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ হয়। সে সময় আরো জানানো হয়,ফ্লোর স্পেস হস্তান্তরের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করে কোম্পানিটি।

ফ্লোর স্পেসটির দাম যাচাই করলে দেখা যায়, প্রতি স্কয়ার ফুটের দাম পড়েছে মাত্র ৪ হাজার ৫২১ টাকা। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা যুক্ত করলে ফ্লোর স্পেসটির দাম আরো কমে আসে। রাজধানীর ধানমন্ডির মত অভিজাত এলাকায় এতো কম মূল্য বাস্তবসম্মত কিনা তা নিয়ে শেয়ারহোল্ডারসহ সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেন।

তবে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ফ্লোর স্পেসটির এই মূল্য ২০১২ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেওয়া হয়। যদিও ফ্লোর স্পেসটি তাৎক্ষণিক হস্তান্তর করা হয়নি। তাই ফ্লোর স্পেসটি হস্তান্তরের আগে পুনরায় বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের সামনে নিয়ে আসা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ইজিএম ও এজিএমে এ বিষয়টি শেয়ারহোল্ডারদের সামতে তুলে ধরা হয়।

ঢাকা/টিএ