মা ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট: ১০:৫১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২
- / ৪১৪৩ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি সুস্থ ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার বৃদ্ধি এবং মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নের কার্যক্রম টেকসই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২’ উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে শনিবার এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২’ পালন করা হচ্ছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
শিক্ষা ও সমর্থনের পদক্ষেপ’ যথার্থ হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃদুগ্ধ পান শিশুদের পুষ্টিপূরণ এবং সম্মিলিত শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ ছয় মাসে উন্নীত করেছি। সাধারণভাবে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে। প্রতি বছর শিশু অপুষ্টির হার ১.২৭ শতাংশ কমেছে।
এসডিজি-৩ শিশু সম্পর্কিত সূচকগুলো, যথা- পাঁচ বছর বয়সের নিচে শিশু মৃত্যুহার ৩১ এবং নবজাতকের মৃত্যুহার ১৭ ইতোমধ্যেই মাইলফলক অতিক্রম করেছে সময়ের আগে। এসডিজি-২ এর শিশু সম্পর্কিত সূচকগুলো, যথা কৃশকায় শিশুর হার ৮ ভাগে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের খুব কাছাকাছি রয়েছে। এসডিজি-২ এর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে খর্বাকৃতি শিশুর হার ৩১ ভাগ থেকে ২৫ ভাগ এবং কম ওজনের জন্ম নেওয়া শিশুর হার ২২ ভাগ থেকে ২০ ভাগে কমিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশের শতকরা ৬৫ ভাগ শিশু ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খায়। ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ (ডইঞর)-এর প্রতিবেদন, ২০২০ অনুযায়ী বাংলাদেশ ৯৭টি দেশের মধ্যে ৯১.৫/১০০ স্কোর পেয়ে সারাবিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে গ্রিন জোনে আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুঁড়ো দুধের বিপণন নিয়ন্ত্রণে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য ও বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ এবং এর বিধিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। শিশুখাদ্য ও বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য এবং তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন)-২০১৩ প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, রেলস্টেশন সব জায়গায় ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি, শিগগিরই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা মাতৃ ও শিশু পুষ্টি বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জন করব।
ঢাকা/এসএ