০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

মিয়ানমার ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১২৯ বার দেখা হয়েছে

মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। দিল্লি সফর শেষে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারত কীভাবে একসঙ্গে কাজ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে বর্ডার শেয়ার করি। সুতরাং মিয়ানমারে যদি কোনো পরিস্থিতির উদ্বেগ ঘটে তাহলে সেটি আমাদের দেশকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা উদ্বিগ্ন করে তাদেরও উদ্বিগ্ন করে। সুতরাং দুই দেশেরই যেহেতু উদ্বেগ প্রতিবেশীকে নিয়ে, তাই আমরা একসঙ্গে কাজ করার অনেক বিষয় রয়েছে। সেজন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করবো বলে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আমরা ভারতের সহযোগিতা সবসময় চেয়েছি এবারও চেয়েছি।

মিয়ানমার ইস্যুতে ভারত সফরে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে এখন যে সংঘাত চলছে সেই সংঘাতের কারণে আমাদের অঞ্চলে যে সংকট তৈরি হয়েছে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গাকে বিতাড়িত করা হয়েছে তাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে সেখানে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ভারতের সহায়তা কামনা করেছি।

বিএনপির তরফ থেকে মিয়ানমার ইস্যুতে সরকার তথ্য গোপন করছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন বক্তব্য দিয়ে বিএনপি যে আছে সেটি জানান দিতে চায়। এখানে মিয়ানমারের যত সদস্য আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে তাদের বিষয়ে আমরা সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করেছি। এখানে লুকোচুরি করার প্রশ্নই আসে না। তাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব সহসা তাদের ফেরত পাঠাতে পারবো।

আরও পড়ুন: তিনদিন বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির আভাস

তিনি বলেন, বিএনপি এখন পুরোনো গাড়ি। স্টার্ট দিয়ে একটু চালু রাখার চেষ্টা করছে। তাদের কর্মীদের মধ্যে যে হতাশা তেরি হয়েছে কর্মসূচি দিয়ে এসব হতাশা কাটানোর চেষ্টা করছে। আমরা চাই তারা গণতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্যে থাকবে। সরকারের প্রতিবাদ তারা করতেই পারে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে তাদের অগ্নিসন্ত্রাস আর করতে দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x
English Version

মিয়ানমার ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ০৫:১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। দিল্লি সফর শেষে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারত কীভাবে একসঙ্গে কাজ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে বর্ডার শেয়ার করি। সুতরাং মিয়ানমারে যদি কোনো পরিস্থিতির উদ্বেগ ঘটে তাহলে সেটি আমাদের দেশকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা উদ্বিগ্ন করে তাদেরও উদ্বিগ্ন করে। সুতরাং দুই দেশেরই যেহেতু উদ্বেগ প্রতিবেশীকে নিয়ে, তাই আমরা একসঙ্গে কাজ করার অনেক বিষয় রয়েছে। সেজন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করবো বলে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আমরা ভারতের সহযোগিতা সবসময় চেয়েছি এবারও চেয়েছি।

মিয়ানমার ইস্যুতে ভারত সফরে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে এখন যে সংঘাত চলছে সেই সংঘাতের কারণে আমাদের অঞ্চলে যে সংকট তৈরি হয়েছে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গাকে বিতাড়িত করা হয়েছে তাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে সেখানে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ভারতের সহায়তা কামনা করেছি।

বিএনপির তরফ থেকে মিয়ানমার ইস্যুতে সরকার তথ্য গোপন করছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন বক্তব্য দিয়ে বিএনপি যে আছে সেটি জানান দিতে চায়। এখানে মিয়ানমারের যত সদস্য আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে তাদের বিষয়ে আমরা সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করেছি। এখানে লুকোচুরি করার প্রশ্নই আসে না। তাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব সহসা তাদের ফেরত পাঠাতে পারবো।

আরও পড়ুন: তিনদিন বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির আভাস

তিনি বলেন, বিএনপি এখন পুরোনো গাড়ি। স্টার্ট দিয়ে একটু চালু রাখার চেষ্টা করছে। তাদের কর্মীদের মধ্যে যে হতাশা তেরি হয়েছে কর্মসূচি দিয়ে এসব হতাশা কাটানোর চেষ্টা করছে। আমরা চাই তারা গণতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্যে থাকবে। সরকারের প্রতিবাদ তারা করতেই পারে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে তাদের অগ্নিসন্ত্রাস আর করতে দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এসএইচ