০৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তায় ডিএমপির পরামর্শ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১০৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটররা টাকা লেনদেনের নীতিমালা ও নির্দেশনাগুলো যথাযথ পালন করেন না। আবার কার্যক্রমকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধী চক্র দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে চাঁদাবাজি করছে। নিরাপদ মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য তাই ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি বলছে, প্রায়ই প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ সমস্যার সমাধান বের করা এখন সময়ের দাবি। অপরিচিত কারো সঙ্গে এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

একইসঙ্গে এ ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরও উচিত এ ব্যবস্থাতে যেন কোনো দুর্বলতা বা নিরাপত্তার ঘাটতি না থাকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কিছু পরামর্শ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

ডিএমপির ছয় পরামর্শঃ

১. এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা।

২. ঢাকা মহানগরী এলাকায় যেসব বিকাশ, ইউ ক্যাশ, মোবি ক্যাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর আছেন সেসব প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা (রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন) স্থাপন করা।

৩. স্থায়ী দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া এজেন্ট নিয়োগ না করা। এছাড়াও ব্যাঙের ছাতার মতো রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে, গাছের নীচে অস্থায়ীভাবে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে যত্রতত্র মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা না করা।

৪. এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা। আবেদনকারীদের নাম, ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্যগুলো পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, কর্তৃক ভেটিং করানো।

৫. মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের হিসাব খোলার আবেদনের ক্ষেত্রে নো ইয়োর কাস্টমার (কেওয়াইসি) ফরম যথাযথভাবে পূরণ বাধ্যতামূলক করা। গ্রাহকের দেওয়া তথ্যগুলো ব্যাংক কর্তৃক সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দেওয়া।

৬. ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেন্টার থেকে যারা ক্যাশ আউট করবে (টাকা উঠাবে) তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সব এজেন্টদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতমূলক নির্দেশনা দেওয়া।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ জানিয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করা নগদ টাকা পরিবহনকারীরা সন্ত্রাসীদের সফট টার্গেটে পরিণত হয়েছে। টাকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করাটা ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি এড়াতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার আর্মড ভেহিকেল ও নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রহরায় টাকা পরিবহনের (মোবাইল ব্যাংকিং) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছে ডিএমপি। প্রয়োজনে ডিএমপির ‘মানি এস্কর্ট’ সার্ভিস ও নেওয়া যেতে পারে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তায় ডিএমপির পরামর্শ

আপডেট: ০৬:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটররা টাকা লেনদেনের নীতিমালা ও নির্দেশনাগুলো যথাযথ পালন করেন না। আবার কার্যক্রমকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধী চক্র দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে চাঁদাবাজি করছে। নিরাপদ মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য তাই ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি বলছে, প্রায়ই প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ সমস্যার সমাধান বের করা এখন সময়ের দাবি। অপরিচিত কারো সঙ্গে এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

একইসঙ্গে এ ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরও উচিত এ ব্যবস্থাতে যেন কোনো দুর্বলতা বা নিরাপত্তার ঘাটতি না থাকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কিছু পরামর্শ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

ডিএমপির ছয় পরামর্শঃ

১. এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা।

২. ঢাকা মহানগরী এলাকায় যেসব বিকাশ, ইউ ক্যাশ, মোবি ক্যাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর আছেন সেসব প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা (রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন) স্থাপন করা।

৩. স্থায়ী দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া এজেন্ট নিয়োগ না করা। এছাড়াও ব্যাঙের ছাতার মতো রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে, গাছের নীচে অস্থায়ীভাবে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে যত্রতত্র মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা না করা।

৪. এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা। আবেদনকারীদের নাম, ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্যগুলো পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, কর্তৃক ভেটিং করানো।

৫. মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের হিসাব খোলার আবেদনের ক্ষেত্রে নো ইয়োর কাস্টমার (কেওয়াইসি) ফরম যথাযথভাবে পূরণ বাধ্যতামূলক করা। গ্রাহকের দেওয়া তথ্যগুলো ব্যাংক কর্তৃক সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দেওয়া।

৬. ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেন্টার থেকে যারা ক্যাশ আউট করবে (টাকা উঠাবে) তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সব এজেন্টদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতমূলক নির্দেশনা দেওয়া।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ জানিয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করা নগদ টাকা পরিবহনকারীরা সন্ত্রাসীদের সফট টার্গেটে পরিণত হয়েছে। টাকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করাটা ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি এড়াতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার আর্মড ভেহিকেল ও নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রহরায় টাকা পরিবহনের (মোবাইল ব্যাংকিং) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছে ডিএমপি। প্রয়োজনে ডিএমপির ‘মানি এস্কর্ট’ সার্ভিস ও নেওয়া যেতে পারে।

ঢাকা/এসএ