০২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

যেসব খাবার ওভেনে গরম করলে বিপদ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • / ৪১৭৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সময় বাঁচাতে আমরা প্রায়ই মাইক্রোওয়েভে ওভেনে রান্না করাটাকে সহজ বিকল্প হিসেবে ধরে নিই। এতে সময় যেমন বাঁচে, তেমনি লাঘব হয় শারীরিক কষ্টও। জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করলেও দৈনন্দিন জীবনে ওভেনের অতি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ টানা উচিত। কিছু খাবার আছে যেগুলো কখনোই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা উচিত নয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো ওভেনে গরম করা যাবে না-

সবজি

ওভেনে কোনো ধরনের সবজি রান্না বা গরম করবেন না। এটি মেনে চলতেই হবে। কারণ বিকিরণের আকারে অতিরিক্ত তাপ নষ্ট করে দেয় সবজির পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সবজি ও ফল তাপ ও আর্দ্রতার সংস্পর্শে না আসা পর্যন্তই এতে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি ধরে রাখে। ওভেনে গরম করলে কমতে থাকে এর পুষ্টিগুণ। যে কারণে সবজির উপকারিতা শরীরে পৌঁছায় না।

পানি গরম করবেন না

ওভেনে সিরামিক বা কাচের পাত্রে উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় ধরে পানি গরম করবেন না। এতে পানি অনেক বেশি গরম হয়ে যায় কিন্তু দেখে তা বোঝা যায় না। কারণ বুদবুদ তৈরি হয় না। পানি বেশি গরম হয়ে যাওয়ার কারণে পাত্রটি ফেটে যেতে পারে। এছাড়া গরমের বিষয়টি বুঝতে না পেরে ধরতে গেলে হাত পুড়ে যেতে পারে। তাই ওভেনে পানি গরম করতে চাইলে খুবই কম সময়ের জন্য গরম করতে হবে।

সেদ্ধ ডিম

ডিম সেদ্ধ করার পর খোসাসহ ওভেনে গরম করতে দেবেন না। এতে ওভেনেরই সমস্যা হবে। কারণ গরম করতে দিলে ডিমটি ফেটে যাবে এবং ওভেন নোংরা হবে। আপনি যদি সময় বাঁচাতে ওভেনে সেদ্ধ ডিম গরম করতেই চান তবে প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে এরপর গরম করতে দিন। সম্ভব হলে ডিমের গায়ে ছুরি দিয়ে দাগ দিয়ে দিন। এতে ফেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

চিপস বা ওয়েফার

অনেক সময় আরেকটু ক্রিসপি করার জন্য ওয়েফার বা চিপস মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা হয়। এতে লাভ তো হবেই না বরং আরও পাতলা ও নরম হয়ে যাবে। এ ধরনের খাবার মচমচে করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো একটি ট্রেতে সামান্য তেল ও মসলা ছিটিয়ে এরপর বেক করা।

তেল ও তেলযুক্ত খাবার

তেলের থাকে একটি নির্দিষ্ট স্মোক পয়েন্ট। এর থেকে বেশি গরম করলে তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। এছাড়া ওভেনের ভেতরে তেল সহজে গরম হয় না। কারণ মাইক্রোওয়েভ ওভেন প্রথমে পাত্রকে গরম করে এরপর ভেতরের খাবারকে। তাই তেল ও তেল জাতীয় খাবার ওভেনে গরম করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

হিমায়িত মাংস

ঠান্ডা মাংস ওভেনে গরম করে খেলে তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এতে বেড়ে যায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি। পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণা অনুসারে, হিমায়িত মাংস গরম করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো প্রথমে ডিফ্রস্ট করা এবং তারপর গরম করা।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

যেসব খাবার ওভেনে গরম করলে বিপদ

আপডেট: ১১:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সময় বাঁচাতে আমরা প্রায়ই মাইক্রোওয়েভে ওভেনে রান্না করাটাকে সহজ বিকল্প হিসেবে ধরে নিই। এতে সময় যেমন বাঁচে, তেমনি লাঘব হয় শারীরিক কষ্টও। জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করলেও দৈনন্দিন জীবনে ওভেনের অতি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ টানা উচিত। কিছু খাবার আছে যেগুলো কখনোই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা উচিত নয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো ওভেনে গরম করা যাবে না-

সবজি

ওভেনে কোনো ধরনের সবজি রান্না বা গরম করবেন না। এটি মেনে চলতেই হবে। কারণ বিকিরণের আকারে অতিরিক্ত তাপ নষ্ট করে দেয় সবজির পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সবজি ও ফল তাপ ও আর্দ্রতার সংস্পর্শে না আসা পর্যন্তই এতে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি ধরে রাখে। ওভেনে গরম করলে কমতে থাকে এর পুষ্টিগুণ। যে কারণে সবজির উপকারিতা শরীরে পৌঁছায় না।

পানি গরম করবেন না

ওভেনে সিরামিক বা কাচের পাত্রে উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় ধরে পানি গরম করবেন না। এতে পানি অনেক বেশি গরম হয়ে যায় কিন্তু দেখে তা বোঝা যায় না। কারণ বুদবুদ তৈরি হয় না। পানি বেশি গরম হয়ে যাওয়ার কারণে পাত্রটি ফেটে যেতে পারে। এছাড়া গরমের বিষয়টি বুঝতে না পেরে ধরতে গেলে হাত পুড়ে যেতে পারে। তাই ওভেনে পানি গরম করতে চাইলে খুবই কম সময়ের জন্য গরম করতে হবে।

সেদ্ধ ডিম

ডিম সেদ্ধ করার পর খোসাসহ ওভেনে গরম করতে দেবেন না। এতে ওভেনেরই সমস্যা হবে। কারণ গরম করতে দিলে ডিমটি ফেটে যাবে এবং ওভেন নোংরা হবে। আপনি যদি সময় বাঁচাতে ওভেনে সেদ্ধ ডিম গরম করতেই চান তবে প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে এরপর গরম করতে দিন। সম্ভব হলে ডিমের গায়ে ছুরি দিয়ে দাগ দিয়ে দিন। এতে ফেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

চিপস বা ওয়েফার

অনেক সময় আরেকটু ক্রিসপি করার জন্য ওয়েফার বা চিপস মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা হয়। এতে লাভ তো হবেই না বরং আরও পাতলা ও নরম হয়ে যাবে। এ ধরনের খাবার মচমচে করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো একটি ট্রেতে সামান্য তেল ও মসলা ছিটিয়ে এরপর বেক করা।

তেল ও তেলযুক্ত খাবার

তেলের থাকে একটি নির্দিষ্ট স্মোক পয়েন্ট। এর থেকে বেশি গরম করলে তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। এছাড়া ওভেনের ভেতরে তেল সহজে গরম হয় না। কারণ মাইক্রোওয়েভ ওভেন প্রথমে পাত্রকে গরম করে এরপর ভেতরের খাবারকে। তাই তেল ও তেল জাতীয় খাবার ওভেনে গরম করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

হিমায়িত মাংস

ঠান্ডা মাংস ওভেনে গরম করে খেলে তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এতে বেড়ে যায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি। পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণা অনুসারে, হিমায়িত মাংস গরম করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো প্রথমে ডিফ্রস্ট করা এবং তারপর গরম করা।

ঢাকা/এসএম