১২:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

যোগাযোগ ও পরিবহন খাতে বরাদ্দ ৮৭ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
  • / ৪১৩৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৮৭ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চলতি বাজেটের পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের বরাদ্দের তুলনায় ৬ হাজার ১১০ কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮১ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশকালে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

বাজেট বক্তব্য বলা হয়, যোগাযোগ খাতে আমরা সকল মাধ্যম অর্থাৎ সড়ক, সেতু, রেল, নৌ ও আকাশপথের সমন্বিত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো— অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপদ, টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।’ ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা সড়ক, সেতু, কালভার্ট, ব্রিজ ইত্যাদি নির্মাণ করার ফলে সারা দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুগঠিত মহাসড়ক তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে সারা দেশে ২ হাজার ৩৪২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে বাস্তবায়িত দেশের ৮টি বিভাগের ২৫টি জেলায় মোট ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৪৯৪ মিটার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশ সমুদ্র বন্দরগুলোর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রফতানি বাণিজ্য এবং দেশি-বিদেশি বাণিজ্য সম্প্রসারণে অন্যতম লজিস্টিকস হলো বন্দরগুলো। এ লক্ষ্যে গভীর সমুদ্রে কন্টেইনার সংরক্ষণ ও কন্টেইনার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বর্তমানে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এছাড়া মোংলা বন্দরকে একটি আধুনিক সমুদ্র বন্দরে রূপ দেওয়ার জন্য কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং, আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, সহায়ক জলযান সংগ্রহ ও নতুন জেটি নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাজেটের ১৩ শতংশই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে

রেল খাত উন্নয়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে রেল খাতের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৯ সালের পর থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ৭৩৯ দশমিক ৭১ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ২৮০ দশমিক ২৮ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, ৭৩২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ এবং ১৪৪টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে।

যানজট নিরসন ও নিরাপদ সড়ক নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসন ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ৬টি মেট্রোরেল লাইনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

যোগাযোগ ও পরিবহন খাতে বরাদ্দ ৮৭ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা

আপডেট: ০৫:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৮৭ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চলতি বাজেটের পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের বরাদ্দের তুলনায় ৬ হাজার ১১০ কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮১ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশকালে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

বাজেট বক্তব্য বলা হয়, যোগাযোগ খাতে আমরা সকল মাধ্যম অর্থাৎ সড়ক, সেতু, রেল, নৌ ও আকাশপথের সমন্বিত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো— অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপদ, টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।’ ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা সড়ক, সেতু, কালভার্ট, ব্রিজ ইত্যাদি নির্মাণ করার ফলে সারা দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুগঠিত মহাসড়ক তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে সারা দেশে ২ হাজার ৩৪২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে বাস্তবায়িত দেশের ৮টি বিভাগের ২৫টি জেলায় মোট ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৪৯৪ মিটার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশ সমুদ্র বন্দরগুলোর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রফতানি বাণিজ্য এবং দেশি-বিদেশি বাণিজ্য সম্প্রসারণে অন্যতম লজিস্টিকস হলো বন্দরগুলো। এ লক্ষ্যে গভীর সমুদ্রে কন্টেইনার সংরক্ষণ ও কন্টেইনার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বর্তমানে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এছাড়া মোংলা বন্দরকে একটি আধুনিক সমুদ্র বন্দরে রূপ দেওয়ার জন্য কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং, আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, সহায়ক জলযান সংগ্রহ ও নতুন জেটি নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাজেটের ১৩ শতংশই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে

রেল খাত উন্নয়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে রেল খাতের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৯ সালের পর থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ৭৩৯ দশমিক ৭১ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ২৮০ দশমিক ২৮ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, ৭৩২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ এবং ১৪৪টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে।

যানজট নিরসন ও নিরাপদ সড়ক নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসন ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ৬টি মেট্রোরেল লাইনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।

ঢাকা/এসএ