সূত্রমতে, প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মামুন-অর-রশীদ ও রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন মুন সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে সব কাজের সহযোগী ছিলেন। এর মধ্যে ভিসি সোবহানের দেওয়া বিতর্কিত ১৪১ নিয়োগের মধ্যে মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন মুনের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। গণনিয়োগের আরেক কুশীলব ও প্রফেসর সোবহানের ডানহাত খ্যাত সহকারী রেজিস্ট্রার মামুন অর রশীদের ভাই ফারহানুল ইসলাম মামুনও চাকরি পেয়েছেন।
এর আগে ভিসি আব্দুস সোবহানের বিতর্কিত ১৪১ জন এবং আগের ৩৪ জন শিক্ষকসহ অবৈধভাবে দেওয়া মোট ১৭৫ জনের নিয়োগ বাতিলসহ ৯টি সুপারিশ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। ২৩ মে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ৬ মে শেষ কার্যদিবসের আগের রাতে ৯ জন শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিভিন্ন পদে মোট ১৪১ জনকে নিয়োগ দেন ভিসি সোবহান। এর আগে ভিসি সোবহান উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন করে নিজের মেয়ে জামাতাসহ অবৈধ উপায়ে আরও ৩৪ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেন। তদন্ত কমিটি এসব নিয়োগকে অবৈধ অ্যাখ্যা দিয়ে মোট ১৭৫ নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ দিয়েছেন।