০৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ: জসিম উদ্দিন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
  • / ৪২০৬ বার দেখা হয়েছে

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। বিশাল আকারের এই রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া বিশ্বে বিভিন্ন সংকটের কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকসহ রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া।

শনিবার (৩ জুন) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন, ২০৩১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছাতে দেশের অর্থনীতির আকার স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। এজন্য দেশের বাজেটের আকারও বাড়ছে। বাজেটের আকার ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৭৯ হাজার ৬১৪ কোটির তুলনায় সাড়ে নয় গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রস্তাবিত ২০২৩-২০১৪ অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা চলতি বাজেটের তুলনায় ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। বাজেটে জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটের এই আকার অবাস্তব নয়। দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সাথে সাথে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। তার মধ্যে কর থেকে রাজস্ব আসবে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অংশ ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য রাজস্ব ৭০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত রাজস্বের মধ্যে মৃসক থেকে সংগ্রহ করা হবে ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ, আয়কর থেকে আসবে ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ , সম্পূরক শুল্ক থেকে আসবে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, আমদানি শুল্ক থেকে আসবে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য কর ১ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: সংকটে ঘুরে দাঁড়াবার বাজেট দিয়েছে সরকার: ওবায়দুল কাদের

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক ফেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রা শিরোনামে বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ বাজেট কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নামেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা, দূরদর্শী, বিচক্ষণ পরিকল্পনা এবং আন্তরিক প্রয়াস আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সুদৃঢ় করেছে। গত ১৪ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশের বেশি। জিডিপির আকার অনুযায়ী ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ছিলো বিশ্বের ৬০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ১৪ বছরের ব্যবধানে দেশ আজ বিশ্বে ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ: জসিম উদ্দিন

আপডেট: ০৫:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। বিশাল আকারের এই রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া বিশ্বে বিভিন্ন সংকটের কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকসহ রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া।

শনিবার (৩ জুন) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন, ২০৩১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছাতে দেশের অর্থনীতির আকার স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। এজন্য দেশের বাজেটের আকারও বাড়ছে। বাজেটের আকার ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৭৯ হাজার ৬১৪ কোটির তুলনায় সাড়ে নয় গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রস্তাবিত ২০২৩-২০১৪ অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা চলতি বাজেটের তুলনায় ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। বাজেটে জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটের এই আকার অবাস্তব নয়। দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সাথে সাথে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। তার মধ্যে কর থেকে রাজস্ব আসবে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অংশ ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য রাজস্ব ৭০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত রাজস্বের মধ্যে মৃসক থেকে সংগ্রহ করা হবে ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ, আয়কর থেকে আসবে ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ , সম্পূরক শুল্ক থেকে আসবে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, আমদানি শুল্ক থেকে আসবে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য কর ১ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: সংকটে ঘুরে দাঁড়াবার বাজেট দিয়েছে সরকার: ওবায়দুল কাদের

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক ফেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রা শিরোনামে বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ বাজেট কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নামেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা, দূরদর্শী, বিচক্ষণ পরিকল্পনা এবং আন্তরিক প্রয়াস আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সুদৃঢ় করেছে। গত ১৪ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশের বেশি। জিডিপির আকার অনুযায়ী ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ছিলো বিশ্বের ৬০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ১৪ বছরের ব্যবধানে দেশ আজ বিশ্বে ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা/এসএ