০৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

রাশিয়ায় জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার পরিণাম ভয়াবহ: ওপেক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪১৩২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: রাশিয়ার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার পরিণাম ভালো হবে না বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক। এতে ইউরোপে যে তেল সংকট তৈরি হবে, তা পূরণের জন্য বিকল্প উৎস নেই বলেও জানায় সংগঠনটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সোমবার (১১ এপ্রিল) ওপেকের মহাসচিব মোহাম্মদ বারকিন্দো বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কারণে তেল সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় সম্প্রতি রাশিয়া থেকে বিভিন্ন জ্বালানি পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। দেশ দুটির পথ অনুসরণ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)।

প্রতিবেদনে বলছে, রাশিয়ার জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নির্ভরতা কম হলেও ইউরোপের ক্ষেত্রে তা নয়। ইউরোপে জ্বালানির একটা বড় অংশ আসে রাশিয়া থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার এ চেষ্টায় ভয়াবহ পরিণাম হতে পারে। জার্মানির গোটা শিল্পব্যবস্থায় ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়াভিত্তিক বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি ওএমভির প্রধান ইতিমধ্যে বলেই দিয়েছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করাটা তার দেশের জন্য অসম্ভব।

এরমধ্যেই ওপেকের মহাসচিবও বললেন, জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার ফল ইউরোপের জন্য ভয়াবহ হবে। ইইউ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা আরোপের কারণে বিশ্ববাজারে প্রতিদিন রাশিয়ার ৭০ লাখ ব্যারেল পরিমাণ তেল সরবরাহ কমে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকার করেছে, ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রপ্তানির পরিমাণ বাড়িয়ে ঘাটতি পূরণ করবে তারা। অথচ ইউরোপের এলএনজি টার্মিনালগুলো ইতোমধ্যে পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে, অর্থাৎ জ্বালানি সংরক্ষণের জন্য কোনো জায়গা নেই। কিছু কিছু দেশ আবার চাইছে জ্বালানি সংকটকে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের দুয়ার খুলতে।

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট রাশিয়ার তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পারমাণবিক জ্বালানির ওপর পুরোপুরিভাবে এবং অবিলম্বে অবরোধ আরোপের দাবি করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ দাবি পূরণ হলে ইউরোপীয়দের জীবন মানের ওপর এর উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

রাশিয়ায় জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার পরিণাম ভয়াবহ: ওপেক

আপডেট: ০১:৫১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: রাশিয়ার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার পরিণাম ভালো হবে না বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক। এতে ইউরোপে যে তেল সংকট তৈরি হবে, তা পূরণের জন্য বিকল্প উৎস নেই বলেও জানায় সংগঠনটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সোমবার (১১ এপ্রিল) ওপেকের মহাসচিব মোহাম্মদ বারকিন্দো বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কারণে তেল সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় সম্প্রতি রাশিয়া থেকে বিভিন্ন জ্বালানি পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। দেশ দুটির পথ অনুসরণ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)।

প্রতিবেদনে বলছে, রাশিয়ার জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নির্ভরতা কম হলেও ইউরোপের ক্ষেত্রে তা নয়। ইউরোপে জ্বালানির একটা বড় অংশ আসে রাশিয়া থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার এ চেষ্টায় ভয়াবহ পরিণাম হতে পারে। জার্মানির গোটা শিল্পব্যবস্থায় ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়াভিত্তিক বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি ওএমভির প্রধান ইতিমধ্যে বলেই দিয়েছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করাটা তার দেশের জন্য অসম্ভব।

এরমধ্যেই ওপেকের মহাসচিবও বললেন, জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার ফল ইউরোপের জন্য ভয়াবহ হবে। ইইউ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা আরোপের কারণে বিশ্ববাজারে প্রতিদিন রাশিয়ার ৭০ লাখ ব্যারেল পরিমাণ তেল সরবরাহ কমে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকার করেছে, ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রপ্তানির পরিমাণ বাড়িয়ে ঘাটতি পূরণ করবে তারা। অথচ ইউরোপের এলএনজি টার্মিনালগুলো ইতোমধ্যে পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে, অর্থাৎ জ্বালানি সংরক্ষণের জন্য কোনো জায়গা নেই। কিছু কিছু দেশ আবার চাইছে জ্বালানি সংকটকে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের দুয়ার খুলতে।

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট রাশিয়ার তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পারমাণবিক জ্বালানির ওপর পুরোপুরিভাবে এবং অবিলম্বে অবরোধ আরোপের দাবি করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ দাবি পূরণ হলে ইউরোপীয়দের জীবন মানের ওপর এর উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ঢাকা/এসএ