১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাশেদ মাকসুদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের দাবিতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৪৪৮ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দুর্নীতি দ্রুত অনুসন্ধানের দাবিতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। একইসঙ্গে তার দ্রুত শাস্তি দাবি করেছেন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক‍্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের ব‍্যানারে এই বিক্ষোভ করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্ণীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ের সামনে সংগঠনটির নেতারাসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।

বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা বলেন, খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ছিলেন বিতর্কিত ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। যিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়াঁ আরজু ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধ আর্থিক দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধে কিছুই করেননি। বরং সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করার অভিযোগ আছে। যে কারনে অন্যদেরসহ তার বিরুদ্ধে দূর্ণীতি দমন কমিশন ২৬৪ কোটি টাকার ঋণ অনিয়মে তদন্ত শুরু করে। তার এই দূর্নীতি দ্রুত অনুসন্ধান করে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১১ জুন দুদুক এর চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের স্মারক নং হলো ০০.০১.১৫০০.৭১৩.০১.০২৬.২০২০-১০৬৫। এতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের এ এন্ড আউট ওয়্যার লি:, নর্ম আউট লি: এবং কোল্ড প্রে লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীনকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ২৬৪ কোটি টাকা ঋন গ্রহণ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ তোলা হয়। ওই সময় ব্যাংকটির এমডি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন রাশেদ মাকসুদ। যিনিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চীনের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার আহ্বান

এই দূর্ণীতিবাজ মাকসুদকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তার জন্য শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরাও ভালো নেই। তার পদত্যাগেই শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস বিনিয়োগকারীদের।

বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা বলেন, মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

রাশেদ মাকসুদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের দাবিতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

আপডেট: ০৪:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দুর্নীতি দ্রুত অনুসন্ধানের দাবিতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। একইসঙ্গে তার দ্রুত শাস্তি দাবি করেছেন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক‍্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের ব‍্যানারে এই বিক্ষোভ করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্ণীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ের সামনে সংগঠনটির নেতারাসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।

বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা বলেন, খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ছিলেন বিতর্কিত ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। যিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়াঁ আরজু ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধ আর্থিক দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধে কিছুই করেননি। বরং সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করার অভিযোগ আছে। যে কারনে অন্যদেরসহ তার বিরুদ্ধে দূর্ণীতি দমন কমিশন ২৬৪ কোটি টাকার ঋণ অনিয়মে তদন্ত শুরু করে। তার এই দূর্নীতি দ্রুত অনুসন্ধান করে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১১ জুন দুদুক এর চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের স্মারক নং হলো ০০.০১.১৫০০.৭১৩.০১.০২৬.২০২০-১০৬৫। এতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের এ এন্ড আউট ওয়্যার লি:, নর্ম আউট লি: এবং কোল্ড প্রে লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীনকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ২৬৪ কোটি টাকা ঋন গ্রহণ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ তোলা হয়। ওই সময় ব্যাংকটির এমডি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন রাশেদ মাকসুদ। যিনিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চীনের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার আহ্বান

এই দূর্ণীতিবাজ মাকসুদকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তার জন্য শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরাও ভালো নেই। তার পদত্যাগেই শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস বিনিয়োগকারীদের।

বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা বলেন, মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।

ঢাকা/এসএইচ