০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রাস্তায় চলাচলে ডিএমপির ৮ পরামর্শ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মে ২০২১
  • / ৪১৫৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ লকডাউনের মধ্যে জরুরি কারণে বা বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে যাদের ঘর থেকে বের হতে হবে তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাস্তায় চলতে গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন অনেকে। কেউ কেউ রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হচ্ছেন। কখনও যাচ্ছে মহামূল্যবান প্রাণ। তাই নিজের জীবন বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজন নিজেদের সচেতনতা। এসব কারণেই মহানগরীতে ভ্রমণকালে নিজেকে অক্ষত ও নিরাপদ রাখতে সতর্কতার সঙ্গে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ডিএমপি।

নগরবাসীর প্রতি ডিএমপির দেওয়া পরামর্শগুলো হলো:

১. রিকশায় চড়ে কোথাও যাওয়ার সময় কোলে ব্যাগ রাখবেন না। মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে ছিনতাইকারী এসে হ্যাঁচকা টান দিতে পারে। এতে করে আপনি রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। ব্যাগ থাকলে তা দুই যাত্রীর মধ্যখানে রাখবেন, যাত্রী একা থাকলে নিরাপদভাবে ব্যাগ রাখবেন। রিকশায় যাতায়াতের সময় হুড তুলে রাখবেন।

২. অনুমোদিত রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহনে যাতায়াত করুন। অনুমোদনবিহীন যানবাহনে যাতায়াত পরিহার করুন।

৩. মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেট কারে অচেনা ও অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে চলাচল থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে কোনও গাড়িতে উঠার আগে গাড়ির নাম্বার টুকে রাখুন এবং কাছের কাউকে সেই নাম্বার মেসেজ করে রাখুন।

৪. নির্জন রাস্তা বা গলিপথ দিয়ে একা চলাচল থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে খুব ভোরে রাস্তায় চলাচল করা থেকে এড়িয়ে চলুন। বিশেষ প্রয়োজনে সতর্কতা অবলম্বন করে কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করুন।

৫. রাতে আলোকিত পথে চলাচলের চেষ্টা করুন । অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে আলোকিত পথ অধিকতর নিরাপদ ।

৬. শহরে চলাচলের সময়ে যানবাহনে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে ওয়ালেট বা মোবাইল ফোন রাখা নিরাপদ নয়। প্রয়োজনে ওয়ালেটটি সামনের পকেটে রাখুন। মোবাইলটি হাতে রাখতে পারেন। তাহলে ছিনতাইকারীরা সহজে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।

৭. থানার মোবাইল নম্বর সর্বদা নিজের মোবাইল ফোনে এবং মানিব্যাগে সংরক্ষণ করুন যেন প্রয়োজনে দ্রুত পুলিশের সাহায্য পেতে পারেন ।

৮. থানার মোবাইল নম্বর না থাকলে ৯৯৯ জরুরি সেবায় ফোন করে প্রয়োজনীয় পুলিশ সেবা নিন।

ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিকের নিজের সচেতনতাই পারে যে কাউকে আসন্ন বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে। মহানগরীকে নিরাপদ রাখতে ডিএমপি সবসময় নাগরিকদের পাশেই রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/এমআর

শেয়ার করুন

x
English Version

রাস্তায় চলাচলে ডিএমপির ৮ পরামর্শ

আপডেট: ১১:২৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ লকডাউনের মধ্যে জরুরি কারণে বা বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে যাদের ঘর থেকে বের হতে হবে তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাস্তায় চলতে গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন অনেকে। কেউ কেউ রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হচ্ছেন। কখনও যাচ্ছে মহামূল্যবান প্রাণ। তাই নিজের জীবন বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজন নিজেদের সচেতনতা। এসব কারণেই মহানগরীতে ভ্রমণকালে নিজেকে অক্ষত ও নিরাপদ রাখতে সতর্কতার সঙ্গে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ডিএমপি।

নগরবাসীর প্রতি ডিএমপির দেওয়া পরামর্শগুলো হলো:

১. রিকশায় চড়ে কোথাও যাওয়ার সময় কোলে ব্যাগ রাখবেন না। মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে ছিনতাইকারী এসে হ্যাঁচকা টান দিতে পারে। এতে করে আপনি রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। ব্যাগ থাকলে তা দুই যাত্রীর মধ্যখানে রাখবেন, যাত্রী একা থাকলে নিরাপদভাবে ব্যাগ রাখবেন। রিকশায় যাতায়াতের সময় হুড তুলে রাখবেন।

২. অনুমোদিত রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহনে যাতায়াত করুন। অনুমোদনবিহীন যানবাহনে যাতায়াত পরিহার করুন।

৩. মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেট কারে অচেনা ও অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে চলাচল থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে কোনও গাড়িতে উঠার আগে গাড়ির নাম্বার টুকে রাখুন এবং কাছের কাউকে সেই নাম্বার মেসেজ করে রাখুন।

৪. নির্জন রাস্তা বা গলিপথ দিয়ে একা চলাচল থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে খুব ভোরে রাস্তায় চলাচল করা থেকে এড়িয়ে চলুন। বিশেষ প্রয়োজনে সতর্কতা অবলম্বন করে কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করুন।

৫. রাতে আলোকিত পথে চলাচলের চেষ্টা করুন । অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে আলোকিত পথ অধিকতর নিরাপদ ।

৬. শহরে চলাচলের সময়ে যানবাহনে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে ওয়ালেট বা মোবাইল ফোন রাখা নিরাপদ নয়। প্রয়োজনে ওয়ালেটটি সামনের পকেটে রাখুন। মোবাইলটি হাতে রাখতে পারেন। তাহলে ছিনতাইকারীরা সহজে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।

৭. থানার মোবাইল নম্বর সর্বদা নিজের মোবাইল ফোনে এবং মানিব্যাগে সংরক্ষণ করুন যেন প্রয়োজনে দ্রুত পুলিশের সাহায্য পেতে পারেন ।

৮. থানার মোবাইল নম্বর না থাকলে ৯৯৯ জরুরি সেবায় ফোন করে প্রয়োজনীয় পুলিশ সেবা নিন।

ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিকের নিজের সচেতনতাই পারে যে কাউকে আসন্ন বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে। মহানগরীকে নিরাপদ রাখতে ডিএমপি সবসময় নাগরিকদের পাশেই রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/এমআর