০৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

রিং সাইন টেক্সটাইলের ‘গুজব’ স্বার্থান্বেসী মহলের কারসাজি!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৪৪৬৪ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিং সাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালকরা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ নিয়ে বিদেশে চলে গেছেন- এমন গুজব ওঠেছে। কোম্পানিটিকে নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজারে নেতিবাচক মনোভাব তৈরীর উদ্দেশ্যে একটি স্বার্থান্বেসী চক্র এসব গুজব ছড়াচ্ছে এবং যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয়ের উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে রিং সাইন টেক্সটাইল। ইতিমধ্যে কোম্পানিটি প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ব্যাংক ঋণের ৫০ কোটি টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছে।

এছাড়া আইপিও খাতে প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয় সংক্রান্ত প্রজেক্টের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে তা কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই রয়েছে। এই আইপিও অর্থ ব্যবহারের সময়সীমা ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল। এ সময়ের মধ্যে আইপিও থেকে উত্তোলিত অর্থের সম্পূর্ণ ব্যবহার করবে রিং সাইন টেক্সটাইল। রিং সাইনের আইপিওর সম্পূর্ণ অর্থ ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে রয়েছে।

তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যানুযায়ী, এই আইপিও’র অর্থ অন্য আরেকটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের জন্য কোম্পানির ওপর এক ধরণের অনৈতিক চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যার সূত্র ধরেই রিংসাইনের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

 

রিংসাইন নিয়ে বাজারে যে গুজব চলছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, রিংসাইন একটি প্রথম সারির, বৃহৎ, হাজার কোটি টাকার বেশি টার্ণওভার সমৃদ্ধ কোম্পানী যা পরিশোধিত মূলধনের দ্বিগুনেরও বেশি। কোম্পানিটিতে ৩ জন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ সর্বমোট ১২ জন পরিচালক রয়েছে যার মধ্যে স্বতস্ত্র পরিচালক ছাড়া বাকি ৯ জনই বিদেশি। উক্ত ৯ জন বিদেশি পরিচালক কর্তৃক প্রায় ২২ বছর যাবত বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে রিং সাইন টেক্সটাইলের ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে। কোম্পানিটি ঢাকা ইপিজেডের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা নিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ কোম্পানি নিয়ে যে গুজব ছড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি তথ্য নিশ্চিত হতে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার আহবান জানায় রিং সাইন কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, গতবছরের ১২ মার্চ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৭৯তম সভায় এ রিং সাইনের আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

 

রিং সাইন টেক্সটাইল পুঁজিবাজারে ১৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

ওই সময়ে ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৬ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়ন ব্যতিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩.১৭ টাকায়।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

শেয়ার করুন

x
English Version

রিং সাইন টেক্সটাইলের ‘গুজব’ স্বার্থান্বেসী মহলের কারসাজি!

আপডেট: ১১:০০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিং সাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালকরা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ নিয়ে বিদেশে চলে গেছেন- এমন গুজব ওঠেছে। কোম্পানিটিকে নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজারে নেতিবাচক মনোভাব তৈরীর উদ্দেশ্যে একটি স্বার্থান্বেসী চক্র এসব গুজব ছড়াচ্ছে এবং যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয়ের উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে রিং সাইন টেক্সটাইল। ইতিমধ্যে কোম্পানিটি প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ব্যাংক ঋণের ৫০ কোটি টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছে।

এছাড়া আইপিও খাতে প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয় সংক্রান্ত প্রজেক্টের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে তা কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই রয়েছে। এই আইপিও অর্থ ব্যবহারের সময়সীমা ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল। এ সময়ের মধ্যে আইপিও থেকে উত্তোলিত অর্থের সম্পূর্ণ ব্যবহার করবে রিং সাইন টেক্সটাইল। রিং সাইনের আইপিওর সম্পূর্ণ অর্থ ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে রয়েছে।

তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যানুযায়ী, এই আইপিও’র অর্থ অন্য আরেকটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের জন্য কোম্পানির ওপর এক ধরণের অনৈতিক চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যার সূত্র ধরেই রিংসাইনের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

 

রিংসাইন নিয়ে বাজারে যে গুজব চলছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, রিংসাইন একটি প্রথম সারির, বৃহৎ, হাজার কোটি টাকার বেশি টার্ণওভার সমৃদ্ধ কোম্পানী যা পরিশোধিত মূলধনের দ্বিগুনেরও বেশি। কোম্পানিটিতে ৩ জন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ সর্বমোট ১২ জন পরিচালক রয়েছে যার মধ্যে স্বতস্ত্র পরিচালক ছাড়া বাকি ৯ জনই বিদেশি। উক্ত ৯ জন বিদেশি পরিচালক কর্তৃক প্রায় ২২ বছর যাবত বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে রিং সাইন টেক্সটাইলের ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে। কোম্পানিটি ঢাকা ইপিজেডের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা নিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ কোম্পানি নিয়ে যে গুজব ছড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি তথ্য নিশ্চিত হতে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার আহবান জানায় রিং সাইন কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, গতবছরের ১২ মার্চ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৭৯তম সভায় এ রিং সাইনের আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

 

রিং সাইন টেক্সটাইল পুঁজিবাজারে ১৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

ওই সময়ে ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৬ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়ন ব্যতিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩.১৭ টাকায়।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।